ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

সাংবাদিকদের মারধর : হামলাকারী এরা কারা?

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৫ এএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৫ এএম
সাংবাদিকদের মারধর : হামলাকারী এরা কারা?
জয় চৌধুরী (বাঁয়ে), শিবা শানু এবং আলেকজান্ডার বো। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন শেষ হয়েছে ১৯ এপ্রিল। আর এতে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপিপন্থি মিশা সওদাগর ও ডিপজল প্যানেলের অধিকাংশ প্রার্থী। গত ২৩ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজয়ীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান শেষে বর্তমান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন সমিতির সাধারণ সদস্য খল অভিনেতা শিবা শানু, আলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরীসহ অনেকেই। এই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের মোট ২২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন খবরের কাগজের ক্যামেরা পারসন আরমান আফ্রাদসহ আরও বিভিন্ন গণমাধ্যমের তিনজন সংবাদকর্মী। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। 

বিএনপি-সমর্থিত মিশা-ডিপজল প্যানেল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এফডিসিতে নানা রকম তাণ্ডব চালাচ্ছেন তারা। নিয়ম ভেঙে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তে কাজী হায়াতের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেছেন নির্বাচিতরা। কিন্তু নিয়মানুযায়ী এই শপথ পাঠ করাতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে মিশা ও ডিপজল প্যানেল। 

মিশা সওদাগর পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও খল অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পরিচিত। কারণ তেলে-জলে মেশাতে তার জুড়ি নেই। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই দলেই ভিড়ে যান কৌশলী এই অভিনেতা। তবে তার মনের ভেতর শুধু বাংলাদেশ জাতীয়বাদীর (বিএনপি) গুণগাঁথা। সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর থেকেই নতুন করে আবারও আলোচনায় এসেছে মিশা সওদাগরের রাজনৈতিক পরিচয়। নতুন করে আবারও ভাইরাল হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তোলা একটি ছবি। যে ছবিতে মিশা রয়েছেন হাস্যোজ্জ্বল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিশা সওদাগর একসময় বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) সহসভাপতি ছিলেন। তখন মিশা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমালোচনায়ও মত্ত থাকতেন নিয়মিত। 

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মিশা সওদাগর আস্তে আস্তে নিজের ভোল পাল্টাতে থাকেন এবং নিজেকে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় শিল্পী হিসেবে প্রচার করতে থাকেন সর্বদা। এভাবে একসময় তিনি সরকারদলীয় বিভিন্নজনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। মিশা নিজের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে সরকার দলের লোকদের সঙ্গে মিশে যান। তবে বাস্তবে তিনি সুযোগসন্ধানী। সুযোগ পেলেই চুপিসারে, কৌশলে সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে থাকেন তিনি।

এদিকে শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক একসময়ের অশ্লীল ও কাটপিচ সিনেমা যুগের সমালোচিত খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে সবাই অবগত। তিনি মিরপুর ও গাবতলী এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। বিএনপি সরকারের আমলে ডিপজল ছিলেন মিরপুরে বিএনপি-সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ডিপজলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, সরকারি জমি দখলসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে থানায়। তাকে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছিল। উদ্ধার করেছিল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। দুর্নীতি দমন কমিশন ডিপজল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল তখন। এরপর ডিপজলও নিজের রাজনৈতিক আদর্শ পরিবর্তন করে নাম লেখাতে চান আওয়ামী লীগে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নও চেয়েছিলেন তিনি। তবে আওয়ামী লীগ সরকার সেই সুযোগ দেয়নি ডিপজলকে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী হওয়ার পর থেকেই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নানা রকম পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছেন ডিপজল। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সরকারকে বিপাকে ফেলতে এঁটেছেন নানা রকম ফন্দি। রাজধানীর গাবতলীতে ডিপজলের মালিকানাধীন সিনেমা হলটি এখন মদ বিক্রির বার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

অন্যদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের মূল হোতা জয় চৌধুরী। তিনি বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। তারও রাজনৈতিক পরিচয় মিলেছে। তার জন্মস্থান মাগুরায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময় ছাত্রদলের ক্যাডার ছিলেন জয়। এরপর সরকার পরিবর্তনের পর এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। শুরু করেন সিনেমায় অভিনয়। দীর্ঘদিন ধরে সিনেমায় কাজ করলেও ভাগ্যে জোটেনি সফলতা। বাংলা সিনেমার তৃতীয় শ্রেণির এই নায়ক অভিনয়ে সফলতা না পেলেও শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পেয়েছেন সফলতা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিল্পীদের এক ছাতার নিচে আনতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের অনেকেই বলছেন খুব সুচারুভাবেই জয় নিজের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন শিল্পীদের মাঝে।

আরেক হামলাকারী সমিতির সাধারণ সদস্য ও অশ্লীল সিনেমায় অভিনয় করা খল অভিনেতা শিবা শানু। তিনি বর্তমানে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই খল অভিনেতা প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে বিষোদগার করে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে একটি মামলায় জেল খাটার পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পীদের মধ্যে বর্তমান এই কমিটি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলেও চলচ্চিত্রাঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে।

চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বো। অশ্লীল সিনেমার নায়ক হিসেবেই সর্বজন পরিচিত তিনি। ঢাকাই সিনেমায় অশ্লীলতার যুগে আবির্ভাব ঘটে এই নায়কের। মুনমুন, ময়ূরীসহ সমালোচিত নায়িকাদের সঙ্গে অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। শিল্পী হিসেবে বর্তমানে বেকার তিনি। তার হাতে নেই কোনো সিনেমা। সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে জয়ী হয়েছেন আলেকজান্ডার বো।

আমার ভেতর কোনো জেলাসি কাজ করে না: সাফা কবির

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
আমার ভেতর কোনো জেলাসি কাজ করে না: সাফা কবির

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবির। নাটক, টেলিফিল্মের পাশাপাশি নিয়মিত কাজ করছেন ওয়েবফিল্মেও। বর্তমানে একটি গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এসব কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ মিজান

ঈদের পর কাজ শুরু করেছেন?
না, এখনো কাজ শুরু করিনি। তবে শিগগিরই শুরু করব। আমি ‘সুজুকি’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছি। ঈদের আগেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আগামী দুই বছর আমি সুজুকির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করব। এই প্রতিষ্ঠানের একটি ওভিসির মাধ্যমে কাজে ফিরব। আগামীকাল এর শুটিং হবে।

নাটকে ফিরবেন কবে?
আগামী ১৩ জুলাই একটি নাটকের শুটিং করব। এরপর আস্তে-ধীরে হাতে যেসব কাজ এসেছে সেগুলো করব।

ঈদের কাজের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
বেশ কিছু কাজ করেছিলাম। এর মধ্যে কিছু নাটক অনএয়ার হয়েছে। আরও কিছু নাটক প্রচারের অপেক্ষায় আছে। ‘ফিদা’ এবং ‘অনন্ত প্রেম’ দুটি নাটকের জন্য দর্শকদের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

ঈদের কোনো সিনেমা দেখেছেন?
না, আমি এখনো ঈদের কোনো সিনেমা দেখতে পারিনি। তবে বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করেছি। শিগগিরই ঈদের সিনেমাগুলো দেখব।

এখন তো ছোট পর্দার অনেকেই সিনেমায় কাজ করছেন। আবার অনেকেই কাজের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আপনার ভক্তরাও আপনাকে সিনেমায় দেখতে চায়। আপনার ভাবনা কী?
অবশ্যই আমি সিনেমায় কাজ করতে চাই। আর আমার ভক্তরা সব সময় আমার পাশে আছেন। সিনেমায় কাজের প্রতি আমার আগ্রহ আছে। এখন দেশের সিনেমা ভালো হচ্ছে। চারদিকে সিনেমার কথা শোনা যাচ্ছে। তাই আমরাও সিনেমাতে কাজের আগ্রহী হচ্ছি। আমার কাছেও বেশ কিছু কাজের প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। প্রতিনিয়ত সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পাই। কিন্তু আমি আসলে অপেক্ষা করছি ভালো গল্পের জন্য। যে ধরনের গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে চাই তেমন কিছুর জন্যই আমার এই অপেক্ষা।

