![একই কলেজের ২ শহিদ মিনার ভাঙচুর](uploads/2024/02/13/1707832447.Shohid_Minar.jpg)
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী আদর্শ কলেজের দুই শহিদ মিনার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কলেজের নৈশপ্রহরী আব্দুর রউফ জানান, রাতে তিনি কলেজ পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। রাত ১টার দিকে শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি শহিদ মিনারের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় তিনি শহিদ মিনারের কাছে আবুল মৃধা ও তার ছেলে মিজানুর মৃধাসহ সাত-আটজনকে দেখতে পান। তারা তাকে (নৈশপ্রহরী) ধমক দিয়ে ‘চলে যেতে বলেন।’ ভয় পেয়ে আব্দুর রউফ কলেজের ভেতরে চলে যান। কিছু সময় পর বের হয়ে তিনি দেখেন, পুরোনো শহিদ মিনারের দুইটি পিলার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া নির্মাণাধীন নতুন শহিদ মিনারের টাইলসের কিছু অংশ ভাঙা।
বাবুখালী আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ সরকার বলেন, “রাতে নৈশপ্রহরী আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমি ফোন ধরতে পারিনি। সকালে কলেজে এসে দেখি শহিদ মিনার ভাঙা অবস্থায় আছে। নৈশপ্রহরী আমাকে জানিয়েছে ‘আবুল মৃধা ও মিজানুর মৃধাসহ সাত-আটজনকে দেখতে পেয়েছে’।”
শহিদ মিনার ভাঙার ঘটনায় মিজানুর রহমান মৃধাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তিনি তার ফেসবুক পেজে এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘আজ বেলা সাড়ে ১১টার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম, বাবুখালী আদর্শ কলেজের শহিদ মিনার কে বা কারা ভেঙে ফেলেছেন, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চাই।’
“কিছুক্ষণ পরে আবার ফেসবুকে দেখতে পারি, কলেজের নাইটগার্ড আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলছেন, ‘রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে একটা শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, আবুল মৃধা ও মিজানুর মৃধা শহিদ মিনার ভেঙে পালিয়ে যাচ্ছে।’ এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। কারণ কলেজ মার্কেটে থাকা আমার একটা দোকানটা ভাঙা হয়েছিল। ওই ঘটনায় আমি একটা মামলা করেছি। সেই মামলার ৫ নম্বর আসামি আব্দুর রউফ মৃধা।”
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, ‘কলেজের জায়গায় লিজ নিয়ে দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিজানুর মৃধার ঝামেলা চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলাও করেছেন মিজানুর মৃধা। তাই শহিদ মিনার ভাঙচুর করে মিজানুর মৃধাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে কি না অথবা এই ঘটনার সঙ্গে মিজানুর মৃধাসহ অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’