![২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধানের আহ্বান ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের](uploads/2024/04/04/1712236962.ottkk.jpg)
বিনা নোটিশে দেশের জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক ওভার দা টপ প্ল্যাটফর্ম বা ওটিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের টফি, গ্রামীণফোনের বাইস্কোপ, রবি আইজিয়াটা লিমিটেডের বিংগো, ও বঙ্গবীর বঙ্গ টিভি দেখতে পারছে না দেশের প্রায় ৩০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি গ্রাহক।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিনা নোটিশে ওটিটি বন্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে সংগঠন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে এখনো ওটিটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। নীতিমালা খসড়া প্রস্তুত হচ্ছে যখন আর এই সময়ে সরকারের ভিতরে লুকিয়ে থাকা কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তির ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে ইন্টারনেট ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার একদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারবিহীন সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চায়। সরকারের এ ধরনের সুদূরপ্রসারী চিন্তার কারণেই দেশে বর্তমানে যত টেলিভিশন বাজারে বিক্রি হয় সবই ইন্টারনেট ভিত্তিক। ডিস ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা গ্রাহকদের সঙ্গে অসৎ আচরণ একপ্রকার স্বস্তি এনে দিয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। গ্রাহক একটি ডিভাইসে তার সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে যখন এই সময় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে সংগঠনটি মনে করে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, তিন কোটি গ্রাহক এই অটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য তারা বিভিন্ন প্রিমিয়াম ক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ অপারেটররা ইতোমধ্যে গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায় করেছে অথচ গ্রাহক এ সকল প্লাটফর্ম দেখতে না পারায় আর্থিকভাবে এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ওটিটি অপারেটর, বিটিআরসি, তথ্য মন্ত্রণালয়, এবং সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও অনুরোধ জানাবো দ্রুত এ সকল প্লাটফর্ম খুলে দেওয়া হোক। গ্রাহকদের স্বার্থের চিন্তা করে এবং সরকার যেমন বাংলাদেশ এবং তারবিহীন বাংলাদেশ অর্থাৎ একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় তখন মুক্ত অর্থনীতি এবং মুক্ত ইন্টারনেট যুগে এ ধরনের প্লাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে আমরা মনে করি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি না করলে আমরা উচ্চ আদালতে যেতে বাধ্য হব।
তিথি/এমএ/