![বাজেট প্রস্তাবের পরপরই মোবাইলের বাড়তি খরচ কার্যকর](uploads/2024/06/07/Phone-1717730806-1717775806.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সব মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে গ্রাহকদের মোবাইলের টক টাইমসহ ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ আরও বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বাজেট প্রস্তাবনায় যেসব পণ্যের দাম বাড়ে, তা বাজেট প্রস্তাবনার পরদিন থেকেই বাড়তে পারে। সে হিসাবে বাড়তি কর শুক্রবার (৭ জুন) থেকেই কার্যকর হয়েছে।
মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর এর আগে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো গ্রাহকদের। এখন তা আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১ শতাংশ সারচার্জও দিতে হবে। নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোয় একজন গ্রাহককে এখন ১০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ ৩০ টাকা ৬৫ পয়সা করে দিতে হবে। বাকি ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তিনি। আগে ১০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কাটা হতো ২৭ টাকা। বাকি ৭৩ টাকার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেন গ্রাহকরা। একই ব্যবস্থা মোবাইলের টক টাইমেও। এখন থেকে ১০০ টাকা রিচার্জে আগের চেয়ে ৩ টাকা ৬৫ পয়সার কথা কম বলতে পারবেন গ্রাহকরা।
দেশে বর্তমানে ১৯ কোটি সিমকার্ড গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন প্রায় ১৩ কোটি। প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর পরই নতুন এ শুল্ক কার্যকর করেছে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো।
ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিম ব্যবহার করেন এমন কয়জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকটি কোম্পানি এই আরোপিত বাড়তি শুল্ক কার্যকরের বিষয়ে খুদে বার্তা দিয়ে গ্রহককে জানালেও সবগুলো অপারেটর এখনো জানায়নি।
শুধু মোবাইল ফোনের টক টাইম বা ইন্টারনেট নয়, ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক-সম্পর্কিত যত ধরনের কমানো বা বাড়ানোর প্রস্তাব থাকে, তা বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই কার্যকর হয়। যদিও অর্থবছর শুরু হয় ১ জুলাই থেকে। বিদ্যমান আইনে এটির আইনি বৈধতা থাকলেও বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই শুল্কহার কার্যকরের বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলের।