ঢাকা ৯ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে, তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের (পিএমও) হলে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪’ এর নির্বাচিত ফেলোদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তাদের সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া উচিত, যাতে করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা গর্ববোধ করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করা জাতি তাই বিশ্বদরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করেই চলব। সেইভাবেই আমাদের গড়ে উঠতে হবে।

তিনি বলেন, সব থেকে বড় কথা যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের কথাটা মাথায় রাখতে হবে। জাতির পিতা যে আহ্বান করেছিলেন ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবার-সংসার সব কিছু ছেড়ে দিয়ে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে। তাঁদের সেই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করে শত্রুকে পরাজিত করে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন। কাজেই তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে।

তিনি বলেন, একটা সময় এই মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিল এবং তিনি সরকারে আসার পর থেকেই তাদের সবরকম সহযোগিতা করেছেন ও করে যাচ্ছেন। 

দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধারা যেন সম্মানিত হন সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গর্ব করে যেন তারা বলতে পারেন আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমার মতামতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে, আমার দলে নাও থাকতে পারে। কিন্তু তারপরেও সে মুক্তিযোদ্ধা। কাজেই আমার কাছে সবাই সম্মানিত। আর সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষ তাঁদেরকে দেবে, সেটাই আমরা চাই।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অর্জনকারিদের অভিনন্দন জানিয়ে ভবিষ্যতে এটি যেন কেউ বন্ধ করতে না পারে সেজন্য ট্রাস্ট ফান্ড করে এরজন্য স্থায়ী বন্দোবস্তো করারও ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যায়ে ৩৯ জন ও পিএইচডি পর্যায়ে ১১ জনকে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত করা হয়। যার মধ্যে ৩৭ জন মাস্টার্স ডিগ্রি ও ১১ জন পিএইডি ফেলোকে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।

এ পর্যন্ত বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১১৬ জন পিএইচডি ফেলোকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২১৫ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ২৬ জন পিএইচডি ফেলো তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ স্বাগত বক্তৃতা করেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/

তৃতীয় টার্মিনালের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, দ্রুত শেষ করার নির্দেশ বেবিচক চেয়ারম্যানের

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
তৃতীয় টার্মিনালের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, দ্রুত শেষ করার নির্দেশ বেবিচক চেয়ারম্যানের
ছবি: সংগৃহীত

৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। 

এসময় তিনি তৃতীয় টার্মিনালে নবনির্মিত চেক ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, স্ক্যানার, বোর্ডিং ব্রিজ, এরাইভাল, ডিপার্চার এবং এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এপ্রোন ও রোড নেটওয়ার্কসহ এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত অন্যান্য স্থাপনাসমূহ পরিদর্শন করেন। টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি, কাজের মান এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। 

ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান যে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক যোগাযোগের গেটওয়ে হিসেবে এই টার্মিনালের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অতঃপর তিনি তৃতীয় টার্মিনালের অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বেবিচক চেয়ারম্যান সার্বিক কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিদেশি প্রতিনিধিরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকসহ বেবিচক এর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

অন্যদিকে আনসার সদস্যদের কর্মবিরতির পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে গত শুক্রবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান। এ সময় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় আকাশ পথে যাত্রীদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে কোন বাড়তি ভাড়া আদায় না করার বিষয়েও আহ্বান জানান। এছাড়া এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোকে বাড়তি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রীসেবা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনুরোধ করেন এবং সে অনুযায়ী কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেও জানান তিনি।  

বেবিচক চেয়ারম্যান আরও বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা কর্মবিরতিতে চলে যাওয়ার পর বেবিচক কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এভিয়েশন সিকিউরিটি এবং বিমান বাহিনীর সহায়তায় পুরো কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা সক্ষম হয়। বিমান বাহিনীর এই সহায়তার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বিমান বাহিনী প্রধানকে।  

তিথি/এমএ/

কৃষির ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম
কৃষির ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। ছবি: সংগৃহীত

বন্যাদুর্গত এলাকায় কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণপূর্বক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করা। তা সম্ভব না হলে শাকসবজিসহ উপযোগী রবিশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো কৃষি উৎপাদন যথাসম্ভব বৃদ্ধি করা। সেজন্য আবাদযোগ্য সকল জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। উপদেষ্টা এসময় বীজ ও সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের যোগান নিশ্চিতকরণ, বীজতলা তৈরি এবং সার্বিক প্রস্তুতি ও করণীয় নির্ধারণ করতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনকালে কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকরণে কৃষি কর্মকর্তাদের সক্রিয়ভাবে মাঠে থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করে যেতে হবে। তিনি এ সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। 

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামোর জন্য কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তা কেটে বা সুবিধাজনক উপায়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

সভায় কৃষি সচিব দেশের বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। উপদেষ্টা এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন ও সকলকে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী এ দুর্যোগকালীন সময়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় করণীয়/প্রস্তুতি বিষয়ে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:

ক) বন্যা কবলিত এলাকার কৃষি ফসলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার অব্যবহিত পরে রোপা আমনের বীজতলা, রোপিত আমন এবং দণ্ডয়মান আউশ ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান চাষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ধান পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রদানের পর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পুনর্বাসনের জন্য আগাম শীতকালীন সবজি কর্মসূচিও দেয়া হবে;
খ) বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত নিজস্ব উঁচু জমিতে রোপা আমন ধানের বীজ তলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
গ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রমের অব্যাহত রাখতে হবে;
ঘ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার নিকট রোপা আমন ধানের বীজের স্টক সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কৃষি পুনর্বাসন/সহায়তা কার্যক্রমের তথ্যাবলি সংগ্রহ করতে হবে;
ঙ) বিএডিসি/বিনাসহ অন্যান্য সকল সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমন বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা প্রস্তুতকরণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/সংস্থার নিকট অবিলম্বে সরবরাহ করবে;
চ) যথাসম্ভব বন্যা কবলিত এলাকার নিকটতম এলাকায় বীজতলা প্রস্তুত করতে হবে;
ছ) মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণকে বন্যাত্তোর কৃষি পুনর্বাসনের কার্যক্রম দ্রুততার সাথে শুরু করার জন্য এখন হতে সক্রিয় রাখতে হবে;
জ) বন্যা কবলিত এলাকায় ব্লক এবং উপজেলা ভিত্তিক পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে;
ঝ) বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির তথ্যাদি এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সচেতন করার জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিসকে সামগ্রিক কৃষি পুর্নবাসন কার্যক্রমের বিষয়ে তথ্য চিত্র প্রস্তুত করতে হবে;
ঞ) সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

ফেনীতে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জেনারেটরের ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশ

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
ফেনীতে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জেনারেটরের ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশ
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম

ফেনী জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সচল রাখতে মোবাইল অপারেটর কর্তৃক জেলায় নিয়োজিত জেনারেটরগুলোর ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিটিআরসিকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ না থাকায় ফেনী জেলার ৭৮টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সচল রাখতে প্রচুর ডিজেলের প্রয়োজন হচ্ছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলো সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই তিনি বিটিআরসিকে ৭৮টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সচল রাখতে মোবাইল অপারেটর কর্তৃক জেলায় নিয়োজিত জেনারেটরগুলোর প্রয়োজনীয় ডিজেল বিনামূল্যে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

প্রতি ঘন্টায় পোর্টেবল জেনারেটরে (পিজি) (৭৫ কেভি) ডিজেল ব্যবহৃত হয় ২ দশমিক ৩ লিটার এবং জেনারেটর (ডিজি) (৩০ কেভি) ডিজেল ব্যবহৃত হয় ৪ দশমিক ৪ লিটার। এই হিসেবে ৭৮টি জেনারেটরে প্রতিদিন ৬ হাজার ৫৫২ লিটার ডিজেল ব্যবহৃত হয়। যার মূল্য ৭ লাখ ১৪ হাজার ১৬৮ টাকা এবং ৭ দিনে ৪৫ হাজার ৮৬৪ লিটার যার মূল্য ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৬ টাকা। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার নির্দেশনায় বিটিআরসির ফান্ড থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।

অমিয়/

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে সিআরপি

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে সিআরপি
ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র গঠনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে আহত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবে সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)।

তাছাড়া, এই আন্দোলনে আহত সাধারণ মানুষদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ভর্তুকির মাধ্যমে সেবা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে আহত ব্যক্তিদের নিবন্ধন ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান করে সিআরপিকে সহায়তা দিবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাএইড’।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সাভারে সিআরপির প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন সেবা কার্যক্রম’ শীর্ষক আলোচনাসভা থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিম, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট ও বাংলাএইড-এর প্রতিনিধি এবং সিআরপির জেষ্ঠ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, থেরাপি ও পুনর্বাসন সেবা দেওয়ার ঘোষণা দেন সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন।

পুনর্বাসন একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া হলেও, সিআরপি শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে এই সেবা চালিয়ে যেতে চায় উল্লেখ করে অন্যান্য দাতা ও অংশীদারদের প্রতিও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। 

আর্থিক অবস্থা মূল্যায়ণ করে ভর্তুকির মাধ্যমে সিআরপি থেকে সেবা নিতে পারবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত সাধারণ মানুষও।
 