অনেকেই আপনার পরে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেও নানামুখী কাজ করে আপনাকে ছাড়িয়ে গেছে। আপনি শুরু থেকে এখনো একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। আপনার লক্ষ্যটা কি?
আমি খুবই শান্ত প্রকৃতির মানুষ। ক্যারিয়ারের দিক দিয়েও আমি খুব শান্ত। আমার ভেতর তাড়াহুড়া নেই। আমি অনেক বেশি কাজ করি তেমনটি নয়। কিন্তু আমার কাজগুলো দর্শকরা গ্রহণ করেন। আমি আসলে সাফা কবির হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে সবার ভালোবাসা পেতে চাই। আর ছোটবেলা থেকেই আমার ভেতর কোনো জেলাসি কাজ করে না। আমি কখনোই কোনো প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকি না। একবারে এসে অনেক কিছু করে ফেলতেও আমি চাই না।

নতুন কোনো ওয়েবসিরিজ ও ওয়েবফিল্মের কাজের খবর আছে?
‘বলী’, ‘নিঃশ্বাস’, ‘টিকিট’, ‘কুহেলিকা’ ওয়েবসিরিজে কাজ করেছি। সব ওয়েবসিরিজ দর্শকরা বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। সামনে একটি ওয়েবফিল্মে কাজের কথা চলছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গল্প, চরিত্র সব কিছু ঠিক থাকলে কাজের ইচ্ছা আছে।

আপনার সমসাময়িক অনেক তারকাই বিয়ে করে সংসার জীবনে থিতু হয়েছেন। বিয়ে নিয়ে আপনার চিন্তা কী?
আমি বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। অনেক আদরে বড় হয়েছি। ক্যারিয়ারের দিকেই আমার বর্তমান ফোকাস। তাই বিয়ে নিয়ে আপাতত কিছু ভাবছি না।

জাহ্নবী

কলকাতায় মুক্তি পেল মিথিলার তৃতীয় ছবি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
কলকাতায় মুক্তি পেল মিথিলার তৃতীয় ছবি

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। কলকাতার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করে সেখানেই থিতু হয়েছেন তিনি। বর্তমানে কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতেও নিয়মিত কাজ করছেন মিথিলা। দুই বাংলাতেই রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। এর আগে কলকাতায় মিথিলা অভিনীত দুই সিনেমা ‘মায়া’ ও ‘অভাগী’ মুক্তি পেয়েছে। এবার মিথিলা অভিনীত তৃতীয় সিনেমা মুক্তি পেয়েছে কলকাতায়। গত শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পেয়েছে কলকাতার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে।

সিনেমার নাম ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’। থ্রিলার গল্পনির্ভর এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন দুলাল দে। এতে আরও অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ মজুমদার, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, আলোক স্যান্যাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকনাথ দে প্রমুখ।

মফস্বলে একটি হাসপাতালের নার্স ‘দেবযানী’ চরিত্রে দেখা যাবে মিথিলাকে। সিনেমার জন্য দর্শকদের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছেন এই অভিনেত্রী এমনটি জানিয়েছেন মিথিলা।

এ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে মিথিলা বলেন, ‘কলকাতায় মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর জন্য ভালো সাড়া পেয়েছি। অভিনয় করে ভালো প্রশংসাও পেয়েছি। মায়া বেশ ভালো চলেছে। অভাগী পুরস্কার জিতেছে। নীতিশাস্ত্র বিভিন্ন উৎসবে প্রশংসা পেয়েছে। কলকাতার সিনেমায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পেয়েছি।’

মিথিলা অভিনীত ‘নীতিশাস্ত্র’, ও ‘মেঘলা’ নামে আরও দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ‘নীতিশাস্ত্র’ ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। মিথিলা কলকাতায় এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে সৃজিত মুখার্জির কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি এই অভিনেত্রী।
মিথিলা অভিনীত ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটি সর্বশেষ বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে। এ ছাড়া গত ঈদে দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’। এতে মিথিলার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তাহসান খান।

বাংলাদেশে মিথিলা অভিনীত আরও দুটি সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’, ও ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। মিথিলা জানান, তিনি নিজেও এই দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছেন।

জাহ্নবী

টম ক্রুজ কি মন্দ বাবা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
টম ক্রুজ কি মন্দ বাবা

বাবা হিসেবে টম ক্রুজ কি মন্দ? নয়তো মেয়ের সঙ্গে কেন এতকাল দেখাই করলেন না তিনি। শোনা যায়, মেয়ে সুরির মুখটাও দেখেননি জনপ্রিয় এই হলিউড তারকা।

