
ঢাকার ধামরাইয়ে ১৭ হাজার পাওনা টাকার জন্য গোপাল বাকালি নকুল (৫০) নামে একজনকেে হত্যা চেষ্টাসহ তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোপাল সরকার নামে এক মহাজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ধামরাই পৌরসভার আমিন মডেল টাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নকুল মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বালিয়াটি গ্রামের শ্রীধাম বাকালির ছেলে। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে আমিন মডেল টাউন এলাকার সাইজুজ্জামান লিমনের বাড়িতে ভাড়া থাকেতেন। এছাড়া তিনি পাইলস ও ক্লোন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
জানা গেছে, নকুল ও গোপাল সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকিও দিতেন গোপাল সরকার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী নিপা বাকালি (৩৮) বাদি হয়ে ধামরাই থানায় গোপাল সরকার ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে একটি এজাহার করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নকুল দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর কাঁচাবাজারে ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি মহাজন গোপাল সরকারের কাছ থেকে মালামাল কিনে বাজারে বিক্রি করেতেন। পাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ধামরাইয়ের ইসলামপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মহাজন গোপাল সরকার পাওনা টাকার জন্য প্রভাব দেখিয়ে নকুলকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিতেন। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাজন গোপাল সরকার নকুলের ভাড়া বাসায় গিয়ে হুমকি ধমকি দেন এবং একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা লোক নিয়ে বিদ্যুতের তার গলায় পেঁচিয়ে নকুলকে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাত-পা বেঁধে বাসার আলমারির তালা ভেঙে নকুলের চিকিৎসার জন্য রাখা নগদ ৪ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্নালঙ্কার ও ১২শত টাকার একটি বাটন ফোন নিয়ে চলে যায়।
নকুলের স্ত্রী নিপা বাকালি বলেন, মাত্র ১৭ হাজার পাওনা টাকার জন্য মহাজন গোপাল সরকার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্বামী একজন পাইলস ও ক্লোন ক্যান্সারের রোগী। আমি অফিসে থাকা অবস্থায় বাড়ি ছিল ফাঁকা । আমার দুই ছেলে বাহিরে খেলতে চলে গেলে গোপাল সরকার আমার স্বামীকে একা পেয়ে প্রথমে বিদ্যুতের তার গলায় পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে আমার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন এবং আলমারিতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণ এবং একটি ১২শত টাকার বাটন মোবাইল ফোন নিয়ে যান। আমি বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার করেছি।
ইসলামপুর এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গোপাল সরকারের চরিত্র অনেক খারাপ। বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে নারী সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে।
গোপাল সরকারের আপন ভাই তাপস সরকার বলেন, 'আমার ভাই গোপাল লোক ভালো না। এর আগেও নারী সংক্রান্ত বিষয় স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে। ভাই হলেও এর আগে-পিছে আমি বা আমার আত্নীয় স্বজন কেউ যাবে না।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপাল সরকারের বাড়িতে গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রুহুল আমিন/মেহেদী/