ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

হাতকড়া ও শিকলে বেঁধে ১০৪ ভারতীয়কে ফেরত পাঠানোয় সমালোচনা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম
হাতকড়া ও শিকলে বেঁধে ১০৪ ভারতীয়কে ফেরত পাঠানোয় সমালোচনা
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মার্কিন সামরিক পরিবহন বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টারে করে ভারতীয়দের ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ ও নথিপত্রবিহীন ১০৪ ভারতীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সামরিক বিমানে করে হাতকড়া পরিয়ে ও পায়ে শিকলে বেঁধে ভারতে ফেরত পাঠানোর এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠেছে ভারতজুড়ে। বিরোধী কংগ্রেস সংসদরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয়দেরক নিয়ে মার্কিন বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানটি ভারতের অমৃতসরে অবতরণ করে।

এ ঘটনা নিয়ে সংসদে প্রবল হইচই করে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, আমেরিকা ভারতীয়দের প্রতি অমানবিক ব্যবহার করেছে। তাদের অপমান করা হয়েছে।

এরপর সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস অ্যানফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের ফেরত পাঠায়। সেখানে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিভ প্রসিডিওর (এসওপি) আছে। ২০১২ সাল থেকে তা চালু আছে। সেখানে এই কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে।’

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘আইসিই তাকে জানিয়েছে, নারী ও বাচ্চাদের হাতকড়া বা শিকল পরানো হয়নি। অন্যদেরও খাবার সময় বা টয়লেট যাওয়ার সময়ও বাঁধনমুক্ত করা হয়েছিল।’

অমানবিক উপায়ে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী সাংসদরা। ছবি: সংগৃহীত

জয়শঙ্কর আরও বলেছেন, ‘অবৈধ ও নথিহীন ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ থেকে গত ১৫ বছরে ১৫ হাজার ৭৫৬ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’

এ ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে বিরোধী কংগ্রেস সাংসদ মানিকরাম ঠাকুর বলেছেন, ‘এই ঘটনা ভয়ঙ্কর ও লজ্জাজনক। আমেরিকা এমনভাবে ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে তারা অপরাধী। এটা অমানবিক ও মেনে নেওয়া যায় না।’

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের মতে, ‘বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলে তাদের ডিপোর্ট করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের আছে। কিন্তু যেভাবে তারা ডিপোর্ট করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সামরিক বিমানে হাতকড়া, পায়ে শিকল বেঁধে ভারতীয় ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের প্রতি অপমান।’

তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বের পঞ্চম সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ। কলম্বিয়ার মতো ছোট দেশ পর্যন্ত অভিবাসী ভর্তি সামরিক বিমান তাদের দেশে নামতে দেয়নি, তারা মর্যাদার সঙ্গে অভিবাসীদের দেশে ফেরাচ্ছে, সেখানে ভারত সরকার কী করছে?’

খবরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে এখনো প্রায় ২০ হাজার অবৈধ ভারতীয় রয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে ১০৪ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ভালো সম্পর্ক থাকার নজির থাকলেও এঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে নতুন মোড় নিচ্ছে কি না তা-ই দেখার বিষয়। সূত্র: এনডিটিভি

মাহফুজ/এমএ/

অলিম্পিক তারকা এখন এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২২ এএম
অলিম্পিক তারকা এখন এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল
কানাডার  অলিম্পিকজয়ী স্নোবোর্ডার রায়ান ওয়েডিং। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার সাড়া জাগানো অলিম্পিকজয়ী স্নোবোর্ডার রায়ান ওয়েডিংকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করেছে। ৪৩ বছর বয়সী রায়ান ২০০২ সালে ইউটা সল্টলেক সিটিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে কানাডার হয়ে জায়ান্ট স্ল্যালম ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

কানাডার তারকা খেলোয়াড়দের নাম নিতে গেলে সেই তালিকায় প্রথমেই আসে রায়ান ওয়েডিংয়ের প্রসঙ্গ। অথচ এখন তার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়।

অবসরের পর রায়ান ওয়েডিং অন্ধকার জগতে পা বাড়ান। তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক পাচারের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

কানাডার পুলিশের হাত থেকেও একাধিকবার পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চার বছর জেলও খেটেছেন। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন।

সম্প্রতি যুক্ত্ররাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা ঘোষণা করেছে। সেই তালিকার ১০ জনের মধ্যে রায়ান ওয়েডিংয়ের নাম রয়েছে। 

এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রায়ান ওয়েডিংকে ধরে দিতে বা খোঁজ দিতে পারলে এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। 

এফবিআই জানায়, ওয়েডিং বর্তমানে মেক্সিকো বা লাতিন আমেরিকার কোনো একটি দেশে লুকিয়ে রয়েছেন।

এফবিআই আরও জানায়, রায়ান একটি সংগঠন পরিচালনা করতো; যেটি কলম্বিয়া থেকে মাদক কিনে মেক্সিকোতে পাঠাতো। সেখান থেকে আবার সেসব মাদক লস অ্যাঞ্জেলেসে আনা হতো। এরপর পাঠানো হতো কানাডায়। 

আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ওয়েডিং খুনের সঙ্গেও যুক্ত হন। তিনি ২০২৩ সালে অন্টারিওতে দুই ব্যক্তিকে খুন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তবে রায়ান এতদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাকে মাত্র একবার ধরতে পেরেছে এফবিআই। তিনি এল জেফে, জায়ান্ট, পাবলিক এনিমি ছন্দনামে এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত। সূত্র: নিউজ উইক

দিনা/অমিয়/

ইরানে নারীদের পোশাকবিধি নজরদারিতে ড্রোন ও অ্যাপ ব্যবহারের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১২ এএম
ইরানে নারীদের পোশাকবিধি নজরদারিতে ড্রোন ও অ্যাপ ব্যবহারের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

ইরান ড্রোন ও আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কঠোর আইন অমান্যকারীদের দমন-পীড়ন করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশেষ করে, সেসব নারী ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পোশাকবিধি মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানান, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সতর্কতার সঙ্গে এসব কৌশল প্রয়োগ করছে। বিশেষ করে ট্যাক্সি এবং অ্যাম্বুলেন্সের মতো ব্যক্তিগত যানবাহনে মহিলাদের পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে বিশেষ ফোন অ্যাপ ব্যবহার করতে জনগণকে উৎসাহিত করছে।

এই প্রতিবেদনে তেহরান এবং দক্ষিণ ইরানে পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন এবং নিরাপত্তা ক্যামেরার ব্যবহার তুলে ধরা হয়।

তাদের নতুন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তেহরান এবং ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে হিজাব আইন বাস্তবায়নের জন্য ড্রোন ও নিরাপত্তা ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে। যারা এই কঠোর আইনের বিরোধিতা করছেন বা প্রতিবাদ করছেন, তারা গ্রেপ্তার, মারধর এবং কখনো কখনো পুলিশি হেফাজতে যৌন সহিংসতারও শিকারও হচ্ছেন।

জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্য-উদ্ধার মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি কর্তৃপক্ষের সহিংসতার কারণেই ২০২২ সালে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২২ বছর বয়সী ওই কুর্দি তরুণীকে দেশটির নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারধর করা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তার মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’ বলে দাবি করে।

মাসার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, তা পরে আন্দোলনে রূপ নেয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর দমন-পীড়নের হুমকি থাকার পরও এই আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়- ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের দুই বছর পরও ইরানের নারী ও কিশোরীরা আইনি ও বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঠামোগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে, ইরান সরকারের বাধ্যতামূলক হিজাব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে।

‘সতর্কতা’ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব বাস্তবায়নে রাষ্ট্র সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। বিষয়টিকে নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

তেহরানের আমির-কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে নারীদের হিজাব পরিধান নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ইনস্টল করেছে। এ ছাড়াও, ইরানের প্রধান সড়কগুলোর নিরাপত্তা ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে হিজাববিহীন নারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানান, তারা ‘নাজার’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ পেয়েছেন। ইরানের পুলিশ এই অ্যাপ পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে অনুমোদিত ব্যক্তিরা হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে লোকজন যানবাহনের ভেতরে হিজাববিহীন নারীদের অবস্থান, তারিখ, সময় এবং যানবাহনের নম্বর প্লেটসহ রিপোর্ট করতে পারেন। এই রিপোর্ট পুলিশকে সরাসরি সতর্কবার্তা পাঠায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভিযোগ পাওয়ার পর যানবাহনের মালিককে একটি মেসেজ পাঠিয়ে হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানায় পুলিশ। যদি কেউ এই সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করেন, তবে তার যানবাহন আটক করা হতে পারে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা প্রায় ৩০০ জন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ইরানের বিচারিক ব্যবস্থার গভীর পর্যালোচনা করেছেন। নির্যাতিতদের পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

তদন্তে আরও দেখা গেছে, সরকার কর্তৃক তিন শিশু এবং তিন প্রাপ্তবয়স্ক বিক্ষোভকারীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মৃত্যুকে পরে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে আটক নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। 

বিবিসি জানায়, এই প্রতিবেদনটি ১৮ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। সূত্র: বিবিসি

দিনা/অমিয়/

গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না
গাজায় ১৩ দিন ধরে সহায়তা ঢুকছে না। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা আরও বৃদ্ধি করেছে। তাদের হামলায় গাজা সিটি ও বেইত লাহিয়ায় অন্তত দুই শিশু মারা গেছে। উপত্যকাজুড়ে টানা ১৩ দিনের মতো সহায়তা বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ধ্বংস করে দিয়ে এবং যৌন সহিংসতাকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিরা গাজার বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি বজায় রাখার পক্ষে এবং দ্বিতীয় ধাপে যেতে চাইছে। তবে এরই মধ্যে খবর রটেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ধাপ ৬০ দিনের জন্য বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা যায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪৮ হাজার ৫২৪ জন ফিলিস্তিনি গাজার যুদ্ধে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫৫ জন।

তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। তারা ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপাপড়া ব্যক্তিদেরও মৃতের তালিকায় ধরেছে। 

দামেস্কে ইসরায়েলের হামলা

সিরিয়ায় সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে হতাহত হয়েছেন হাজারও মানুষ। চলমান সংঘাতের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে একটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল জায়গাটি।

তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামিক জিহাদ। তবে এক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি হামলার মূল লক্ষ্য ছিল একজন ফিলিস্তিনি।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। দেশটিতে আসাদ যুগের অবসানের পর পুনর্গঠন নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও সামরিক তৎপরতা। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিদ্রোহীদের ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। এর মধ্যে দিয়েই সিরিয়ায় আসাদ যুগের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি

আইসিসিতে হাজির রদ্রিগো দুতার্তে

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৬ এএম
আইসিসিতে হাজির রদ্রিগো দুতার্তে
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হাজির ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) হাজির করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই এক বিবৃতিতে আদালত জানান, শুক্রবার বেলা ২টায় দুতার্তের প্রথম হাজিরা নির্ধারণ করেছে চেম্বার।

৭৯ বছর বয়সী দুতার্তে শুনানির জন্য বিচারকদের সামনে হাজির হন। কোন কোন অপরাধে তিনি অভিযুক্ত তা শোনেন এবং বিবাদী হিসেবে তার অধিকার সম্পর্কে সেখানে তাকে অবহিত করা হয়।

মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর অভিযান চালাতে গিয়ে দুতার্তে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, তার এই মাদকবিরোধী অভিযানে হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার ম্যানিলায় দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। এরপর তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসিতে পাঠানো হয়।

গত বুধবার নেদারল্যান্ডসে পা রাখার পর সাবেক এই নেতা নিজ কর্মকাণ্ডের দায়ভার স্বীকার করে নেন। এক ফেসবুক ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পুলিশকে, সামরিক বাহিনী বলেছি যে এটি আমার কাজ ছিল এবং আমিই এর জন্য দায়ী।’ সূত্র: আল-জাজিরা।

সুদানে শিশুরা নৃশংসতার শিকার: ইউনিসেফ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
সুদানে শিশুরা নৃশংসতার শিকার: ইউনিসেফ
সুদানে গৃহযুদ্ধে কারণে শিশুরা নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের গৃহযুদ্ধে শিশুরা নৃশংসতার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও ডক্টরস উইথআউট বর্ডারস (এমএসএফ)।

ইউনিসেফের তথ্যানুসারে, সুদানের গৃহযুদ্ধের মুখে সে দেশের ১ লাখ ৬০ হাজার শিশু দুর্ভোগের শিকার হয়েছে, অনেকেই প্রতিদিন সহিংসতা, অনাহার, ব্যাধি এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলেন, ওই শিশুদের ঠিক দরজার সামনে, বাড়ির আশপাশে, স্কুল ও হাসপাতালে এবং সুদানের বহু শহর, নগর ও গ্রামে যুদ্ধ চলছে।

তিনি আরও বলেন, এ যুদ্ধে বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ১৩ লাখেরও বেশি শিশু দেশের পাঁচটি সর্বাধিক দুর্ভিক্ষ-পীড়িত এলাকায় বাস করছে এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় আরও ৩০ লাখ শিশু কলেরা, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্তত ১ কোটি ৬৫ লাখ তরুণ-তরুণী এখন শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছে না।

রাসেল বলেন, গত বছর সুদানের ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ৯টিতে ২২১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, এদের দুই-তৃতীয়াংশই মেয়ে।

তিনি বলেন, ‘যেসব ঘটনার রেকর্ড রয়েছে তার মধ্যে ১৬ জন শিশুর বয়স ছিল পাঁচ বছরেরও কম। চারজনের বয়স ছিল এক বছরেরও কম।

তিনি জানান, এই শিশুরা যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেছে তা কখনই মুছে যাবে না। রাসেল বলেন, ‘এই শিশুরা আতঙ্কের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে এবং যে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা অস্ত্রবিরতি বা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় না। তাদের নিরাময়ের জন্য এবং তারা যাতে তাদের জীবন আবার গড়ে তুলতে পারে সে জন্য তাদের প্রয়োজন অব্যাহত পরিচর্যা ও সহযোগিতা।

এমএসএফের প্রধান ক্রিস্টফার লকইয়ার নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, তারা সুদানে যৌন সহিংসতার প্রমাণ পেয়েছে, গত বছর তারা প্রাণে রক্ষা পেয়েছে এমন ৩৮৫ জনের চিকিৎসা করিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে খারতুমে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয় তার শিকার হচ্ছে শিশুরা। আর তখন থেকে এই সংঘাত দারফুর অঞ্চলসহ দেশটির অধিকাংশ স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। আধা-সামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। জাতিসংঘ বলছে, দুই পক্ষই মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে নিজেদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা