![শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত কুয়াকাটা](uploads/2024/01/26/1706242245.kuyakata-111.jpg)
শীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পটুয়াখালীর সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ভ্রমণে এসেছেন শত শত পর্যটক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কুয়াকাটায় এসব পর্যটক আসেন।
বর্তমানে সৈকতে অবস্থানরত পর্যটকদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। শীতের আবহাওয়া উপেক্ষা করে অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসাচ্ছেন। অনেকে আবার প্রিয়জনদের সঙ্গে তুলছেন সেলফি। কেউবা আবার সৈকত পাড়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন সাগরের গর্জন।
বরিশাল সিংহেরকাঠি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসমা সিদ্দিকা বলেন, ‘বরিশাল থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব খুব কম। প্রকৃতির কাছে শিশুরা এলে অনেক কিছু শিক্ষা নিতে পারে। কুয়াকাটায় তাই ভ্রমণে এসেছি।’
সিংহেরকাঠি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুয়াইব শরীফ বলেন, ‘অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল কুয়াকাটা ভ্রমণে আসার। আজ সে স্বপ্নপূরণ হয়েছে।’
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিরব হাসান বলেন, ‘বইয়ে পড়েছি দেশের মধ্যে একটি পর্যটন এলাকা আছে, যেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। সরেজমিনে সেটি দেখতে এসেছি। আমাদের স্কুল থেকে নিয়ে এসেছে। খুব সুন্দর জায়গা। বন্ধুরা উপভোগ করছি।’
ঝিনুক ব্যবসায়ী তমাল বলেন, ‘এই সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা সফরে আসে। এর কারণে অনেক শিক্ষার্থীর আসা হয় কুয়াকাটায়। এতে আমাদের বেচাকেনা ভালো হয়।’ আচার ব্যবসায়ী রিপন মাহমুদ বলেন, ‘শীতের সময়ে শিক্ষা সফরে কুয়াকাটায় অনেক শিক্ষার্থী আসে। তারা বিভিন্ন ধরনের আচার ও চকলেট কিনে নিয়ে যায়। এতে আমাদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে।’
মাদারীপুর এলাকার বাসিন্দা স্নিগ্ধা মণ্ডল বলেন, ‘সমুদ্র ভ্রমণের বিষয় অন্যরকম অনুভূতি প্রকাশ পায়। আজকে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দেখলাম শিক্ষা সফরে এসেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। কারণ ভ্রমণ করলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়।’
গোপালগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জন্য কক্সবাজারের থেকে কুয়াকাটায় আসা সহজ। খরচও কম লাগে। যখন সুযোগ পাই, সমুদ্রে বেড়াতে আসি। সমুদ্র পাড়ে এলে মন ভালো থাকে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতাবেক শরিফ বলেন, ‘আগতরা সকলে শিক্ষা সফরে এসেছেন। এর ফলে কুয়াকাটায় তারা রাতযাপন করবে না। এর কারণে অধিকাংশ হোটেল কক্ষ ফাঁকা রয়েছে।’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।