ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

পাবনা-৪ প্রয়াত মন্ত্রীর সাত আত্মীয়সহ মনোনয়নপ্রত্যাশী ২৪ জন!

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
প্রয়াত মন্ত্রীর সাত আত্মীয়সহ মনোনয়নপ্রত্যাশী ২৪ জন!
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এবার রেকর্ডসংখ্যক মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে। এই আসনে বর্তমান এমপিসহ মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা ২৪ জন।

চমক হচ্ছে, এই আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবার থেকেই মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ফরম তুলেছেন তার আপন তিন ভাই-বোন, ভগ্নিপতিসহ চারজন। আরও আছেন প্রয়াত মন্ত্রীর তিনজন আত্মীয়। মোট সাতজন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছেন। এক পরিবার থেকে এতজনের মনোনয়ন ফরম তোলা নিয়ে চলছে রসালো নানা রকম গুঞ্জন।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন প্রয়াত মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ, মেজো ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাকিবুর রহমান শরীফ কনক, মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন পিয়া এবং জামাতা (পিয়ার স্বামী) ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর খালাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বশির আহমেদ বকুল, ফুপাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব ও ভগ্নিপতি (খালাতো বোনের স্বামী) উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডল।

উল্লিখিত ছয়জন ছাড়াও এই আসনে মনোনয়ন জমাদানকারীর তালিকায় রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাবেক এমপি পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ্, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম লিটন, আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ নায়েব আলী বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, সাবেক পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা তারা, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোষাধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন তুহিন, একই সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. সাহেদ ইমরান, ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু, প্রকৌশলী আব্দুল আলীম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুসলিমা জাহান ময়না।

আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনটিতে প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ১৯৯৬ সাল থেকে টানা চারবার এমপি হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ফলে এলাকায় ডিলুর পরিবারের ব্যাপক প্রভাব তৈরি হয়। ২০১৪ সালে এমপি হওয়ার পর তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এতে পরিবারটির প্রভাব আরও বেড়ে যায়।

২০২০ সালে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা যান। এর পর থেকে পৃথকভাবে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে উপনির্বাচনে শামসুর রহমান শরীফের স্ত্রী কামরুন্নাহার, দুই ছেলে, মেয়ে, জামাতাসহ পরিবারের সাতজন মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। সেই থেকে পরিবারটি ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত মনোনয়নবঞ্চিত হয় পরিবারটি। ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তিনি এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু হাল ছাড়েনি প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবার।

আসন্ন সংসদ নির্বাচন ঘিরে আবারও মনোনয়ন-প্রত্যাশায় তারা পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে ও মিছিল-মিটিং করে প্রচার চালাতে থাকেন। বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দুই ভাই, তাদের বোন, ভগ্নিপতির পৃথক বিলবোর্ড টাঙানো রয়েছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ তারা আলাদাভাবে আয়োজন করেন। এবার প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবারের চারজন ও তাদের আত্মীয় তিনজনসহ মোট সাতজন মনোনয়ন চাওয়ায় এ নিয়ে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে চলছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা।

এ বিষয়ে প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা মাহজেবিন শিরিন পিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের পরিবার সম্পর্কে সবকিছু জানেন। তিনি যাকেই মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষে আমরা কাজ করব।’

মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর মেজো ছেলে সাকিবুর রহমান শরীফ কনক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারেন। যিনি জনগণের আস্থার জায়গা অর্জন করতে পারবেন, তিনি বিজয়ী হবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা সবাই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’

ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে আওয়ামী লীগে এসেছি। ঈশ্বরদী পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলাম। দলীয় কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। নিজের পরিচয়েই আমার মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বলে আমি মনে করি।’

এ বিষয়ে পাবনা-৪ আসনের বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। তাই দলীয় নেতা-কর্মী যে কেউই দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন, এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিন ভাইবোন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আছেন। মনোনয়ন সবাই চাইতে পারেন। তবে একই পরিবার থেকে এতজনের মনোনয়ন-প্রত্যাশা শোভনীয় নয় বলে মনে হয়।’

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’