![রাফার কিছু এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের](uploads/2024/05/12/rafakk-1715453228.jpg)
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফার আরও কিছু এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল শনিবার ওই নির্দেশ দিয়ে তারা ফিলিস্তিনিদের আল-মাওয়াসির বর্ধিত মানবিক এলাকায় চলে যেতে বলেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনী হয়তো রাফায় স্থল অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
গত সোমবার থেকে গাজার মিসর সীমান্তবর্তী নগরী রাফায় আকাশ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ছোট্ট এই ভূখণ্ডটির নানা প্রান্ত থেকে প্রাণ বাঁচাতে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েলের নির্দেশে গত সোমবার থেকে তাদের এখন রাফাও ছাড়তে হচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এবং আশপাশের আরও ১১টি এলাকার বাসিন্দা এবং আশ্রয় গ্রহণকারীদের দ্রুত গাজা সিটির পশ্চিম দিকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজার মধ্যাঞ্চলের ছোট্ট শহর আল-জাওয়াইদা। যেখানে গত কয়েক দিনে গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফিলিস্তিনিদের ঢল নেমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রাফার বাসিন্দারা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে রাফার যেসব এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলেছে তার মধ্যে নগরীর কেন্দ্রস্থলও রয়েছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ইসরায়েল সেখানে তাদের স্থল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। সেখানে খুবই কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, আতঙ্কিত লোকজন নিজেদের বাড়িঘর ছাড়ছে।
রাফা অভিযানের বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী থেকে বলা হয়েছে, তারা রাফার পূর্বাঞ্চলে এবং রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের সক্রিয় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সাত মাসের যুদ্ধে চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে গাজায় বসবাস করা প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির ওপর। ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এরই মধ্যে যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের একটি বড় অংশ নারী ও শিশু। আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে।
রাফায় ইসরায়েল সর্বাত্মক অভিযান শুরু করলে সেখানে দুর্দশাগ্রস্ত সব মানুষের ওপর আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। এমনকি ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রভাবশালী মিত্র যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে রাফায় অভিযান না চালাতে চাপ দিচ্ছে। তবে তাতে কর্ণপাত করছে না ইসরায়েল।