![গাজায় চার জিম্মি উদ্ধারে ২৮৩ জনকে হত্যা](uploads/2024/06/10/israel-attacks-1717986444.jpg)
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮১৪ জন।
রবিবার (৯ জুন) হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এ ঘটনায় বেশির ভাগই নিহত হয়েছেন উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযানকালে। চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে এই এলাকায় ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় শুধু শরণার্থী ক্যাম্পটিতে নিহত হয়েছেন ২৭৪ জন ও আহত হয়েছেন ৬৯৮ জন।
আহতদের শরণার্থী ক্যাম্পটির আল আওদা এবং দেইর এল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।
উদ্ধার করা জিম্মিদের গত ৭ অক্টোবর একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে হামাসের যোদ্ধারা গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন বলে খবরে জানানো হয়।
ওই চারজনকে দিনের বেলা চালানো ‘জটিল’ অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। অভিযানটি চালিয়েছেন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। মধ্য গাজার নুসেইরাতের আলাদা দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।
গত শনিবার অবরুদ্ধ অঞ্চলে কয়েক ডজন বিমান হামলা চালানো হয়। সবচেয়ে জোরালো হামলা হয়েছে গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর এল-বালাহ ও নুসেইরাত এলাকায়। এ ছাড়া দক্ষিণের রাফা শহর ও গাজা নগরীর উত্তরের বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হতাহতদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। হাসপাতালে বেডের অভাবে অনেক আহত লোক ও লাশ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। মেডিকেল দলগুলো তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্বালানির অভাবে হাসপাতালের জেনারেটরের অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ওষুধ ও খাবারের সংকটও রয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গত শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ডি-৮ কাউন্সিলের বিশেষ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ‘গাজায় যারা গণহত্যা চালাচ্ছে তাদের শেষ পর্যন্ত জবাবদিহি করতে হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা ফিলিস্তিনে শান্তির পক্ষে দাঁড়াবে তারা বিজয়ী হবে।’
আনাদোলু এজেন্সির বরাতে মিডল ইস্ট মনিটরের এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি-৮ ভুক্ত দেশ- বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতি জোরালো সমর্থন ঘোষণা করেন।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি আরও সমর্থন ও সংহতি প্রদর্শনের জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে গাজায় বর্তমানে সাহায্য-সহযোগিতা বেশি দরকার। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার যুদ্ধ বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ। এই যুদ্ধ শুধু ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধ নয় বরং বৈশ্বিক গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ।’ সূত্র: আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটর