ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

চমেকে অর্থাভাবে বন্ধ স্মৃতিস্তম্ভের কাজ

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ পিএম
চমেকে অর্থাভাবে বন্ধ স্মৃতিস্তম্ভের কাজ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর। খবরের কাগজ

আজ নয়তো কাল, মাহবুব ফিরবেই। এটা ছিল মরিয়ম খাতুনের বিশ্বাস। ছেলের পথ চেয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর প্রহর গোনেন তিনি। কিন্তু মাহবুব আর ফেরেননি। ২০০৪ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ছেলের কাছেই চলে যান মরিয়ম খাতুন। ৩৭ বছর পর পরিবার এবং স্বজনরা জানতে পারেন, চট্টগ্রামের প্রথম চার শহিদের একজন মাহবুবুল আলম চৌধুরী। তার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে গণকবরে মাটি চাপা দিয়েছে পাকিস্তানি বাহিনী।

শুধু শহিদ মাহবুবুল আলম চৌধুরী নন, পাকিস্তানি নরপশুরা অন্তত ২৫ জন বাঙালিকে গণহত্যা করে সেখানে মাটি চাপা দিয়েছিল। ওই গণকবরে রয়েছেন চট্টগ্রামের প্রথম চার শহিদের একজন ওমর গণি এম ই এস কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল আলম চৌধুরী, একজন দরবেশ, দুজন ইপিআর সদস্য ও আরও অজ্ঞাত ২১ জন। 

মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘২৬ মার্চের পর চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়ামের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত নৌ ভবনে অবস্থান নেওয়া পাকিস্তানি সৈন্যরা ২৭ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী (প্রয়াত সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি), মোছলেম উদ্দিন আহমদ (প্রয়াত এমপি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি)সহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে নির্যাতন চালায়।’

এরপর ২৮ মার্চ পাকিস্তানি সৈন্যদের একটি দল পুরোনো বিমান অফিসের পেছনের গলি দিয়ে মেথর পট্টি হয়ে এবং লাভ লেইন দিয়ে ডিসি হিলে উঠে অবস্থান নেয়। ২৮ মার্চ ছাত্রনেতা বশরুজ্জামানসহ চারজন এক গাড়ি নিয়ে নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রসদ নিয়ে যাচ্ছিলেন।

২৮ মার্চ বিকেল ৪টায় তাদের ১১ জনের একটি দল দুটি গাড়িতে করে আন্দরকিল্লা হয়ে চেরাগী পাহাড়ের মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি নেভাল ফোর্স ডিসি হিল থেকে তাদের ওপর বৃষ্টির মতো গুলি করে। তারাও প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু সুসজ্জিত হানাদার বাহিনীর সামনে স্বল্প শক্তির ১১ মুক্তিযোদ্ধা টিকতে পারেননি। এই যুদ্ধে বশরুজ্জামান চৌধুরী, দিলীপ বড়ুয়া, জাফরসহ চারজন শহিদ হন। পৌর চেয়ারম্যান ফজল করিমের কেয়ারটেকার আলী এবং প্রতিবেশী জহুর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাহবুবকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। 

শহিদ মাহবুবুল আলম চৌধুরীর ছোট ভাই রফিকুল আলম চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘তার বড় ভাই ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ২৮ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহিদ হন। চট্টগ্রাম শহরের চেরাগী পাহাড় মোড়ের এই প্রতিরোধ যুদ্ধে তিন সহযোদ্ধা শহিদ বশরুজ্জামান চৌধুরী, শহিদ জাফর আহমদ, শহিদ দীপক বডুয়াও বীরত্বের সঙ্গে শহিদ হন। তারা হলেন চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ মুক্তিযোদ্ধা এবং চারজনই চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ও এম ই এস কলেজ ছাত্র সংসদের সিনিয়র নেতা।’ 

তবে তার ভাই যে যুদ্ধের একদম শুরুতেই শহিদ হয়েছিলেন তা তারা জানতে পারেননি। সেসময় যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো না থাকায় কেউ খবর দেয়নি। আবার ফটিকছড়ির গ্রাম থেকে কেউ খোঁজ নিতে আসারও সুযোগ পাননি। স্বাধীনতার পরও ছেলে ফিরে না আসায় ১৯৭৬ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি পুত্রশোকে মারা যান পিতাও। তারপরও আশায় বুক বেঁধে ছিলেন মা ও ছোট ভাইয়েরা।
 
রফিকুল আলম জানান, স্বাধীনতার প্রায় চার দশক পর স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম ‘মেডিকেল কলেজে একাত্তরের শহিদদের গণকবরের সন্ধান’ শীর্ষক লেখাটি পড়ে ভাইয়ের সন্ধান পান তারা। 

মূলত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানেই মেডিকেলের পেছনে মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোণার বধ্যভূমির তথ্যটি উঠে আসে। মেডিকেলের দশম ব্যাচের ছাত্র ডা. ওমর ফারুক তার স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে ঐতিহাসিক এই তথ্যটি প্রকাশ করেন। ডা. ফারুক স্বাধীনতার পরপরই কলেজে এসে নিজেই দেখেছেন মাটিচাপা দেয়া জায়গাটি। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াল দিনগুলোতে কর্তব্যের খাতিরে কলেজে থাকতে বাধ্য হওয়া কর্মচারীদের কাছেও গণকবরের কথা তিনি শুনেছেন। 

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর গণকবরের স্থানটি সংরক্ষণ করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিশেষ উদ্যোগে কাজটি শুরু হয়। গণকবরের চারপাশ পাকা দেয়াল দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। তবে শহিদ বেদী নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার আগেই কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম খবরের কাগজকে জানান, অর্থাভাবে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পাঁচগাঁও আলহাজ ওয়াহিদ আলী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার। অপর প্রার্থী মিলনের সমর্থক নূর মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাকে মাঠে ফেলে দিয়ে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। সুমনকে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। 

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি পুলিশ সুপার। 

প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার বড়হাতিয়া এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর বড় দুই ভাই ও তাদের পরিবাবার মিলে বেধব মারধর করে হাত ভেঙে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় অপর ভাইয়ের পরিবারকে। দুই সন্তান নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাসায় রয়েছেন। ভয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন না, চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তিনি। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই এ ঘটনার পর লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ফেরদৌসী বেগম (৩৩)। মামলায় মোহাম্মদ হারুন (৫৬), মোহাম্মদ আকতার (৫১) শাহিনা আক্তার রুবি (৪২), রুবি আক্তার (৪৯) আসামি করা হয়। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই এলাকার প্রবাসী মোহাম্মদ আজমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩৩) বসত ঘরে ছাদে পানি জমাকে কেন্দ্র করে ভাসুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের তাকে পিটিয়ে জখম করেন। বেধব মারধরের কারণে ফেরদৌসী বেগমের বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে যায়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার পর আসামিদের ভয়ে আর বাড়ি যাচ্ছেন না। 

ফেরদৌসী বেগমের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আফিফা জান্নাত (১৩) ও মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাজিফা বিনতে আজমকে (৬) নিয়ে  চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রবাসি আজম বিদেশে থাকায় তার দুই ভাই আসামি হারুন ও আকতার পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য আজমের পরিবারকে বাড়িভিটে ছাড়া করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বড়হাতিয়া এলাকার আজিজ ডাক্তার পাড়ার সর্দার মোহাম্মদ বাদশা বলেন, আজমের বউ ফেরদৌসীকে আসামিরা আমার সামনেই বেধব মারধর করেন। আমি তাদের ক্ষান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তারা আমার গায়েও হাত তুলে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। 

ফেরদৌসী বেগম খবরের কাগজকে বলেন, আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আসামিরা। আমার চিৎকার শুনে পাড়ার সর্দারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তারা আমাকে ও আমার সন্তানদের বাড়িভিটে ছাড়া করতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই। তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে যেতে পারিছি না। দুই সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি বাড়ি গেলে আমার সন্তান ও আমার উপর আবার আঘাত করবে আসামিরা। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। 

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, বাড়ির ছাদে পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের বাদির উপর আক্রমণ করে আসামিরা। ফেরদৌসী বেগমের দায়ের করা মামলায় একজন আমাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য প্রচেষ্টা আছে।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনার ঘটে। 

এই দুজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ কাটা হচ্ছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় পাশের বিদ্যুতের তারে ক্রেনটি লেগে গিয়ে ক্রেনের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

জুয়েল রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে দীর্ঘ ৩৩ দিন পর যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তিনটি সার্ভিস ট্রলার নিরাপদে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী সার্ভিস ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের নাফ নদী দিয়ে নিরাপদে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছেছি। যদি গোলারচরটি খনন করা হয় তাহলে সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং সহজে পণ্যবাহী ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রীসহ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। আমরা নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‘আগে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যে নৌরুট ছিল সেটি যদি খনন করা হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তখন আমাদের মায়ানমারের জলসীমানা আর ব্যবহার করতে হবে না। সেন্টমার্টিনে চাকরিরত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাওয়া আসা করতে অসুবিধা হবে না। তবে তাদের চাকরির আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।’

মায়ানমারে নিজেদের মধ্যে চলামান সংঘাতের কারণে গত ৫ জুন থেকে এ নৌরুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচর বন্ধ ছিল।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় বালুভর্তি এক ট্রাক থেকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বালুভর্তি ট্রাকে ভারতীয় চোরাই চিনি পরিবহনের খবর পেয়ে, সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। পরে দুপুর সোয়া দুইটার দিকে গোয়াইনঘাটে একটি ট্রাক ধরা পড়ে। বালু যেভাবে পরিবহন করা হয়, ঠিক সেভাবেই ট্রাকটিতে বালু ছিল। বেলচা দিয়ে কিছু বালু সরালে চিনির বস্তা দেখা যায়। পরে ট্রাকের চালককে আটক করা হয়। তার নাম জাকির হোসেন (৩৪)। বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়ায়।

পরে পুলিশ শ্রমিক দিয়ে বালু সরিয়ে ৩০০ বস্তা ভারতীয় তৈরি চিনি জব্দ করে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চিনি রয়েছে। এ হিসেবে ১৫ হাজার কেজি চিনির বর্তমান বাজার দর প্রায় ১৮ লাখ টাকা। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিলেটের সীমান্ত উপজেলাগুলোতে একাধিক পাথর ও বালুমহাল রয়েছে। এসব মহাল থেকে বালু-পাথর পরিবহনে নিয়োজিত রয়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। পাথরমহাল বন্ধ থাকার পরও ট্রাক দিয়ে পাথর পরিবহনের বিষয়টি খোঁজ নিতে গিয়ে একের পর বেরিয়ে আসে পাথরচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা। এরপর পাথরবাহী ট্রাকে আর কোনো চিনি পাওয়া যায়নি। তবে বালুচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা এই প্রথম দেখা গেছে।

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি চোরাচালানের সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা করে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট ব্যুরো/পপি/অমিয়/