ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রক্ত ও সঞ্চালন অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, HSC- জীববিজ্ঞান ২য় পত্র

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
রক্ত ও সঞ্চালন অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, HSC- জীববিজ্ঞান ২য় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 

চিত্রটি লক্ষ করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। 
ক. রক্ততঞ্চন কী?                ১
খ. ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য লেখ।      ২
গ. উদ্দীপকের ‘K’ অঙ্গটির লম্বচ্ছেদের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।     ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত রক্তের গতিপথ বিশ্লেষণ করো।     ৪

উত্তর: ক. রক্ততঞ্চন: যে প্রক্রিয়ায় কোনো ক্ষতের মুখে রক্ত জমাট বেঁধে দেহ থেকে অবাঞ্চিত রক্তপাত বন্ধ হয়, তাকে রক্ততঞ্চন বা রক্ত জমাট বাঁধা বলে। এই প্রক্রিয়ায় অণুচক্রিকা ও রক্তরসে উপস্থিত ১৩ ধরনের ক্লটিং ফ্যাক্টর (Clotting factor) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

খ. ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-


গ. উদ্দীপকের ‘K’ চিহ্নিত অঙ্গটির নাম হৃৎপিণ্ড। নিচে হৃৎপিণ্ডের লম্বচ্ছেদের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করা হলো-


ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত রক্তের গতিপথ বিশ্লেষণ করা হলো-
হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমিক সংকোচন-প্রসারণের ফলে রক্ত সমগ্র দেহে সংবহিত হয়। মানুষের হৃৎপিণ্ডে দ্বি-বর্তনী বা দ্বৈত সংবহন (Double circuit circulation) ঘটে। যে রক্ত সংবহনতন্ত্রে রক্ত সমগ্র দেহে একবার পরিপূর্ণ চক্র সম্পন্ন করার আগে হৃৎপিণ্ড দিয়ে দুবার প্রবাহিত হয় তাকে দ্বি-বর্তনী বা দ্বৈত সংবহনতন্ত্র বলে। 
হৃৎপিণ্ডে রক্তসংবহন নিম্নরূপে সম্পন্ন হয়-
১। হৃৎপিণ্ডের অ্যাট্রিয়াম দুটি যখন প্রসারিত (ডায়াস্টোল) অবস্থায় থাকে তখন দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত হৃৎপিণ্ডের অ্যাট্রিয়ামে প্রবেশ করে। সারা দেহ থেকে CO2 যুক্ত রক্ত সুপিরিয়র ও ইনফিরিয়র ভেনাক্যাভা (ঊর্ধ্ব ও নিম্ন মহাশিরা) দিয়ে ডান অ্যাট্রিয়ামে আসে এবং ফুসফুস থেকে O2 যুক্ত রক্ত পালমোনারি শিরা দিয়ে বাম অ্যাট্রিয়ামে আসে। হৃৎপেশি থেকে CO2 যুক্ত রক্ত করোনারি সাইনাস দিয়ে ডান অ্যাট্রিয়ামে আসে। এ সময় বাইকাসপিড ও ট্রাইকাসপিড কপাটিকা বন্ধ থাকে।
২। অ্যাট্রিয়ামদ্বয় রক্তপূর্ণ হলে সংকুচিত (সিস্টোল) হয়। এ সময় অ্যাট্রিয়ামের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং বাইকাসপিড ও ট্রাইকাসপিড কপাটিকা খুলে যায়, ফলে ডান অ্যাট্রিয়াম থেকে CO2 যুক্ত রক্ত ডান ভেন্ট্রিকলে এবং বাম অ্যাট্রিয়াম থেকে O2 যুক্ত রক্ত বাম ভেন্ট্রিকলে আসে। রক্তপূর্ণ হওয়ার আগে ভেন্ট্রিকলদ্বয় প্রসারিত অবস্থায় ছিল।
৩। ভেন্ট্রিকলদ্বয় রক্তপূর্ণ হলে সংকুচিত হয়। ফলে ভেন্ট্রিকলের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং বাইকাসপিড ও ট্রাইকাসপিড কপাটিকা বন্ধ হয়ে যায় এবং পালমোনারি ও অ্যাওর্টিক কপাটিকা খুলে যায়। তখন ডান ভেন্ট্রিকল থেকে CO2 যুক্ত রক্ত পালমোনারি ধমনিতে এবং বাম ভেন্ট্রিকল থেকে O2 যুক্ত রক্ত অ্যাওর্টায় (মহাধমনি) প্রবেশ করে।
এভাবে হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমিক সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মাধ্যমে মানব হৃৎপিণ্ডে তথা সারা দেহে রক্ত সংবহিত হয়। 
হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে রক্ত সংবহনের প্রবাহচিত্র-
সুপিরিয়র ও ইনফিরিয়র ভেনাক্যাভা →  ডান অ্যাট্রিয়াম →  ডান অ্যাট্রিও- ভেন্ট্রিকুলার ছিদ্রপথ →  ডান ভেন্ট্রিকল →  পালমোনারি ধমনি 
↑                                                                      ↓
সমগ্রদেহ  ← অ্যাওর্টা ← বাম ভেন্ট্রিকল  ←  বাম অ্যাট্রিও-ভেন্ট্রিকুলার ছিদ্রপথ ← বাম অ্যাট্রিয়াম ← পালমোনারি শিরা ← ফুসফুস

লেখক: প্রভাষক, জীববিজ্ঞান বিভাগ , ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, ঢাকা/আবরার জাহিন

 

স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
স্থগিত হলো এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা
ফাইল ফটো

চলমান এইচএসসি ও সমমানের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। এর মধ্যে চলতি জুলাইয়ে তিনটি এবং আগস্টে একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্টের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

অমিয়/

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে স্থগিত করা ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের চার দিনের পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে।’

আর কোনো পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানানো হবে।’

চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত ১৮ জুলাই সকালে ছিল ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র এবং বিকেলে ছিল উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, আরবি প্রথম পত্র, পালি প্রথম পত্র পরীক্ষা। 

২১ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র, ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র।
 
২৩ জুলাই সকালে ছিল রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র। 

আর ২৫ জুলাই সকালে ছিল অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন এবং ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথমপত্র।

আগামী ২৮ জুলাই যথারীতি সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অমিয়/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বসেছি। প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, রাজধানীসহ ঢাকা জেলা বা পার্শ্ববর্তী যে জেলাগুলো আছে, সেগুলোর এক রকম পরিস্থিতি। আবার অন্য যে জেলাগুলো আছে, সেখানে আরেক রকম পরিস্থিতি। এসব আলাদাভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এই মুহূর্তে বিবেচনা করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নয়, আমাদেরকে তো বিদ্যালয়গুলো নিয়েও কাজ করতে হয়। তবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ভাবতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীদের আলটিমেটাম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের প্রথম থেকে দেখা গেছে, ঘোষণা হচ্ছে একটা। আর কাজ হচ্ছে আরেকটা। ঘোষণাকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এই-সেই করা হবে। তবে এটা যারা বাস্তবায়ন করছেন, তারা কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখছেন না। আলটিমেটাম দিয়ে কেউ যাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, আমরা সেটাই অনুরোধ করব।’ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার রাতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
প্রাণহানির ঘটনায় বিচার চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী আনিস আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃবিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বিষয়ে দেশব্যাপী সৃষ্ট সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষত কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়া, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সহিংসতার ফাঁদে পা না দিয়ে, কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মাননীয় আদালতের সুচিন্তিত রায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’

আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা করে, সংঘাত-সহিংসতা মুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়, এমন সব কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। সেসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। চলমান অবস্থা দীর্ঘায়িত তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’