ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে ৮০০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:১২ এএম
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে ৮০০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস ও মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রায় ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) মার্কিন ডলারের একটি তহবিল পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে এ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তহবিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ও উন্নয়ন প্ল্যাটফর্ম (বিসিডিপি)’।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনের সাইডলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম চালু হয়। এতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশিয়ান অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান বিনিয়োগ ব্যাংক, দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, জাপানি সংস্থা (জাইকা) ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা যৌথভাবে বাংলাদেশকে এ সহায়তা দেবে।

সবচেয়ে বেশি সহায়তা দেবে এডিবি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এখন ৪০ কোটি মার্কিন ডলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০২৩ সালের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯০ কোটি ডলার, যার ৫৩ শতাংশই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ব্যয় করার কথা। এ ছাড়া ২০২৪ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে এডিবির প্রতিশ্রুত ৫৫০ কোটি ডলারের ৫০ শতাংশই থাকছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায়।

মোট ৮০০ কোটি ডলারের মধ্যে আইএমএফের অংশ হচ্ছে ১৪০ কোটি ডলার। গত জানুয়ারিতে আইএমএফ যে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে তার মধ্যেও এ তহবিল রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের ১০০ কোটি, এআইআইবির ৪০ কোটি এবং দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ৪ কোটি ডলার থাকছে। অন্য সংস্থাগুলোরও কমবেশি অর্থায়ন থাকছে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম সারিতেই রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা। বিনিয়োগের অগ্রাধিকার খাত নির্ধারণের ফ্রেমওয়ার্কও বাংলাদেশের রয়েছে।

বিগত বছর বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। এর ফলে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ চলতি শতাব্দীর মাঝামাঝি এবং শেষের দিকে জিডিপির ২ থেকে ৯ শতাংশ ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের অপরিসীম ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েই আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা এ খাতে দীর্ঘমেয়াদে সহায়তার লক্ষ্যে বিসিডিপি তহবিল গঠন করে।

এমএ/

পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি  গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছবি : সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে পঁচা ডিম মেরে শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। 

রবিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা নিতে বাধা দেওয়ায় গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মৃণাল বিশ্বাসকে গত পহেলা জুলাই পঁচা ডিম মেরে লাঞ্চিত করা হয়।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বিএ অনার্স পরীক্ষা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্রের ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালে ৩-৪ জন শিক্ষার্থী দেখাদেখি ও কথা বলছিলেন। তখন ৪০৮নং কক্ষের দায়িত্বে ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, গোপালগঞ্জের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস। তিনি তাদের বারবার সতর্ক করেন। এ সময় তারা শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে শিক্ষক খাতা নিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার পরে কলেজের কাজ শেষ করে শহরের উদয়ন রোডের বাসায় যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পাসের অডিটরিয়াম সড়কে পৌঁছালে তার মাথায় পেছন থেকে পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারা হয়। ১ জুলাই এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়।

কবির/এমএ/

অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা
ডব্লিউএইচও'র আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় ডব্লিউএইচও-এর কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নগর প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিশেষ করে অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ।

এ ব্যাপারে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি রাজশাহীবাসীর প্রাথমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ডব্লিউএইচও-এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। আমরা আশা করছি ডব্লিউএইচও'র সহায়তায় রাজশাহীর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি ও আলোচিত ক্ষেত্রসমূহে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারবো। এতে মহানগরবাসীসহ এই অঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। ফলে স্বাস্থ্যখাতে রাজশাহী অনেক এগিয়ে যাবে।

সভার শুরুতে ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভায় ডব্লিউএইচও-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/এমএ/

শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই হোপ সো অ্যান্ড আই বিলিভ সো।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছেন। এখন আলতের ব্যপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে। এই বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যপার, তাই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

শিক্ষকদের সঙ্গে দ্রুত বসবেন কি-না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বসাবসিটাতো বিষয় না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে- সেটা বলতে পারছি না। তবে সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়- সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টেজ, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্র্যাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে।

সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুুর সেতুতে ১১ শ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রত্যেক তিন মাস পরপরই আমরা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেরত দিতে পারব। সূত্র: বাসস

অমিয়/

৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৫ শিশু নিখোঁজের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

রবিবার (৭ জুলাই) এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই। তদন্তে দেখা গেছে, একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পোস্টে যাদের নিখোঁজ হওয়া কথা বলা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।’

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’

একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’ ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

খাজা/পপি/অমিয়/

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স: গৃহায়নমন্ত্রী
খুলনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা রাখেন গৃহায়ন মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

রবিবার (৭ জুলাই) খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত জোন ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে আপনাদের কাজের গুরুত্ব রয়েছে। নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজের ধারা অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার।

মাকসুদ রহমান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/