![অনেকটা নিশ্চিত আবাহনীর শিরোপা জয়](uploads/2024/04/26/1714109180.Nazmul_Hossain_Shanto.jpg)
সময় যত গাড়াচ্ছে আবাহনী যেন ক্রমেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে যেমন পয়েন্টের ব্যবধান বেড়েই চলেছে, তেমনি দলগত শক্তিরও। একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে সুপার লিগে উঠে আসার পর আবাহনী আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কোনো দলই পাত্তা পাচ্ছে না। বেলা গাড়ানোর আগেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে খেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিততে ৮০ ওভারও খেলা হয়নি। গতকাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকেও একইভাবে ঘায়েল করেছে ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট করে ১৭১ রানে ম্যাচ জিতে।
আগে ব্যাট করে নাজমুল ইসলাম শান্তর (১০১) সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করেছিল। এই জয়ে আবাহনীর শিরোপা জয় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৬। সুপার লিগের শেষ ৩ ম্যাচে তারা হেরে গেলেও অপর কোনো দল তাদের ২৬ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। একমাত্র মোহামেডানই যদি তাদের শেষ ৩ ম্যাচ জিতে, সে ক্ষেত্রে তাদের পয়েন্ট সর্বোচ্চ ২৬ হবে। তখন আবার বাইলজের সহায়তা নেওয়া হবে। কিন্তু আবাহনী যেভাবে দুরন্ত গতিতে এগোচ্ছে তাতে করে তারা আদো কোনো ম্যাচ হারে কি না এ নিয়ে সন্দেহ আছে?
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর আবাহনীর বড় ইনিংস গড়ে উঠে জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ম্যাচ সেরা সেঞ্চুরির সঙ্গে এনামুল হক বিজয় ও তাওহীদ হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও লিটন দাস দুজনেই ৩৩ রান করে আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল ও এনামুল ১৭ ওভারে ১৩০ রান যোগ করেন। বিজয় মারমুখী ইনিংস খেলে মাত্র ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হন ৬৮ রানে। তার ৫১ বলের ইনিংসে ছিল। ৫টি ছক্কা ও ৪টি চার। নাজমুল হাফ সেঞ্চুরি করতে ৬১ বল খেললেও পরের ৫০ রান করেন মারমুখী ব্যাটিং করে মাত্র ২১ বলে। ৬ ছক্কা ও ৮ চারে। লিগে ৪ ম্যাচ খেলে ৩ ইনিংসে ব্যাটিং করে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে তিনি প্রথম পর্বে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ১১৮ রান করেছিলেন।
সেঞ্চুরি করার পর তিনি আর বেশি দূর যেতে পারেননি। ১০১ রানে শাকিল পারভেজ জীবনের বলে ওয়াসিক সিদ্দিকির হাতে ধরা পড়েন। তিনি আউট হওয়ার আগে তাওহীদের সঙ্গে মাত্র ৫.২ ওভারে ৫৯ রান যোগ করেন। তাওহীদ ৪০ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষের দিকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৭ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ও তাওহীদ ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫.৪ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৫৭ রান যোগ করেন।
বিশাল টার্গেটের পেছনে ছুটে গাজী গ্রুপের ব্যাটাররা আবাহনীর বোলারদের তোপে পড়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। যদিও এ দিন আবাহনী তাসকিন-শরিফুলকে খেলায়নি। তারপরও তারা মাত্র ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে সাব্বির হোসেন শিকদারের ব্যাট থেকে। আবাহনীর হয়ে রকিবুল হাসান ৪৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব ও হোসেন সৈকত।