ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন
ছবি : খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর দুই সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভুঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরগুনার বান্দরগাছিয়া এলাকার মো. আ. রহিম আকন্দের ছেলে মো. তানভীর ওরফে মেহেদী ওরফে আবীর ওরফে মুশফিক (৪৬) ও রংপুরের মাহিগঞ্জ এলাকার মো. কাশেম আলীর ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম ওরফে জাহিদ ওরফে বাদল (৪৩)। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত আজ রায় দিয়েছেন। রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিউটি আক্তার বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে র‌্যাব ১১-এর সদস্যরা জানতে পারে রূপগঞ্জের আড়িয়াবো এলাকায় অপতৎপরতা ও সহিংস ঘটনা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যরা অবস্থান করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) শুরা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে তানভীর বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছে। অন্যজন জহুরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বশীল হিসেবে কাজ করেছে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা করে র‌্যাব। সেই সঙ্গে রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।’

বিল্লাল হোসাইন/সালমান/

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড বাবুকে নিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান চালাবেন গোয়েন্দারা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
বাবুকে নিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান চালাবেন গোয়েন্দারা

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে করা মামলার আসামি কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে ফের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল পুলিশ। আবেদনের ওপর শুনানি করে তা নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে বাবুকে নিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান পরিচালনার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এ অভিযানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন। 

সোমবার (২৪ জুন) ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুর বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ আদেশ দেন।

আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভিকটিম আনোয়ারুল আজীম আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ ও হত্যার মূল ঘাতক সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার জব্দ করা মোবাইল ফোন পর্যালোচনায় দেখা যায়, শিমুল ভূঁইয়া ১৫ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং ১৬ মে রাতে গ্যাস বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তারা আনারকে অপহরণ ও হত্যাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। পরবর্তী সময়ে দুজনেই ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় মিটিং করে আনারের ছবি বিনিময় করেন।

তা ছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবু  কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন। সেগুলো হচ্ছে, ১৭ মে থেকে ১৯ মে রাত পর্যন্ত শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে গ্যাস বাবুর হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ, এসএমএস আদান-প্রদান এবং আনারকে অপহরণ ও পরবর্তী টাকা পয়সার লেনদেন বিষয়ে কথাবার্তা হয়। শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা মোবাইল ফোনগুলোর হদিস জানতে চাইলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু জানান, তার মোবাইল ফোনগুলো হারিয়ে গেছে এবং থানায় এ নিয়ে তিনি জিডিও করেছেন।

বাবুকে রিমান্ড চাওয়ার আবেদনে আরও বলা হয়, জবানবন্দিতে আসামি স্বীকার করেছেন, শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা তিনটি মোবাইল ফোনের মধ্যে দুটি ভাঙ্গার গাঙ্গুলী হোটেলের পেছনের পুকুরে এবং অন্যটি স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেন তিনি। ওই মোবাইল ফোনগুলোতে এমপি আনারের অপহরণ ও হত্যাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকায় সেগুলো প্রয়োজন। ফলে ফোনগুলো কোন কোন স্থানে ফেলেছে সেই স্থান নির্ধারণসহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে ফোনগুলো উদ্ধারে আসামি গ্যাস বাবুকে সঙ্গে নিয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনার জন্য আসামির পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রয়োজন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান এই আবেদন করেন।

এর আগে গত ৯ জুন আদালত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এই মামলার অন্য আসামি শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের প্রত্যেককেই কারাগারে পাঠান আদালত। মামলার অন্য আসামি ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেননি।

এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এদিকে এমপি আনার খুনের ঘটনায় ভারতে একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন আছে।

ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্য

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্য
নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ের অভিযোগে করা এই মামলায় সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

তারা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান ও বাড়িওয়ালা মো. জিয়াউল আজিজ। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, তামিমা যার বাসায় ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িওয়ালা প্রথমে সাক্ষ্য দেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মো. মিজানুর রহমান সাক্ষ্য দেন। নাসিরের পক্ষে তার আইনজীবী মিজানুর রহমানকে জেরা সম্পন্ন করেন। আদালত আগামী ১০ জুলাই তামিমার পক্ষে জেরার তারিখ ধার্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মীর সাবেক স্বামী রাকিব হাসান আদালতে এ মামলা করেন। 

ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা : মেজর জিয়াসহ ৪ জনের বিচার শুরু

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা : মেজর জিয়াসহ ৪ জনের বিচার শুরু
নাজিমুদ্দিন সামাদ

বহুল আলোচিত ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। মামলার অপর ৩ আসামি হলেন- রশিদুন নবী ভূঁইয়া ওরফে রায়হান, মো. শেখ আব্দুল্লাহ ও আকরাম হোসেন।

সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। 

তবে ৫ আসামিকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই মামলায় ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে হত্যা করে জঙ্গিরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের এই ছাত্র ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা তাকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে। 

 

দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খাদ্য কর্মকর্তা কারাগারে

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খাদ্য কর্মকর্তা কারাগারে

চাষিদের বাদ দিয়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে গম কিনে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলামকে (৫৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (২৪ জুন) সকালে রাজশাহী বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মোছা. ইসমত আরা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজহারুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা জানান, আজহারুল ইসলাম চাষিদের বাদ দিয়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে গম কিনেছিলেন। এতে তিনি প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন ২০২০ সালে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে এ মামলার অভিযোগপত্রও দায়ের করা হয়।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনেও আসামিরা আদালতে হাজির হননি। তাদের মধ্যে শুধু আজহারুল ইসলাম আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। অন্য ছয়জন আসামি এখনো পলাতক আছেন।

মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০২:০২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মো. মতিউর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।

সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য সামনে আসে।

গত ২০ বছরে দুদকের অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেয়েছেন মতিউর। ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে এই চারটি অনুসন্ধান হয়। তবে এই চার দফা অনুসন্ধানের পর দায়মুক্তি দেয় দুদক। পুরোনো এসব নথি খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নথি পাওয়া গেলে সেসব অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদ, হুন্ডি, আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ জুন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের প্রায় ২০ দিন পর উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মাহমুদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার। 

কমিটি গঠনের চিঠি পেয়েই মতিউরের অর্থ-সম্পদের তথ্য চেয়ে সারা দেশে ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি তৈরি করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আজ সোমবার এই চিঠি পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/