![প্রতিবেদনে মানবাধিকার নিয়ে সরকারের অর্জন অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়](uploads/2024/04/25/1714055559.Forein_Ministry.jpg)
‘মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অনেক অর্জন থাকলেও প্রতিবেদনে সেগুলো অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উপরন্তু প্রতিবেদনে অনেক বিচ্ছিন্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত মানবাধিকার সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র সেহলী সাবরীন এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে সেহলী সাবরীন বলেন, ‘২০২৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নোট করেছে বাংলাদেশ। আমরা যতই আকাঙ্ক্ষা করি না কেন, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। কারণ একটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে যে ক্ষেত্রগুলোতে আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে।’
মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, প্রতিবেদনে বেশির ভাগ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি বেনামী সংস্থা থেকে অনুমাননির্ভর তথ্য নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সে কারণে প্রতিবেদনে সহজাত এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি গৃহবন্দি নন।’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি সঠিক নয়। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব এবং প্রচলিত আইন মেনে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। নাশকতার মাধ্যমে যখন জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা হয়েছে, তখনই আইন মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি মূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করতে ব্যর্থ-এ মন্তব্য করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নোট করেছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সব নাগরিকের মানবাধিকার সম্পূর্ণ উপভোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে জড়িত থাকার জন্য উন্মুখ।’