![ইসরায়েলকে ‘সতর্ক’ হতে বলল যুক্তরাষ্ট্র](uploads/2024/05/29/israyal-1716951997.jpg)
রাফায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে বেসামরিকদের রক্ষায় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলের হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার অধিকার রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে এই হামলায় দুজন জ্যেষ্ঠ হামাস সদস্য নিহত হয়েছেন, যারা ইসরায়েলি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে আমরা আগে থেকেই স্পষ্টভাবে বলছি যে ইসরায়েলের অবশ্যই বেসামরিকদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে নিজ দলের ভেতরেই চাপের মুখে পড়েছেন বাইডেন। মূলত সমর্থন কমানোর জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করছেন নেতা-কর্মীরা।
গত সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ ইসরায়েলের ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উচিত নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও সামরিক সহায়তা স্থগিত করা।
ডেমোক্রেট দলের আরেক আইনপ্রণেতা আয়ান্না প্রেসলে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, ‘রাফা থেকে গত রাতে ভয়াবহ ও মর্মান্তিক কিছু ছবি এসেছে? ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এই নিধনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আর কতদিন সমর্থন দেবে?’
ডেমোক্রেট দলের প্রতিনিধি রাশিদা তালিব ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘গণহত্যামূলক উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেন। নেতানিয়াহু গত সোমবার বলেন, তারা বেসামরিকদের ক্ষয়ক্ষতিতে কোনো ভূমিকা রাখতে চাননি। কিন্তু ‘মর্মান্তিক ভুল’ হয়ে গেছে।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘সক্রিয়ভাবে’ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ও স্থলভাগে থাকা অন্যদের সঙ্গে জড়াচ্ছে।
ডেমোক্রেট ভোটারদের অর্ধেকই বাইডেন যেভাবে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত, তা নিয়ে অসন্তুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানান এবং ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে বলেন।
এদিকে, ইসরায়েলি হামলার নিন্দার মধ্যেই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আমরা লক্ষ্য অর্জনের আগে যুদ্ধ শেষ করতে চাই না। ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
গত রবিবারের পরও গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। নতুন করে আরও অন্তত ১৬ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
ইসরায়েলি হামলার মুখে রাফা ছাড়ছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এক সময় ইসরায়েলি বাহিনী স্থানটিকে নিরাপদ বলে ঘোষণা করলেও এখন আর এটি কোনোদিক থেকেই নিরাপদ নয়। গতকাল সূর্য ওঠার পরপরই ফিলিস্তিনিদের রাফার তাল আল-সুলতান এলাকা থেকে গাড়ি, ট্রাকে করে এলাকা ছেড়ে উত্তরের দিকে যেতে দেখা যায়। অনেকে যাতায়াতে গাধা ও ঘোড়া ব্যবহার করেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। রবিবারের রাফা অভিযান নিয়ে বৈঠকে বসবেন তারা। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি