ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

পাওনা টাকার জন্য পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
পাওনা টাকার জন্য পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ
ভুক্তভোগী গোপাল বাকালি নকুল। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকার ধামরাইয়ে ১৭ হাজার পাওনা টাকার জন্য গোপাল বাকালি নকুল (৫০) নামে একজনকেে হত্যা চেষ্টাসহ তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোপাল সরকার নামে এক মহাজনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)  বিকেলে ধামরাই পৌরসভার আমিন মডেল টাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নকুল মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বালিয়াটি গ্রামের শ্রীধাম বাকালির ছেলে। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে আমিন মডেল টাউন এলাকার সাইজুজ্জামান লিমনের বাড়িতে ভাড়া থাকেতেন। এছাড়া তিনি পাইলস ও ক্লোন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

জানা গেছে, নকুল ও গোপাল সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকিও দিতেন গোপাল সরকার।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী নিপা বাকালি (৩৮) বাদি হয়ে ধামরাই থানায় গোপাল সরকার ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে একটি এজাহার করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, নকুল দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর কাঁচাবাজারে ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি মহাজন গোপাল সরকারের কাছ থেকে মালামাল কিনে বাজারে বিক্রি করেতেন। পাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ধামরাইয়ের ইসলামপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মহাজন গোপাল সরকার পাওনা টাকার জন্য প্রভাব দেখিয়ে নকুলকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিতেন। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাজন গোপাল সরকার  নকুলের ভাড়া বাসায় গিয়ে হুমকি ধমকি দেন এবং একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা লোক নিয়ে বিদ্যুতের তার গলায় পেঁচিয়ে নকুলকে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাত-পা বেঁধে বাসার আলমারির তালা ভেঙে নকুলের চিকিৎসার জন্য রাখা নগদ ৪ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্নালঙ্কার ও ১২শত টাকার একটি বাটন ফোন নিয়ে চলে যায়।

নকুলের স্ত্রী নিপা বাকালি বলেন, মাত্র ১৭ হাজার পাওনা টাকার জন্য মহাজন গোপাল সরকার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্বামী একজন পাইলস ও ক্লোন ক্যান্সারের রোগী। আমি অফিসে থাকা অবস্থায় বাড়ি ছিল ফাঁকা । আমার দুই ছেলে বাহিরে খেলতে চলে গেলে গোপাল সরকার আমার স্বামীকে একা পেয়ে প্রথমে বিদ্যুতের তার গলায় পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে আমার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন এবং আলমারিতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণ এবং একটি ১২শত টাকার বাটন মোবাইল ফোন নিয়ে যান। আমি বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার করেছি।

ইসলামপুর এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গোপাল সরকারের চরিত্র অনেক খারাপ। বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে নারী সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে।

গোপাল সরকারের আপন ভাই তাপস সরকার বলেন, 'আমার ভাই গোপাল লোক ভালো না। এর আগেও নারী সংক্রান্ত বিষয় স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে। ভাই হলেও এর আগে-পিছে আমি বা আমার আত্নীয় স্বজন কেউ যাবে না।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গোপাল সরকারের বাড়িতে গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

রুহুল আমিন/মেহেদী/

খুলনা কারাগারে ফোন ব্যবহার করছেন ভিআইপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম
খুলনা কারাগারে ফোন ব্যবহার করছেন ভিআইপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা
ছবি : সংগৃহীত

খুলনা জেলা কারাগারের ভেতরে বসে ভিআইপি কয়েদি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা ফোনে তাদের লোকজনকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা দিচ্ছেন। কারাগারের কর্মচারীদের একটি অংশকে ম্যানেজ করেই তারা এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

খুলনা কারাগারের ভেতরে হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধারের পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরই মধ্যে ডিআইজি প্রিজন খুলনা কারাগার পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। 

জানা যায়, খুলনা জেলা কারাগারে বর্তমানে খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. রশিদুজ্জামানসহ কয়েকজন ভিআইপি রয়েছেন। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা-কর্মী ও খুলনার কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের পর এই কারাগারে রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, কারাগারের কয়েকজন কর্মচারী ও প্রভাবশালী কয়েদিদের একটি অংশ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভিআইপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত বাইরে যোগাযোগের সুযোগ করে দিচ্ছেন।

জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি কারাগারের হাসপাতালের স্টোররুম থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কারাগারে মুহূর্তে ঘটনা জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। মোবাইল ফোন ভিআইপি কয়েদি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
 
খুলনা জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান খবরের কাগজকে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি কারাগারের হাসপাতাল থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। কীভাবে ফোনটি এখানে এলো, কারা কখন এটি ব্যবহার করেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিআইজি প্রিজন এরই মধ্যে কারাগার পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে।’

জানা যায়, হত্যা, মারধরসহ চারটি মামলা হয়েছে বিগত সরকারের সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে। বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান। 

গাজীপুরে স্ত্রীর গলা কেটে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
গাজীপুরে স্ত্রীর গলা কেটে স্বামীর আত্মহত্যা
ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকায় তাদের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত সোহাগ হোসেন (২৫) সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াস উপজেলার ধাপ তেঁতুলিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং স্ত্রী মৌ আক্তার বৃষ্টি (২০) একই জেলার সান্দুরিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। তারা বাইমাইল মধ্যপাড়া কাদের মার্কেট এলাকার বাসায় ভাড়া থেকে বসবাস করতেন।

ওই বাড়ির মালিকের ছেলে দেওয়ান মোহাম্মদ রাসেল বলেন, সকাল থেকে সোহাগ-মৌ দম্পতির ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা অনেকবার ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি। পরে বিকালে আবারও দরোজার সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে দরোজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে ৯৯৯ ফোন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরোজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে মেঝেতে গৃহবধূ মৌয়ের মরদেহ এবং গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে তার স্বামীর মরদেহ পাওয়া যায়।
 
মৃত মৌ আক্তার বৃষ্টির চাচা রতন মিয়া বলেন, গত দুই বছর আগে সোহাগ-মৌয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। মৌ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়াশোনা করত। তার স্বামী সোহাগ কোনাবাড়ি ব্র্যাক এনজিওতে অ্যাকাউন্স অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসের ১ তারিখে তারা ভাড়া বাসায় ওঠেন। এমন ঘটনা কেন ঘটাল বুঝতে পারছি না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, 'স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জোর ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে পরে ওই স্বামী আত্মহত্যা করেছে। সিআইডির ক্রাইম টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'

পলাশ প্রধান/জোবাইদা/

সেন্টমার্টিনে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২০ এএম
সেন্টমার্টিনে ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ২৭৪ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক। 

মুজিবুর রহমান (৪৫) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক বলেন, 'গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ইয়াবা পাচারের উদ্দেশে মজুদ রেখেছে। বিশেষ টিম নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখন তিনি কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কোস্টগার্ডের সদস্যরা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় একটি বস্তার ভেতরে মোড়ানো ১২ হাজার ২৭৪ পিস ইয়াবা জব্দ করে।

মুজিবুরকে ইয়াবাসহ টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। 

মো. শাহীন/জোবাইদা/

যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মাদ্রাসা এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. কাওসার (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
নিয়তের সহকর্মী শারমিন জানান, কাওসার যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল একটি মশার কয়েলের স্ট্যান কারখানায় চাকরি করে। কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে মাতুয়াইল মাদ্রাসা বাজার এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিন ছিনতাইকারী গতিরোধ করে। পরে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। 

তিনি আরও জানান, নিহত কাওসার মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি মেট্রোপলিটন এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।

শেখ জাহাঙ্গীর/জোবাইদা/

কাউখালীতে তৃতীয় লিঙ্গের শিলা হত্যায় গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ এএম
কাউখালীতে তৃতীয় লিঙ্গের শিলা হত্যায় গ্রেপ্তার ৪
ছবি : খবরের কাগজ

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় আলোচিত তৃতীয় লিঙ্গের শিলা (৩২) হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী। গ্রেপ্তাররা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. শুক্কুর মাসুদ (২৫), মো. আরিফুল ইসলাম হৃদয় (১৮), পুতুল আক্তার (৩২) ও শারমিন আক্তার প্রকাশ রানা (৩০)।

এদের মধ্যে মো. শুক্কুর মাসুদ নেত্রকোনার দুর্গাপুরের দক্ষিণ নাওদাড়া গ্রামের বাসিন্দা, আরিফুল ইসলাম হৃদয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী হেলাল চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা। পুতুল আক্তার চট্টগ্রামের রাউজান সুলতানপুরের বাসিন্দা আর রাঙামাটি রিজার্ভ বাজারের বাসিন্দা শারমিন আক্তার প্রকাশ রানা।

গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়াতে তৃতীয় লিঙ্গের শিলাকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন সন্ধ্যায় নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে চার দিনের ব্যবধানে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। 

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, গ্রেপ্তাররা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তৃতীয় লিঙ্গের আধিপত্য বিস্তারের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে।

জিয়াউর জুয়েল/জোবাইদা/