বিপিএলের ঢাকা পর্ব শেষে এখন অপেক্ষা সিলেট পর্বের। চায়ের দেশ সিলেটে হবে বিপিএলের ১২ ম্যাচ। স্বভাবতই শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিপিএলের আমেজ। সিলেটের অলি-গলিতে টের পাওয়া যাচ্ছে বিপিএল জ্বরের উত্তাপ। নতুন শহরে বিপিএল যে আলাদা মাত্রা পাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই উত্তাপের শুরুটা হবে আজ (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্স। টানা দুই ম্যাচ হেরে চায়ের দেশে আসা সিলেট স্ট্রাইকার্স মাঠে নামবে রাতে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সিলেটে এসেছে খুলনা টাইগার্স। অনুশীলনেও ছিল সিরিয়াসনেস। ভেন্যু বদলালেও জয়ের ওই ধারাবাহিকতা যে ধরে রাখতে চায় সেটা স্পষ্ট ছিল এনামুল হক বিজয়ের দলের শরীরী ভাষায়। অন্যদিকে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা রংপুর রাইডার্স দ্বিতীয় ম্যাচে পেয়েছে জয়। সেই জয়ের সঙ্গে তাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাসী যোগাবেন সাকিব আল হাসান। অন্তত তিন ম্যাচ মিস করার শঙ্কায় ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেই শঙ্কা দূর করে আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে খেলবেন তিনি। চোখের চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে পেয়েছেন বিপিএল খেলার গ্রিন সিগন্যাল। ফলে দেরি না করে গতকাল সন্ধ্যায় দলের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
অন্যদিকে স্বাগতিক সিলেট মাঠে নামবে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে। তাদের প্রতিপক্ষ লিটন দাসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা দুই হারে ঢাকা পর্ব শেষ করা সিলেট আছে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয়ের খোঁজে। নিজ শহরে দলটি প্রথম জয় পেলে সেটা স্বাগতিক দর্শকদের বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে। কুমিল্লার বিপক্ষে এই ম্যাচে সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি গতকাল পর্যন্ত দলের সঙ্গে যোগ দেননি। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে আজ সকালে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
কুমিল্লা-সিলেট ম্যাচে টস হয়ে উঠবে অন্যতম বড় নিয়ামক। ঢাকার থেকে তুলনামূলক বেশি ঠাণ্ডা ও কুয়াশা থাকায় রাতের ম্যাচে প্রভাব ফেলবে শিশির। বাড়তি শিশির থাকলে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করা খানিকটা কঠিন হয়ে পড়ে বোলারদের জন্য। ফলে সিলেট-কুমিল্লা লড়াইয়ে টস জয়ের আশায় থাকবে দুই দল। টস জয়ী অধিনায়ক যে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিবেন সেই আভাস পাওয়া গেছে তানজিম সাকিবের কথায়।
গতকাল ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রতিনিধি হয়ে আসা তানজিম সাকিব বলেন, ‘সিলেটে শিশির ঢাকার থেকে অনেক বেশি পড়ে। পরে যারা বোলিং করে সেক্ষেত্রে দেখা যায় বল অনেক ভারি হয়ে যায় এবং বোলিং করাটা একটু কঠিন। তাই টস একটা বড় বিষয়।’
কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচে পুরোনো ভুলের পুনরাবৃত্তি করা হবে না বলেও বিশ্বাস করেন এই ডানহাতি পেসার। তার কথায়, ‘আমরা ঢাকায় যে ভুলগুলো করছি চেষ্টা করব সিলেট পর্বে যেন ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। আর অবশ্যই সিলেট দলকে এগিয়ে রাখব।’
পাশাপাশি এও জানিয়ে দেন হোম ভেন্যু হওয়ায় স্বাগতিক দর্শকদের উপস্থিতি তাদের দিবে বাড়তি অনুপ্রেরণা। তানজিম হাসান সাকিব বলেন, ‘সিলেটে যখনই আমরা খেলতে আসি আমরা অনেক ভালো সমর্থক পাই, সমর্থন পাই। অনুপ্রেরণা জোগায়। এটা আমাদের মোটিভেশন হিসেবে কাজ করে। যত বেশি ক্রাউড আসবে, তত ভালো খেলার উদ্দীপনা পাব।’
তার কথায় স্পষ্ট, ঘরের মাঠে সমর্থকদের বাড়তি সমর্থনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের মাঠে বহু প্রতীক্ষিত এই জয় পেলে হয়তো বদলে যেতে পারে দলটির চেহারা।