ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

বিনা নোটিশে ওটিটি প্লাটফর্ম বন্ধ ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধানের আহ্বান ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধানের আহ্বান ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের
ছবি : সংগৃহীত

বিনা নোটিশে দেশের জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক ওভার দা টপ প্ল্যাটফর্ম বা ওটিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের টফি, গ্রামীণফোনের বাইস্কোপ, রবি আইজিয়াটা লিমিটেডের বিংগো, ও বঙ্গবীর বঙ্গ টিভি দেখতে পারছে না দেশের প্রায় ৩০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি গ্রাহক।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিনা নোটিশে ওটিটি বন্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। 

গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে সংগঠন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে এখনো ওটিটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। নীতিমালা খসড়া প্রস্তুত হচ্ছে যখন আর এই সময়ে সরকারের ভিতরে লুকিয়ে থাকা কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তির ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে ইন্টারনেট ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার একদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারবিহীন সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চায়। সরকারের এ ধরনের সুদূরপ্রসারী চিন্তার কারণেই দেশে বর্তমানে যত টেলিভিশন বাজারে বিক্রি হয় সবই ইন্টারনেট ভিত্তিক। ডিস ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা গ্রাহকদের সঙ্গে অসৎ আচরণ একপ্রকার স্বস্তি এনে দিয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। গ্রাহক একটি ডিভাইসে তার সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে যখন এই সময় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে সংগঠনটি মনে করে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, তিন কোটি গ্রাহক এই অটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য তারা বিভিন্ন প্রিমিয়াম ক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ অপারেটররা ইতোমধ্যে গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায় করেছে অথচ গ্রাহক এ সকল প্লাটফর্ম দেখতে না পারায় আর্থিকভাবে এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ওটিটি অপারেটর, বিটিআরসি, তথ্য মন্ত্রণালয়, এবং সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও অনুরোধ জানাবো দ্রুত এ সকল প্লাটফর্ম খুলে দেওয়া হোক। গ্রাহকদের স্বার্থের চিন্তা করে এবং সরকার যেমন বাংলাদেশ এবং তারবিহীন বাংলাদেশ অর্থাৎ একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় তখন মুক্ত অর্থনীতি এবং মুক্ত ইন্টারনেট যুগে এ ধরনের প্লাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে আমরা মনে করি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি না করলে আমরা উচ্চ আদালতে যেতে বাধ্য হব।

তিথি/এমএ/

অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা
ডব্লিউএইচও'র আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় ডব্লিউএইচও-এর কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নগর প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিশেষ করে অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ।

এ ব্যাপারে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি রাজশাহীবাসীর প্রাথমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ডব্লিউএইচও-এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। আমরা আশা করছি ডব্লিউএইচও'র সহায়তায় রাজশাহীর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি ও আলোচিত ক্ষেত্রসমূহে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারবো। এতে মহানগরবাসীসহ এই অঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। ফলে স্বাস্থ্যখাতে রাজশাহী অনেক এগিয়ে যাবে।

সভার শুরুতে ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভায় ডব্লিউএইচও-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/এমএ/

শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই হোপ সো অ্যান্ড আই বিলিভ সো।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছেন। এখন আলতের ব্যপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে। এই বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যপার, তাই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

শিক্ষকদের সঙ্গে দ্রুত বসবেন কি-না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বসাবসিটাতো বিষয় না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে- সেটা বলতে পারছি না। তবে সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়- সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টেজ, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্র্যাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে।

সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুুর সেতুতে ১১ শ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রত্যেক তিন মাস পরপরই আমরা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেরত দিতে পারব। সূত্র: বাসস

অমিয়/

৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৫ শিশু নিখোঁজের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

রবিবার (৭ জুলাই) এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই। তদন্তে দেখা গেছে, একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পোস্টে যাদের নিখোঁজ হওয়া কথা বলা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।’

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’

একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’ ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

খাজা/পপি/অমিয়/

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী
খুলনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা রাখেন গৃহায়ন মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

রবিবার (৭ জুলাই) খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত জোন ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আপনাদের কাজের গুরুত্ব রয়েছে। নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজের ধারা অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার।

মাকসুদ রহমান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন
ছবি: সংগৃহীত

বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে ৩৭ মিনিট বন্ধ থাকে মেট্রোরেল চলাচল। 

রবিবার (৭ জুলাই) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২টা ২৭ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। 
 
পরে বেলা ৩টার দিকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল শুরু হয়েছে। 

মেট্রোরেলের যাত্রী মো. শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, তিনি ওই সময় মেট্রোরেলে পল্লবীর দিকে যাচ্ছিলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় অনেক যাত্রী মেট্রোরেল থেকে নেমে যান। 

ফার্মগেট থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাচ্ছিলেন খালেদ নোমান নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, মেট্রোর পেইড জোনে অপেক্ষা করছিলাম। ভাবছিলাম, বিদ্যুৎ কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে। কিন্তু আধা ঘণ্টারও বেশি সময় পেইড জোনে অপেক্ষা করতে হলো। গলদঘর্ম হয়ে গেছি। 

ঈশিতা নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পরে স্টেশন থেকে বের হয়ে যান।

সাংবাদিক সালমান গালিব বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় শেওড়াপাড়ায় অন্তত ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর মেট্রোরেলে কারওয়ান বাজারে আসি। এর ফলে শেওড়াপাড়া স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে। অনেককে স্টেশন ছেড়ে যেতেও দেখা যায়। 

জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার উদ্দিন রবিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে খবরের কাগজকে বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ডিপিডিসি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে থাকে, সেখান থেকে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছিল। এখন আবার চলাচল শুরু হয়েছে।’

জয়ন্ত সাহা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/