![জাতিসংঘের ‘কালো তালিকায়’ ইসরায়েল](uploads/2024/06/09/Israel-1717899097.jpg)
সংঘাতের সময় শিশুদের ক্ষতি করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এখন থেকে তারা সেসব বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত যারা আক্রমণ পরিচালনাকালে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনি। জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত এক তালিকা রয়েছে। ইসরায়েলকে ওই তালিকার আওতায় এনেছে তারা।
গত শুক্রবার (৭ জুন) এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতকে অবহিত করা হয়। তিনি একে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের বিষয়টিতে প্রভাব ফেলবে এটি।
ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে অপরাধের জন্য দায়বদ্ধ করার প্রথম ধাপ এটি। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার হামলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৬ হাজার ৭৩১ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি, নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হবে। ওই প্রতিবেদনেও ইসরায়েলের এই নতুন তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে শুধু ইসরায়েল নয়, হামাস ও ফিলিস্তিনি জিহাদ– এই দুই গোষ্ঠীকেও ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল নিজেদের ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি তিনি আবারও দাবি করেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক বাহিনী। গত মাসে জাতিসংঘ জানায়, গাজার যুদ্ধ চলাকালে অন্তত ৭ হাজার ৭৯৭ জন মারা গেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার রাফায় মানুষের মরদেহ রাস্তায় পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কুয়াইতি স্পেশালাইজড হসপিটাল। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকর্মীরা নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করতে পারছে না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২২১ জন।
এদিকে, মোসাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ বিভাগের সাবেক প্রধান হাইম টোমের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি হলে তা ইসরায়েলের জায়োনিস্ট ভিশনের জন্যই ক্ষতিস্বরূপ হবে।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে বড় মাপের যুদ্ধে ইসরায়েলের দেশ হিসেবে কাজ করার সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আন্তর্জাতিক মহলেও তার অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে হিজবুল্লাহর রকেটে হামলার মুখে ইসরায়েলকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ স্থবিরভাবে কাটাতে হবে।
হিজবুল্লাহর সুনিপুণ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ইসরায়েলি গ্যাস ফিল্ডগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারবে। ইসরায়েলি বিমানবাহিনী এখন আর লেবাননের ওপর আগের মতো অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। কারণ দেশটি ইরানের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, হিজবুল্লাহর কাছে এক থেকে দেড় লাখ ওয়ারহেড রয়েছে এবং যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে প্রথম ভাগের দিনগুলোয় প্রতিদিন ১৫০০ করে রকেট ছোড়ার সক্ষমতা রয়েছে তাদের। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা