![বাংলাদেশেই উঠেছিল ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা!](uploads/2024/05/11/tyu-1715413022.jpg)
কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি নেমে এলেও এর আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে টানা চলে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল মানুষ। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল।
গত ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাসে এটি ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। চুয়াডাঙ্গায় সেদিন যেন বাতাসে অদৃশ্য আগুন জ্বলছিল। পানির স্থর নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার অধিকাংশ গ্রামের টিউবওয়েলে পানি উঠছিল না। এ ছাড়া পানি দিয়েও রক্ষা করা যায়নি আবাদ করা সবজি। শুকিয়ে গিয়েছিল সড়কের পাশে লাগানো বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছসহ গাছের পাতা।
দেশ স্বাধীনের পর রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর দেশে এ যাবৎকালের রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল। মূলত, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বছরের এই সময়ে চুয়াডাঙ্গাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বরাবরই অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ স্থানেই মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে সূর্যের কিরণ বা রশ্মি লম্বালম্বিভাবে এসে পড়ে। অল্প কিছু এলাকায় বাঁকাভাবে পড়ে। আরও সহজ করে বলতে গেলে, এপ্রিল মাসে সূর্য থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অন্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। যার কারণে সূর্যের তাপ বেশি পরে এই অঞ্চলে।
চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এবং উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, দিনাজপুর, নওগাঁ এলাকার বাতাস উত্তপ্ত থাকার আরেকটি কারণ হলো ‘লু হাওয়া’। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারতের দিল্লি, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান। এ সময় ওখানের তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে। চুয়াডাঙ্গাসহ ওইসব জেলা দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ভারত থেকে যে গরম বাতাস বা লু হাওয়া প্রবেশ করে তা বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
কলি