ঢাকা ৫ ভাদ্র ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪

আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
এসআই রেজাউল ইসলাম শাহ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে সরস্বতী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পুলিশের উপ-পরিদশর্ক (এসআই) রেজাউল ইসলাম শাহ’র (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রেজাউল ইসলাম শাহ রায়গঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি নওগাঁ জেলার সাপাহার গ্রামের তোজাম্মেল হক শাহ’র ছেলে।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সলঙ্গা থানার এরানদহ গ্রামে খুন ও ডাকাতি মামলার আসামি নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করতে অভিযানের সময় আসামি সরস্বতী নদীতে ঝাপ দেন। এ সময় এসআই রেজাউল ইসলামও তাকে ধরতে নদীতে ঝাপ দেন। কিন্তু আসামি নদী পাড় হলেও রেজাউল নদীতে তলিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা করে তাকে উদ্ধার সিরাজগঞ্জ শহিদ এম এ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গোলাম আম্বিয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ হাসপাতালে রয়েছে।

সিরাজুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/

পটপরিবর্তনের পরও থামছে না ভারতীয় চিনির চোরাচালান!

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
পটপরিবর্তনের পরও থামছে না ভারতীয় চিনির চোরাচালান!
ছবি : খবরের কাগজ

সরকার বদলের পর ক্ষমতার দাপট দেখানো রাজনৈতিক নেতারা পলাতক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতেও চলছে ব্যাপক রদবদল। আমূল পরিবর্তিত অবস্থায়ও সিলেটে থামছে না ভারতীয় চোরাই চিনির চালান। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানা এলাকার উমাইরগাঁওয়ে ধরা পড়েছে ৩০ বস্তা চোরাই চিনি। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে এসএমপির মিডিয়া সেলের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে জালালাবাদ থানা-পুলিশ একটি পিকআপসহ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার চিনি জব্দ করেছে।

উমাইরগাঁও থেকে গত ৬ জুন একসঙ্গে ১৪ ট্রাক চোরাই চিনির চালান ধরা পড়ে। খবরের কাগজে পরদিন চোরাই চিনির সঙ্গে ক্ষমতাসীন এমপিদের জড়িত থাকার তথ্য দিয়ে ‘অচেনা এমপির লোক কারা?’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। এরপর খবরের কাগজে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি সিলেট ও সুনামগঞ্জে চোরাই চিনির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানও শুরু হয়েছিল। 

গত প্রায় দুই মাসে অন্তত শতাধিকবার অভিযান হয়েছে। আন্দোলনের সময় কারফিউ চলাকালেও অভিযানে ধরা পড়েছে ভারতীয় চোরাই চিনি। সরকার বদলের পর সেই উমাইরগাঁও থেকে চোরাই চিনি ধরার এটিই প্রথম ঘটনা। 

পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সালাহউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কতিপয় চোরাকারবারি একটি পিকআপ ট্রাকযোগে ভারতীয় চিনি নিয়ে হাটখোলার উমাইরগাঁও রাস্তা দিয়ে সিলেট মহানগরের দিকে প্রবেশ করছে। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে জালালাবাদ থানাধীন হাটখোলা ইউপির উমাইরগাঁও বাজারসংলগ্ন ভাদেশ্বর নদীর ওপর ব্রিজের রাস্তায় ভারতীয় চিনি বহনকারী একটি পিকআপকে থামার সিগন্যাল দেয় পুলিশ। সিগন্যাল অমান্য করে চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে অজ্ঞাতনামা চালক কৌশলে গাড়ি ও মালামাল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পিকআপে তল্লাশি চালিয়ে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ৩০ বস্তা চিনি পাওয়া যায়। এগুলো তাৎক্ষণিক জব্দ করা হয়। ৩০ বস্তায় ১ হাজার ৫০০ কেজি চিনি রয়েছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মূল্য ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। চিনি বহনকারী পিকআপটিও জব্দ করা হয়েছে। 

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় রবিবার রাতে জালালাবাদ থানায় অজ্ঞাতনামা চোরাকারবারিদের আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, আসামিরা পিকআপ দিয়ে ভারতীয় চিনি সীমান্ত দিয়ে সরকারের শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এনে সিলেট মহানগরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন চট্টগ্রাম

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন চট্টগ্রাম
ছবি : খবরের কাগজ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামে গত কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তবে গতকাল রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। এটি অব্যাহত ছিল সোমবার (১৯ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত। এদিকে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিচু এলাকা। এর ফলে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগ পড়েন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। অন্যদিকে লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, দুই নম্বর গেট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বড়পোল, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে আছে। এসব এলাকার সড়কে কোমরসমান পানি থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামীরা। তাদের অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা রিকশায় চেপে অফিসে গেছেন। এ সময় সড়কে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

হালিশহর এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নালার মধ্যে ময়লা জমে থাকে। তাই বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। এর ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানিগুলোর রং একেবারে কালো। এ পানি শরীরে লাগলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব বিষয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা দেখছি না। আগে সমস্যা হলে এলাকার কাউন্সিলরকে জানানো যেত। এখন তো সে সুযোগও নেই। আমরা এখন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে আছি।’ 

সকালে আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষক আহসান উল্যাহর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু হয়। বাসা থেকে ৯টায় বের হয়েছিলাম। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাইনি। উপায় না পেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঠিক করলাম। ১২০ টাকা জায়গায় ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে এখন জিইসি যাচ্ছি।’ 

নগরের দুই নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দা আবদুল গণি খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারী বর্ষণ হলেই আমার বাসার নিচতলা ডুবে যায়। এত কষ্ট আর সহ্য হয় না। এই জলাবদ্ধতা থেকে আমরা নগরবাসী কবে মুক্তি পাব জানি না।’

এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে আরও দুই দিন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামে এখনো পর্যন্ত পাহাড়ধসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

সাংবাদিক তুরাব হত্যা: পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
সাংবাদিক তুরাব হত্যা: পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেছে তার পরিবার।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নিহত তুরাবের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ জাবুর বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মোমেনের আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদ এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক তুরাব। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। এর আগে হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে তাতে কারও নাম উল্লেখ ছিল না।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী জানান, আদালত এজাহারের গুরুত্ব অনুধাবন করে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে জমা দেওয়া এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯ জুলাই দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। এক পর্যায়ে বিএনপি মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পেছনে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নেন। মিছিলটি নগরের পুরান লেন গলির মুখে পৌঁছালে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিকে অবস্থান নেয়। এ সময় হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণে তুরাব গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন অন্য সহকর্মী ও পথচারীরা তুরাবকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে তিনি মারা যান। 

আদালতে জমা দেওয়া এজাহার অনুসারে সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর (৪০), সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ (৫০), সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান, বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফজলুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী রিপন সরকার, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি পীযুষ কান্তি দে, সিলেট জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক সাজলু লস্কর, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদ,  সিলেট জেলা ছাত্রলীগের ২নং ওয়ার্ড সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, আওয়ামী লীগ নেতা শিবলু আহমেদ (মো. রুহুল আমিন), কোতোয়ালি মডেল থানার কনস্টেবল সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ, উজ্জলসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০জন।

শাকিলা ববি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

বৃদ্ধার ‘উপর’ দিয়ে চলে গেল ট্রেন

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
বৃদ্ধার ‘উপর’ দিয়ে চলে গেল ট্রেন
ছবি : খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এক বৃদ্ধার উপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়। তবে তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। ট্রেন চলে যাওয়ার পর তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর নাম জমিলা বেগম। তিনি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নূরনবী খবরের কাগজকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেকটা বিলম্বে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আখাউড়ায় যাত্রাবিরতি দেয়। ট্রেনটি ছাড়ার সময় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধা রেললাইনে পড়ে যান। এরপর ট্রেনটি ওই বৃদ্ধার উপর দিয়ে যেতে থাকে।

এ সময় তিনি প্ল্যাটফর্ম ঘেঁষে রেললাইনে শুয়ে থাকেন। ট্রেন চলে যাওয়ার পর কয়েকজন শিক্ষার্থী বৃদ্ধাকে টেনে প্ল্যাটফর্মে তুলেন।

জুটন বনিক/জোবাইদা/অমিয়/

গোপালগঞ্জে বেতারে বৈষম্য অবসানের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
গোপালগঞ্জে বেতারে বৈষম্য অবসানের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি : খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদোন্নতিসহ সব বৈষম্যের অবসানের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সারা দেশের ১৪টি বেতার কেন্দ্রের মতো গোপালগঞ্জ বেতার ভবনের সামনে তারা মানববন্ধন করেন।

এ সময় বেতারের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল কাওসার বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিচালক শফিকুল ইসলাম, আঞ্চলিক প্রকৌশলী এম এ সোবহান মাহমুদ, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক নাবিদুল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মকর্তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপসচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, একীভূত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার ও বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব মহাপরিচালক নিয়োগ।

বাদল সাহা/জোবাইদা/অমিয়/