![মহিলা ও শিশুবিষয়ক বাজেট বাড়লেও উন্নয়ন খাতে কমেছে বরাদ্দ](uploads/2024/06/06/Budget-2024-24-1717694789.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫ হাজার ২২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থ মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ছিল। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পরিচালন খাতে ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। যা গত বছর ছিল ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে উন্নয়ন খাতে ধরা হয়েছে ৮৭৫ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিল ৯১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ উন্নয়ন খাতে বাজেট কমেছে ৪১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এই সময় তিনি বলেন, ‘‘আগামীতে নারী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নারী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, শ্রম বাজারে নারীর প্রবেশ বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা, সহিংসতা প্রতিরোধ ইত্যাদি কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। সে লক্ষ্যে হাওর এলাকার সুবিধাবঞ্চিত নারীর আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনবিষয়ক উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়া, কর্মজীবী মায়ের শিশু সন্তানদের জন্য ৬৪ জেলায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, ৬৪ জেলায় কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ, ৪ বছর বয়সীদের জন্য শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন, গ্রামীণ শিশুদের সৃজনশীল কাজ সংগ্রহ এবং প্রদর্শন, ‘নিরাপদ ইন্টারনেট নিরাপদ শিশু’ কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’’
অন্যদিকে উন্নয়ন বাজেট কমার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর খবরের কাগজকে বলেন, ‘যদিও পরিচালন বাজেট বৃদ্ধির নানা কারণ তুলে ধরা হচ্ছে, কিন্তু উন্নয়ন বাজেট কমা কখনোই ভালো নয়। কারণ উন্নয়ন বাজেট থেকেই মূলত উপকারভোগীরা সহায়তা পান। বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ, উন্নয়ন বাজেটের থেকেই আসে। তাই এই বাজেট কমা মানে তার প্রভাব ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোর ওপর পড়বে। তাই এ বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। যাতে সাধারণ জনগণ উপকৃত হয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই বাজেটের ব্যবহার কীভাবে হবে এবং কোন জায়গায় হলে ভালো হয়, সে বিষয়ে আমার মনে হয় আরও কাজ করা প্রয়োজন। একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা হওয়া প্রয়োজন। যার মাধ্যমে যেসব ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছে এবং সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে নারীদের যে জায়গাগুলোতে বিশেষ সুবিধা প্রয়োজন তা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী বরাদ্দের পরিমাণ ঠিক করতে হবে।
তিথি/এমএ/