![গ্রাহকের শতকোটি টাকা আত্মসাৎ, আটক পরিচালক](uploads/2024/06/30/Prannath-1719718921.jpg)
সাতক্ষীরার প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের শতকোটি টাকা প্রতারণা করে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাসকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুন) পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক প্রাণনাথ দাস (৪৬) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামের মৃত জুড়ন দাসের ছেলে।
এর আগে গ্রাহকের শতকোটি টাকা লোপাট করে পালানোর সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশের (এসডিএফ) হাতে আটক হন প্রাণনাথ। পরে ভারতে তিন মাস জেল খাটার পর কয়েক দিন আগে দেশে ফেরেন তিনি।
এদিকে, প্রাণনাথ দাসকে আটকের খবর পেয়ে শত শত গ্রাহক থানায় ভিড় করেন।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, প্রাণনাথ দাস ২০০২ সালে রুপালি লাইফ ইনস্যুরেন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা ও জেলার বাইরে বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বহু টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে ২০১২ সালে ১২১নং সমবায় রেজিস্ট্রেশন মূলে প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি খোলেন তিনি। সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে স্ত্রী ইতি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক বড় ভাই বিশ্বনাথ দাসকে নিযুক্ত করে গত ১০ বছরের ডিপিএস ও ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে শতকোটি টাকা প্রতারণা করেন।
গুঞ্জন রয়েছে, প্রতারণার টাকা দিয়ে তিনি পুরাতন সাতক্ষীরায় বাড়িসহ গাভায় চার বিঘা জমি, সদুরডাঙিতে দুটি বাড়ি, বুধহাটায় দুটি অফিস, মুন্সিপাড়ায় চার শতক জমি ক্রয়সহ পুরাতন সাতক্ষীরায় দুটি শোরুম খোলেন। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে প্রাণনাথ সাতক্ষীরা মন্দির সমিতি ও বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন সংগঠনের বড় বড় পদ বাগিয়ে নেন।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের শতকোটি টাকা নিয়ে পলাতক প্রাণনাথকে আটক করা হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাজমুল শাহাদাৎ/অমিয়/