ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

গণপূর্তের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ের অভিযোগ স্ত্রীর

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২০ পিএম
গণপূর্তের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ের অভিযোগ স্ত্রীর
নীলফামারী জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান

নীলফামারী জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের অবৈধ আয় নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী রিজওয়ানা হাসান খুশবু। মডেল মসজিদ প্রকল্পে স্বামীর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছেন সচিবালয়ে। 

খুশবুর অভিযোগ, স্বামীর অবৈধ আয়ের প্রতিবাদ করায় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। খুশবু সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে থেকেই চাইতাম না যে এ রকম একটা পবিত্র স্থান থেকে ঘুষ নিক। আমি তাকে আগেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিষেধ করতাম। তখন সে আমাকে অনেক মারধর করত। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন  করত।’ 

লিখিত অভিযোগে স্ত্রী খুশবু বলেন, দুই বছর আগে একটি গুদামঘর নির্মাণ করেন তার স্বামী। তারপর ভুট্টা কিনে গুদামজাত করা হয়। তারপর সেখান থেকে বিপুল টাকা লাভ দেখানো হয়েছে। এভাবে ঘুষের টাকা সাদা করেন তিনি। 

খুশবু আরও বলেন, ‘আমি তাকে ব্যবসা নিয়ে কথা বলি। কিন্তু সে আমাকে বলে যে একটা প্রতিষ্ঠান থাকলে তো সমস্যা নেই। সেখানে অনেক ধরনের লেনদেন হয়। আমি তখনই অভিযোগ দিতে পারতাম, কিন্তু করিনি কারণ তখন আমি প্রেগনেন্ট ছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তোবা সন্তান হওয়ার পর সে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু সন্তান হওয়ার পরও সে পরিবর্তন হয়নি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগকারী আমার সাবেক স্ত্রী। বিপদে ফেলার জন্যই সত্য গোপন করে গণমাধ্যমে এমন খবর দিচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন তিনি। আমাকে হত্যারও হুমকি দিয়েছেন।’

চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি

চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পড়ার যে সৌভাগ্য সেটা সবার হয় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘অ্যাপ্রোনের মর্যাদাটা ধরে রাখতে হবে। যথাযথভাবে পড়াশোনা করে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। মা-বাবাকে সম্মান করতে হবে। তাদের সম্মান করলে জীবনে সাফল্য অর্জন করবে।’ 

সোমবার (৮ জুন) রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (মিটফোর্ড হাসপাতাল) পরিদর্শনের সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাজহারুল ইসলাম খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের থাকার সুযোগ-সুবিধাসহ নানা অপ্রতুলতা রয়েছে। আমি রাতারাতি হয়তো পারব না। কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে।’  

এরপর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ, এমআরআই, আইসিইউ, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বিভাগ, সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে তিনি হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। 

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করব। আমার কাজ হচ্ছে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা ঠিকমতো পাচ্ছে কি-না, ডাক্তাররা কর্মউপযুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারছে কি-না সেটা দেখা। রোগী এবং ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়া আমার দায়িত্ব। এজন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ চলছে।’

মারুফ/সালমান/

পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না : খাদ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে কথা বলছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি : খবরের কাগজ

পলিশ করা চকচকে চাল আর বাজারে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘চালের পুষ্টিমান ঠিক রাখতে পলিশ করা চকচকে চাল বাজারজাত বন্ধে আইন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এর বাস্তবায়ন করা হবে।’

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউ টিন বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন আইন অনুযায়ী ধান থেকে চাল করার সময় সর্বোচ্চ দুই ছাঁটাই দেওয়া যাবে। চাল বেশি পরিমাণে ছাঁটাই করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। চাল ছাঁটাই কম করা হলে প্রায় ১৬-১৮ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হবে না। এ ছাড়া অতিরিক্ত চাল ছাঁটাইয়ের কারণে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় চালের দাম বেশি হয়।’

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ আদনানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

শফিক ছোটন/সালমান/

রথযাত্রায় প্রাণহানি: তদন্তের দাবি ঐক্য পরিষদের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
রথযাত্রায় প্রাণহানি: তদন্তের দাবি ঐক্য পরিষদের
ছবি: খবরের কাগজ

বগুড়ায় রথযাত্রায় প্রাণহানির ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংখ্যালঘু নিপীড়নের নানা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের পরে মানবাধিকার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত এ দাবি জানান। 

এই প্রাণহানির ঘটনায় রথযাত্রার আয়োজক বা স্থানীয় প্রশাসনের কারও গাফিলতি রয়েছে কি না এ বিষয়ে খবরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি তুলেন।

রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ‘মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে আমরা ধর্মীয় বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে আমরা মর্মাহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্তের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে বগুড়া জেলা শহরে সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রথের উঁচু অংশ বিদ্যুতের উচ্চ ভোল্টের তারের সঙ্গে লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