তৃতীয় স্ত্রী কেটি হোমসের সঙ্গে প্রায় ১১ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে টম ক্রুজের। তাদের মেয়ে সুরির বয়স তখন মাত্র সাত। এখন তার ১৮ বছর। বাবার সঙ্গে মাঝের ১১ বছর একবারও দেখা হয়নি তার।

হলিউডে গুঞ্জন, টম নাকি স্বেচ্ছায় সুরির কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। টম ক্রুজের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, চাইলেই নাকি মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন তিনি। বিচ্ছেদের পর সন্তান যদি মায়ের সঙ্গে থাকে, চাইলে বাবা তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবু টম নিজেই চাননি মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী অস্কারজয়ী অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যানের সংসারে দুই শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন টম। সেই ইসাবেলা এবং 
কোনর ক্রুজের সঙ্গে আজও দারুণ সম্পর্ক টমের। প্রকাশ্যে একসঙ্গে তাদের দেখা যায় মাঝেমধ্যে। সেখানে সুরির সঙ্গে শেষবার টমকে দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে।

সম্প্রতি নিজের নাম থেকে বাবা ‘ক্রুজ’ পদবি ছেঁটে ফেলেছেন সুরি। তার জায়গায় ব্যবহার করছেন ‘নোয়েল’।  আদতে ‘নোয়েল’ তার মা কেটি হোমসের মধ্যবর্তী নাম। সুরির এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট যে, সে তার নামের সঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত বাবার নাম বহন করতে চান না।

জাহ্নবী

যুক্তরাজ্যে চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লতিকা’

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
যুক্তরাজ্যে চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লতিকা’

যুক্তরাজ্যে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ডিভি চলচ্চিত্র উৎসব লন্ডন’। এ উৎসবে দক্ষিণ এশিয়ার ৪১টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার, স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্যচিত্র, ফিকশন চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে। উৎসবটি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের সামছুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত ও প্রযোজিত প্রামাণ্যচিত্র ‘লতিকা’। লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব কনটেম্পরারি আর্টস-এ নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো দেখানো হবে।

চিত্রা নদীপাড়ের মালো সম্প্রদায়ের এক সংগ্রামী নারী ও তার পরিবারকে নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘লতিকা’-এর গল্প। যেখানে দেখা যাবে লতিকার স্বামী শ্যাম বিশ্বাস জেলে, ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করেন। দুই সন্তান ও তিন জোড়া ভোঁদড় নিয়ে তাদের টানাপড়েনের সংসার। এভাবে এগিয়ে যায় গল্প।

এর আগেও এই প্রামাণ্যচিত্রটি সুইজারল্যান্ডের ফিল্ম মার্কেটে অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা।

জাহ্নবী

ঢাকায় নচিকেতার দুই কনসার্ট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
ঢাকায় নচিকেতার দুই কনসার্ট

ভারতের কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার ও গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। জীবনমুখী গান গেয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাই দুই বাংলাতেই তার গানের ব্যস্ততা রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নেন এই খ্যাতিমান গায়ক। গত বছরের নভেম্বরে ‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা’ গান শোনাতে এসেছিলেন তিনি। আবারও ঢাকায় গান শোনাতে আসছেন নচিকেতা। তবে একটি নয় চলতি মাসে একে একে দুটি কনসার্টে গাইবেন নন্দিত এই শিল্পী।

আগামী ১২ জুলাই গাইবেন রাজধানীর হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটারে। ‘ঢাকা মেলাঙ্কলি’ শীর্ষক কনসার্টে। এটির আয়োজন করছে ব্লুব্রিক কমিউনিকেশনস। এই কনসার্টে নচিকেতা ছাড়াও গাইবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় তিন শিল্পী অর্ণব, আরমীন মূসা ও আহমেদ হাসান সানি।
দুই হাজার টাকা মূল্যে নির্ধারিত টিকিটের মাধ্যমে দর্শকরা নচিকেতার এই কনসার্ট উপভোগ করতে পারবে। দ্বিতীয় কনসার্টের আয়োজন করেছে আজব কারখানা। একই প্রতিষ্ঠান এর আগে ‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা’-এর আয়োজন করেছিল। এবার কনসার্টটির শীর্ষক নাম
‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার-ভলিউম টু’। আগামী ২৬ জুলাই রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। এতে নচিকেতার পাশাপাশি গাইবেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার। এর টিকিট মূল্য এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

জাহ্নবী