জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতি আছে।
রবিবার (৩ মার্চ) কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। বারবার বলার পরও কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না। এর দায় অসাধু সরকারি কর্মকর্তাদের। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। প্রতিটি ঘটনার পরই কিছুদিন সরকারি সংস্থাগুলো তোড়জোড় করে। পরে সব আগের মতো হয়ে যায়।
এ সময় রাজধানীসহ সারা দেশে ভবন জরিপ করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান কমিশন চেয়ারম্যান। রাজধানীতে এখনো হাজারখানেক রেস্তোরাঁ আছে, যেগুলোতে কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই।
কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিদগ্ধ ও বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইডের ধোঁয়ায় শ্বাসরোধে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সামগ্রিক গাফিলতির আরেকটি উদাহরণ আবার সামনে এল। অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা একটি আকস্মিক ও সহজাত বিষয়। এটি ঘটতেই পারে। বিশ্বের অনেক বড় বড় শহরেও অগ্নিকাণ্ড হয়। কিন্তু ঢাকার সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডের মতো নির্মমতা থাকে না।
তিনি বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে কাঠামো প্রকৌশলী ও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এটি অবহেলাজনিত ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। কারণ এই ভবনগুলোর জন্য আটটি সরকারি সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন (জেলা প্রশাসন, রাজউক, সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিস্ফোরক অধিদপ্তর)। প্রতিটি সংস্থার বিরুদ্ধে দায়িত্বের অবহেলার কারণে হত্যার অভিযোগ আনা যেতেই পারে। কেউ কেউ এই ঘটনাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড মনে করছেন। এটা দুর্ঘটনা নয়, এর পেছনে অনেক ধরনের গাফিলতি জড়িত। এ পরিস্থিতির খুব দ্রুত পরিবর্তন এবং আপাতদৃষ্টে একটি নিরাপদ নগরে পরিণত হবে ঢাকা এমন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
খাজা/এমএ/