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে আহত ব্যক্তিদের সেবাদানের ক্ষেত্রে সিআরপিকে এরইমধ্যে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট। 

সভায় উপস্থিত হয়ে, এই সেবাদান প্রক্রিয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ করতে শিক্ষার্থীদের কাছে সহযোগিতা চান সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের হেড অব অপারেশনস কাজী আহমদ ফারুক। 

শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে সেবা প্রদানের আশ্বাস দেওয়ায় সিআরপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিমের সদস্য মাহমুদুল হাসান মিলহান বলেন, আন্দোলনে আহত, নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ‘রেড জুলাই’ নামে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এটি ডেটাবেইজ হিসেবে সংরক্ষণ করছেন তারা। 

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাএইড’-এর অন্যতম উদ্যোক্তা মো. আনিসুল হক জানান, এরইমধ্যে বাংলাএইড অ্যাপের মাধ্যমে আহত ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রেশন চালু হয়েছে। গুগল প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিকটস্থ সিআরপির কেন্দ্রে এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন আহত ব্যক্তিরা। 

সিআরপির এই কার্যক্রমের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সবাইকে অবগত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ, জেলা সিভিল সার্জনসহ যেখানে যেখানে প্রয়োজন যোগাযোগ করা হবে বলে জানান সিআরপির একাডেমিক প্রধান ও বিএইচপিআই প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. ওমর আলী সরকার।

১৯৭৯ সালে ব্রিটিশ ফিজিওথেরাপিস্ট ভ্যালেরি অ্যান টেইলর সিআরপি প্রতিষ্ঠা করেন; যা বর্তমানে ট্রাস্ট ফর দি রিহ্যাবিলিটশন অব দি প্যারালাইজড (টিআরপি) এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি অলাভজনক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধনী-গরীব নির্বিশেষে মেরুরজ্জুতে আঘাত, স্নায়বিক ও অস্থিহাড়-সংক্রান্ত সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা প্রদান করে থাকে। 

ঢাকার মিরপুর, সাভার ও মানিকগঞ্জ; সিলেট ও মৌলভীবাজার এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহে অবস্থিত ৯টি কেন্দ্র্রে স্বাস্থ্য সেবাসহ মেডিকেল কেয়ার, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপির পাশাপাশি প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিক্স বিভাগের মাধ্যমে কৃত্রিম হাত-পা তৈরি ও সংযোজন সেবা দেয়া হয়।

বাংলাএইড অ্যাপ ডাউনলোড লিংক: https://play.google.com/store/apps/details?id=ttit.com.shuvo.bijoyaid

অমিয়/

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক অনিয়ম হয়েছে: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক অনিয়ম হয়েছে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার পাটুরিয়ার সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শনের সময় তোলা; খবরের কাগজ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিগত বছরগুলোতে অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
 
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ায় স্পেকট্রা সোলার পার্ক লিমিটেডের ৩৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
 
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, ‘২০১০ সালে  বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন করা হয়েছিল। এই আইনের মাধ্যমে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই আগের সরকারের খাতিরের লোককে প্রকল্পগুলো দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে এই  বিদ্যুৎ কেনাও হয়েছে। বর্তমানে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে বকেয়া টাকাগুলো আমরা দিতে পারছি না।’
 
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আগে কোনো রকম বিবেচনা না করে বিদ্যুৎ বা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হতো। কিন্তু আপনারা জানেন এই সরকার জনপ্রত্যাশার সরকার। তাই বিবেচনা না করে আমরা বিদ্যুৎ বা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করব না। এজন্য আমি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই ২০১০ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের ভবিষ্যত প্রয়োগ বন্ধ করে দিয়েছি। সামনে প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আর কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না।’
 
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বেশি জোর দেওয়া হবে। কারণ এর সুবিধাতো আপনারা বুঝতেই পারছেন, একবার এটা স্থাপন করা হলে আর কোনো জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। সূর্যের আলো থেকেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রতিবছর এই খাতে ৪২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ইতোপূর্বে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় এই সমস্যা হয়েছে। কম দামে বিদ্যুৎ না কেনা পর্যন্ত আমাদের সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। আমাদের কাছে আলাদিনের জাদুর চেরাগ নেই। ১৬ বছরের অনিয়ম-দূর্নীতি ১৬ দিনেই অপসারণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সব খাতে বৈষ্যম নিরসনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’

বন্যাকবলিত এলাকায় কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার জানেন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাস, বন্যা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে তখন সেখানকার মানুষ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এর জন্য বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্যার পানি যখন নেমে যাবে তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।’

এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
আসাদ জামান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/