![ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চালু হয়নি ৭ বছরেও](uploads/2024/01/24/1706073768.bagura-zenarel-hospital-111.jpg)
এক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন ৭ বছরেও চালু করতে পারেনি বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অ্যানালগ এক্স-রে মেশিন দিয়েই চলছে হাসপাতালটির রেডিওলজি বিভাগ। ডিজিটাল এক্স-রের জন্য সরকারি এ হাসপাতালের রোগীদের পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে। এতে ব্যয় ও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০১৭ সালের ৫ আগস্ট আইসিআর-৩৬০০ মডেলের একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেয়। বেঙ্গল সাইন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি মেশিনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর কয়েকবার চেষ্টা করেও ওই কোম্পানির প্রকৌশলীরা মেশিনটি চালু করতে পারেননি। পরে মেশিনটি ওই অবস্থায় রেখে চলে যান প্রকৌশলীরা। এ হাসপাতালে দিনে কমপক্ষে ৬০ জন রোগীর ডিজিটাল এক্স-রে করার প্রয়োজন হয়। এখন হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগ চলছে ১৯৯০ সালে বসানো অ্যানালগ এক্স-রে মেশিন দিয়ে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. শফিক আমিন কাজল জানান, মেশিনটি চালু কারার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মেশিনটি চালুর জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সাইন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানিকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এ অবস্থায় সু-চিকিৎসার স্বার্থে হাসপাতালের রোগীদের ডিজিটাল এক্স-রে করার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো হচ্ছে। মেশিনটি চালু করার জন্য আবারও কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হবে।
সার্জারি ইউনিটের সামনে কথা হয় দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়া ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি জানান, ডাক্তার তাকে বাইরে থেকে ডিজিটাল এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়ে ছিলেন। তাই তিনি বেসরকারি হাসপাতালে এক্স-রে করেছেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের ব্যাংক করপোরেট গ্রাহক হওয়ায় আমাকে ৪২০ টাকা বিল দিতে হয়েছে। কিন্তু যাদের এ সুযোগ নেই তাদের ডিজিটাল এক্স-রে করতে লাগে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।’
এ হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বগুড়া সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০)। রাজা মিয়া তার ভাই হাফিজার শেখের সঙ্গে ডিজিটাল এক্স-রে করার জন্য যান হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে। সেখানে তাকে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে ডিজিটাল এক্স-রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গরিব বৃদ্ধ এ রোগীকে নিয়ে তার ভাই হাফিজার শেখ পড়েন বিপদ।