ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

এবার জকিগঞ্জে চোরাই চিনি লুটের অভিযোগ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে!

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
এবার জকিগঞ্জে চোরাই চিনি লুটের অভিযোগ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে!
জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ। ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজারের পর এবার জকিগঞ্জে চোরাই চিনি লুটের ঘটনা ঘটেছে। বিয়ানীবাজারের মতো এ ঘটনায়ও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদসহ ৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। জকিগঞ্জ সিলেটের প্রান্তসীমার একটি উপজেলা। ভারতের করিমগঞ্জের পাশে অবস্থান। সেখানে কুশিয়ারা নদীই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত।

জকিগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চোরাই চিনি লুটের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয় শুক্রবার রাতে।

চিনি লুটের একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে খবরের কাগজের হাতে। চার মিনিট ১ সেকেন্ডের ভিডিওফুটেজে দেখা যায়, চিনিবোঝাই টমটম থেকে কয়েকজন মিলে চিনি লুট করছেন। এসময় চোরাকারবারিদের সঙ্গে এনিয়ে হাতাহাতি হচ্ছে ছিনতাইকারীদের। 

এরআগে গত প্রায় দুসপ্তাহ আগেও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদসহ তার অনুসারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় চিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে। জকিগঞ্জ-আটগ্রাম সড়কের লামারগ্রামে একটি টমটম থেকে চোরাকারবারিদের আনা ভারতীয় চিনি ছিনতাই করতে টমটম আটকে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের এএসআই মশিউর রহমান উপস্থিত হলে ঘটনাটির সমাধান করে।

নাম না প্রকাশের শর্তে কালীগঞ্জ এলাকার এক জনপ্রতিনিধি জানান, কানাইঘাটের চোরাকারবারি আব্দুর রহিম ও ময়নুল হক বৃহস্পতিবার বিকেলে চারটি টমটম দিয়ে ভারতীয় চোরাই ৪০ বস্তা চিনি কালীগঞ্জ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে  আসার পথে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ, সহসভাপতি জয়নন্দ অর্ণব, সহসভাপতি দুলাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, মানিকপুর ইউপি ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ খাঁন, ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর আহমদ, ছাত্রলীগ কর্মী জয়নাল আবেদিন, ছাত্রলীগ কর্মী শিপন আহমদ, ছাত্রলীগ কর্মী মামুন আহমদসহ ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী কয়েকজন কর্মী কালীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে চোরাই চিনি বোঝাই চারটি টমটম আটকে চিনি ছিনতাই করে নিয়ে যান। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু সালিশ বৈঠকে ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত হয়ে বিচার না মেনে উল্টো হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যান।

এ বিষয়ে মানিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর রায়হান জানান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ ও সহসভাপতি জয়নন্দ অর্ণব চিনি ছিনতাই করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্তু তারা সালিশ বিচার না মেনে উল্টো তাদেরকে পারলে কেউ কিছু করে ফেলতো এই কথা বলে তারা চলে যায়। বিষয়টি আমি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজকে জানিয়েছেন।

চোরাই চিনির মালিক কানাইঘাটের আব্দুর রহিম জানান, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪০ বস্তা চিনি ছিনতাই করা হয়েছে। এ সময় তাদের সঙ্গে মারধরে ঘটনা ঘটে। তবে ছিনতাই হওয়া চিনির বস্তাগুলো ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ। তাই শনিবার রাতে কালীগঞ্জ বাজারে গিয়ে সুলতান আহমদের কাছ থেকে ফেরত আনব।

জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান আহমদ মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে ঘটনার বিষয়ে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি চিনি ছিনতাইর সঙ্গে জড়িত নয়। এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেনও না। 

জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, চিনি ছিনতাইর ঘটনাটি আমিও শুনেছি। ছাত্রলীগের কোনো পদপদবী নিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরাকারবারি, ছিনতাইকারী কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক নয়। 

জানতে চাইলে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ খবরের কাগজকে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। তবে এ ব্যাপারে ফেসবুকে কয়েকজনের পোস্ট দেখেছি। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। 

দুসপ্তাহ আগেও এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা এমন একটি খবর পাই চিনিভর্তি টমটম কে বা কারা আটকে দিয়েছে। তখন আমি পুলিশ ফোর্স পাঠাই। কিন্তু পুলিশের আসার খবর শুনে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল প্রায় ছয় মাস আগে। নতুন কমিটির বিরুদ্ধে চিনি লুটের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ শনিবার বিকেলে খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে প্রবাস থেকে আমার দুজন ভাই এসেছেন। আমি তাদের নিয়ে পারিবারিকভাবে একটু ব্যস্ত আছি। এ জন্য ঘটনাটি জানার মধ্যে নেই। তবে কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে দেখা হবে।’

চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন ৭টি দোকান উচ্ছেদ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন ৭টি দোকান উচ্ছেদ
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় অনুমোদনহীন সাতটি দোকান উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২৪ জুন) বিকালে নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার-২ তানজিব হোসেন, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. হামিদুল হক, ইমারত পরিদর্শক এএসএম মিজান, মোহাম্মদ আবু জাফর ইকবাল ও গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল।

জানা গেছে, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার রোড নং-২৭, প্লট নং-৪৯ এ নির্মাণাধীন ভবনের নীচ তলায় কোনো অনুমতি ছাড়াই সাতটি দোকান নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার-২ তানজিব হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ব্যত্যয় করে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ভবনের বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার জন্য চউক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের নির্দেশনা রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে সাতটি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি আবাসিক প্লটে অন্যান্য দোকান মালিক ও প্লটের মালিকদেরকে অতি শিগগিরই দোকানের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’

ইফতেখারুল/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

রেলওয়ের ২ নিরাপত্তাকর্মীর মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
রেলওয়ের ২ নিরাপত্তাকর্মীর মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল
সাদ্দাম হোসেন ও শাহিনুর রহমান

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের দপ্তরে বসেই মাদক সেবনের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোতে যাদের দেখা যায় তারা হলেন- রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আরবিআর শাখার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত সিপাহী সাদ্দাম হোসেন ও শাহিনুর রহমান।

প্রথম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা কাগজের ওপর মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি ইয়াবা সেবনের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এর কিছু দূরে সাদ্দাম হোসেন ইয়াবা সেবন করছে। পাশের আরেকটি চেয়ারে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন সিপাহী শাহিনুর রহমান। কথা বলা শেষে দুজনই একসঙ্গে মাদকআড্ডায় মেতে উঠেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এমন মাদক সেবন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএনবি শাখার নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, সাদ্দাম ও শাহিনুর নিয়মিত মাদক সেবন করেন। প্রায় সময়ই তারা রেলওয়ে ভবনের বিভিন্ন রুমে রাতে মাদকের আড্ডা বসান। এতে বহিরাগতরাও অংশ নেন। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত এমন বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালালেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।

ভিডিওসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহিনুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা চালান।

তবে অপর অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল (আরএনবি) শাখার প্রধান কমান্ডার আসহাবুল ইসলাম বলেন, 'যদি এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীভাবে ব্যবস্থা নিয়ে সাসপেন্ড করা হবে। এমন কর্মকাণ্ডে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।'

এনায়েত করিম/জোবাইদা/অমিয়/

হালদায় নিষিদ্ধ জালসহ আটক ২, জরিমানা

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
হালদায় নিষিদ্ধ জালসহ আটক ২, জরিমানা
ছবি: খবরের কাগজ

ফটিকছড়ির জাফতনগর ইউনিয়নের ফতেহপুরের হালদা নদীর শাখা নদী তেলপাড়ই খাল থেকে নিষিদ্ধ গাড়া জালসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ প্রায় ১৮৫ মিটার নিষিদ্ধ গাড়া জাল জব্দ করেছে মোবাইল কোর্ট। 

রবিবার (২৩ জুন) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

জানা যায়, সরকারি আদেশ না মেনে তেলপাড়ই খালে নিষিদ্ধ গাড়া জাল ব্যবহার করে প্রজনন মৌসুমে মাছ ও মাছের পোনা আহরণের অপরাধে হাবিবুর রহমান ও নুরুল আবছার নামে দুইজনকে আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় প্রায় ১৮৫ মিটার নিষিদ্ধ গাড়া জাল। পরে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

অভিযানের সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম ও জাফতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন সঙ্গে ছিলেন।  

আবদুস সাত্তার/পপি/

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্থায়ী ট্রেন চালুর দাবি ক্যাবের

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৭ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৩১ এএম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্থায়ী ট্রেন চালুর দাবি ক্যাবের

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন নয়, স্থায়ী ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি।

সোমবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা বলেন, ঢাকার যাত্রীদের কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ পৃথক ট্রেন চালু করলেও চট্টগ্রামের যাত্রীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম থেকে খুবই সামান্য সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চালু করা হলেও তা সাময়িক। যা এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণের সঙ্গে তামাশার সামিল।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যদি আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার স্পেশাল ও পর্যটন এক্সপ্রেস চলাচল করতে পারে, সেক্ষেত্রে এই রুটে পৃথক ট্রেন চালুতে বাধা কোথায়- তা জাতিকে জানানো দরকার।

তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষও কৃতজ্ঞ। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পৃথক ট্রেন না থাকায় ও বিশেষ ট্রেন চলাচল সাময়িক হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের জনগণ হতাশ। যেখানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর কথা, সেখানে ঘটছে এর বিপরীত।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্যাব নেতারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ সম্প্রসারণ করে। গত বছরের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেন। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর একটি এবং চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আরেকটিসহ ঢাকা থেকে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেন। এই দুটি ট্রেনে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যাতায়াতের জন্য মাত্র ১১৫টি করে আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগের প্রেসিডেন্ট নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে দুটি ট্রেন চলাচল করলেও এই অঞ্চলের লোকজন ট্রেনে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলপথে দুটি আন্তঃনগর ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীদের মাত্র একটি এসি ও একটি নন এসি দুটি কোচ বরাদ্দ রাখা হলেও যাত্রীদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি এই রুটে স্থায়ী ট্রেনে পরিণত করা হলে যাত্রীদের প্রতি সুবিচার করা হবে।’

আবদুস সাত্তার/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

ভারতে পাচার করে যৌন পেশায় বাধ্য করত স্বামী-স্ত্রীর চক্র

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
ভারতে পাচার করে যৌন পেশায় বাধ্য করত স্বামী-স্ত্রীর চক্র
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীতে পোশাক কারখানার দরিদ্র ও অসচ্ছল নারীদের টার্গেট করে ভারতে পাচার ও যৌন পেশায় বাধ্য করা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। 

রবিবার (২৩ জুন) রাতে নগরীর চন্দ্রনগর আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. তারেক (৩৪) বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকার মাহমুদুল হকের বাড়ির আহম্মদ ছাফার ছেলে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী এক নারী ভারত থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের শরণাপন্ন হন। তিনি জানান যে, তিনি ও তার এক বান্ধবী গত এপ্রিলে পোশাক কারখানার চাকরি ছেড়ে দেন এবং বেকার ঘুরতে থাকেন। মে মাসে তাদের সঙ্গে পূর্বপরিচিত এক নারীর কথা হয়। সেই নারী মূলত তারেক ও তার স্ত্রীর চক্রের সদস্য। তিনি এই দুইজনকে জানান ভারতে তার পরিচিত একজন আপা আছে যিনি পার্লারে চাকরি করেন। তারা যদি ভারতে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তাহলে তিনি সেই আপার সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর তারা রাজি হলে তাদেরকে তারেক ও তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সেই নারী। 

পরে তাদের কথামতে গত ২৯ মে নগরের দামপাড়া থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে তারেক ও তার স্ত্রীসহ দুই নারী ও দুই পুরুষ ছিলেন। একই সঙ্গে আরও কয়েকজন দালাল যোগ দেয় তাদের সঙ্গে। এভাবে তাদের দুইজনকে যশোরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বাস ও রিকশায় তাদেরকে যশোরের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে নেওয়া হয়। পরে তাদেরকে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে পাচার করা হয়। সেখানে আসামি তারেক ও তার স্ত্রী এবং তাদের চক্রের সদস্যরা একাধিক হোটেলে নিয়ে তাদেরকে যৌন কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। রাজি না হলে মারধর ও গালিগালাজ করা হয়। 

তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ভিকটিমদের নাম প্রকাশ করেনি।

এ বিষয়ে নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের এসি বেলায়েত হোসেন বলেন, তারেক তার স্ত্রী ও আরেক বান্ধবীসহ চাকরিজীবী মেয়েদের টার্গেট করে যশোর বর্ডার দিয়ে ভারতে পাচার করত। তারা বেশি বেতনে চাকরির কথা বলে নেওয়া হলেও সেখানে যৌন কাজে বাধ্য করত। গ্রেপ্তার আসামি আগেও এ ধরনের অপরাধে ছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। 

ওসি সনজয় কুমার সিনহা খবরের কাগজকে বলেন, চক্রটির কেউ কেউ পোশাক কারখানার সমস্যাগ্রস্ত নারীদের সঙ্গে চাকরি করে সখ্যতা গড়ে তোলে। ধীরে ধীরে পরিচয়ের মাধ্যমে তাদেরকে টোপ দেয়। এরপর ভারতে পাচার করে দেয়। আমরা এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং মামলা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

মনির/জোবাইদা/অমিয়/