 বগুড়ার সিভিল সার্জন মো. শফিউল আযম জানান, আহতদের মধ্যে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫ জন এবং সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঁচজন ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ওই ঘটনায় নিহতরা হলেন- সারিয়াকান্দী উপজেলার সাহাপাড়ার বাসিন্দা বাসুদেবের স্ত্রী সবিতা (৪০), আদমদীঘি উপজেলার কন্দুগ্রাম থানার ভবানী মোহন্তের ছেলে নরেশ মোহন্ত (৬০), পুরান বগুড়ার হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা ননী কেশর সরকারের স্ত্রী অতসী রানী সরকার (৪৫), সদর উপজেলার গোহাইল মাসিন্দা এলাকার বাসিন্দা সুদেব মোহন্তের স্ত্রী রঞ্জিতা মোহন্ত (৫৫) এবং ছোট বেলঘড়িয়া এলাকার মৃত নরেন্দ্রনাথের ছেলে অলক কুমার (৪০)।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এ ঘটনা বিচার বিশ্লেষণ করছে বলে জানিয়েছেন রাণা দাশগুপ্ত।

জয়ন্ত সাহা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ভবনের নকশা অনুমোদনে গাছ লাগানোর শর্ত যুক্তের নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
ভবনের নকশা অনুমোদনে গাছ লাগানোর শর্ত যুক্তের নির্দেশনা
ছবি : সংগৃহীত

ভবনের নকশা অনুমোদনের সময় খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে পূর্বাচলের ১নং সেক্টরের মেকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের (৮-১৪ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে।

এ বছর পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে।

তিনি বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা/নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। আগামী এক বছরে আমরা পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য যারা উপস্থিত আছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাড়ি করার জন্য রাজউক যে সব শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি- তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।

তিনি আরও বলেন, পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলদ, বনজ এবং ঔষধি যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একই সঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে। ঘরের বারান্দায়, ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়।

সভাপতির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, গাছ লাগাতে বেশি সময় লাগে না। আমরা যেন এটা করতে গিয়ে অফিসের কাজে ফাঁকি না দিই। অফিসের কাজের পাশাপাশি অনায়াসে গাছ লাগানো যায়। 

ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে নগরকৃষির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন গণপূর্তসচিব।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব মেকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে খালি জায়গায় একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। 

বক্তব্যের পর উপস্থিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/

সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৪৫ জনের প্রাণহানির দাবি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৪৫ জনের প্রাণহানির দাবি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের
ছবি: খবরের কাগজ

২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এক বছরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১ হাজার ৪৫টি ঘটনায় ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্য’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত।

পরিসংখ্যান উপস্থাপনে তিনি জানান, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সহিংসতার নানা ঘটনায় হত্যার চেষ্টা হয়েছে ১০ জনকে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। এ সময়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৭৯ জন।

সংংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ১০২টি।

বসতবাড়ি ও জমিজমা দখলের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। বসতবাড়ি, জমিজমা দখল বা উচ্ছেদের তৎপরতা ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে ৪৫টি। দেশত্যাগের হুমকি বা বাধ্য করার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১১টি।

দেবোত্তর সম্পত্তি, মন্দির ও গির্জার সম্পত্তি দখল ও দখলের চেষ্টার ঘটনা হয়েছে ১৫টি। শ্মশানভূমি দখল বা দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে সাতটি। মন্দিরে হামলা,ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৯৪টি। প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে ৪০টি। দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ২৫টি, অপহরণ-নিখোঁজ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের ঘটনা ঘটেছে ১২টি। ধর্ম অবমাননার কল্পিত অভিযোগে আটক হয়েছে আটজন।

গত এক বছরে জাতীয় নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩২টি। স্থানীয় নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে ৫টি।

রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ‘এ সংখ্যাটি সাম্প্রদায়িক চালচিত্রের একটি আংশিক অংশমাত্র। বিগত বছরগুলোর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সহিংসতার ঘটনার খুব বেশি হেরফের আজও হয়নি। বিরাজমান সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিতে লক্ষ্যণীয় ১৯৭০ সালের নির্বাচনকালীন সময়ের প্রায় ১৯ শতাংশ সংখ্যালঘু ছিল যা ৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার পরিবেশ একেবারেই সংকুচিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এ দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে দেয়নি। বরং নানা উছিলায় তাদের হয়রানি ও সর্বস্বান্ত করে তুলেছে। অব্যাহত সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন ও আইনের প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে কার্যত সংখ্যালঘুদের ভূমিহীন করার এহেন দুষ্ট অভিসন্ধি একদিকে সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শক্তি দেশের গণতান্ত্রিক ভিতকে ক্রমশ দুর্বল করে দিচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত সাহা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/