ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

তুলির আঁচড়ে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৯ এএম
তুলির আঁচড়ে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

দিন পেরোলেই শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উদযাপনে বেশ জোরেশোরেই চলছে প্রস্তুতি। একদিকে যেমন নিরাপত্তা জোরদারে প্রস্তুতি চলছে, অন্যদিকে তেমনি সাজসজ্জা আর দেয়াল চিত্রেও পিছিয়ে নেই শহিদ মিনার এলাকা। শহিদ মিনার বেদিতে আল্পনা আর দেয়ালে ফুটে উঠেছে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথার রঙবেরঙের দেয়ালচিত্রে। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেয়ালজুড়ে স্থান পেয়েছে দেশাত্মবোধক নানা গান-কবিতার লাইন।

গতকাল সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকা জুড়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে। এই সৌন্দর্য বর্ধনে অংশ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রায় ৩০০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্টরা বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তেই পুরো কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের হুমায়রা খন্দকার দুই বছর ধরে একুশের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, ‘এখন তৃতীয় বর্ষে পড়ছি। স্বেচ্ছায় এখানে কাজ করি। ভীষণ ভালো লাগে, চারুকলার সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও এতে অংশ নিয়েছেন। তুলির আঁচড়ে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান-কবিতার লাইন আর উক্তি লিখার কাজটি বেশ উপভোগ করি।’ 

ভালো লাগার টানে আসা চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী মুনজেরিন রিমঝিম বলেন, ‘আমি ২০১৪ সালে স্নাতকে ভর্তি হই। তখন থেকেই ২১শে ফেব্রুয়ারি এলে আল্পনার কাজ করি। অনেক উপভোগ করি এই কাজটি, কেননা সাবেক-বর্তমান সবার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়ে যায়।’ 

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, ‘এখন দেয়ালচিত্রের কাজ চলছে, যেখানে ভাষা আন্দোলন-মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া শরীর শিক্ষা কেন্দ্রেও বেশকিছু কাজ চলছে।’ 

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান হিসেবে এ পর্যন্ত ২১ বার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তার ২১ বার পুষ্পস্তবক অর্পণের দুর্লভ ছবি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। 

 মাতৃভাষা দিবসে ঢাবির যেসব রাস্তা বন্ধ

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজিমপুর কবরস্থান ও কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপ প্রণয়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

রুটম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্য বাসভবনে গেট থেকে ফুলার রোড মোড়, টিএসসির সড়কদ্বীপ থেকে বকসিবাজার সড়ক, কাজী মোতাহার হোসেন থেকে শহিদ মিনারের সড়ক এবং দোয়েল চত্বর থেকে চানখারপুল পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে। সর্বস্তরের জনসাধারণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহিদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চানখারপুল হয়ে শুধুমাত্র প্রস্থান করা যাবে, শহিদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।

এ ছাড়া শহিদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জনসাধারণ হোম ইকোনমিকস মোড় দিয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর গেটের দিকে যাবে। শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পর দক্ষিণ গেট দিয়ে ইডেন মোড় হয়ে বের হবে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ করার জন্য সবাইকে উপাচার্য অনুরোধ করেন। প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

ঢাবি উপাচার্য জানান, রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধান, ভাষা সৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিন ও হলের প্রাধ্যক্ষরা। এরপর রাত সাড়ে ১২টা থেকে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের জন্য শহিদ মিনার উন্মুক্ত থাকবে।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করার যথাসময়েই তা সম্পন্ন হবে।

এ বছর প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এ সময়ে শহিদ মিনার এলাকায় কোনো সভা সেমিনার বা প্রোগ্রাম করা যাবে না, ব্যানার টানানো যাবে না।

নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

এদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবসকে ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। ঝুঁকি না থাকার পরও চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল শহিদ মিনারে ডিএমপির নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য না থাকলেও পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ 

মাতৃসদনে দুর্নীতি : ১৩ ডাক্তারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
মাতৃসদনে দুর্নীতি : ১৩ ডাক্তারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান

সরকারি কেনাকাটায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ৩টি মামলায় রাজধানীর আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডাক্তারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে রবিবার (৭ জুলাই) পৃথক তিনটি চার্জশিট ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার এ চার্জশিট দাখিল করেন। 

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, গত ১৩ জুন চার্জশিটগুলো কমিশনে অনুমোদন দেওয়া হয়। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে সেগুলো আদালতে দাখিল করা হয়েছে। 

তিনটি চার্জশিটে আসামির তালিকায় আছেন, আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার সাবেক অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. রওশন হোসনে জাহান, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ) ডা. লুৎফুল কবীর খান, সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর ডা. চিণ্ময় কান্তি দাস, মেডিকেল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা, দিলারা আকতার, ডা. নাজরীনা বেগম, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. নাদিরা আফরোজ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. রওশন জাহান, সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মো. আমীর হোচাইন, সাবেক সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম, সাবেক মেডিকেল অফিসার (সনোলজিস্ট/ইমেজিং) ডা. আলেয়া ফেরদৌসি, সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা বিলকিস আক্তার, রইছা খাতুন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাছের উদ্দিন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এস্টাবলিশমেন্টের মালিক ফাতে নূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্নারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল) এবং সান্ত্বনা ট্রেডার্সের মালিক নিজামুর রহমান চৌধুরী।

তিনটি চার্জশিট অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন। সেখানে বিদ্যমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করেছেন। এর মাধ্যমে আসামিরা ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫২৩ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। ওই মামলাগুলোতে মোট ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৭৬৩ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল। দুদকের উপপরিচালক (বর্তমানে পিআরএল ভোগরত) আবু বকর সিদ্দিক মামলার বাদী ছিলেন। মামলার পরপরই আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। মামলায় ১৭ জন চিকিৎসক এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আটজনকে আসামি করা হয়েছিল। আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ইসরাত জাহানকে চারটি মামলাতেই আসামি করা হয়। একটি মামলায় তদন্ত শেষে ৭ ডাক্তারসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালে চার্জশিট দেয় দুদক।

সাংবাদিকদের সব মিথ্যা প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
সাংবাদিকদের সব মিথ্যা প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

দল-মত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সব মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে তার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদান/আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমকে বিস্তৃত করবেন, তার পরিসর বাড়াবেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করবেন, অন্যদিকে একটা গোষ্ঠী তার বিপক্ষে গণমাধ্যমে অসত্য কথা বলে যাবেন, এটা হতে পারে না। কাজেই আমি অনুরোধ জানাবো দল-মত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুরা সব মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করুন। অপপ্রচারের বিপক্ষে সবাই রুখে দাঁড়ান, সত্যের পক্ষে থাকুন। অবশ্যই সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতির সমালোচনা করবেন। এটা সরকার স্বাগত জানাবে। কিন্তু মিথ্যাচারের মাধ্যমে সমালোচনা করলে সেটা মেনে নেয়া হবে না, সত্য তুলে ধরে জবাব দেওয়া হবে।

প্রতিপ্রন্ত্রী আরও বলেন, এ দেশে মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। যখন-তখন যেভাবে ইচ্ছা সারাক্ষণ মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা এ দেশে আছে। গত কিছুদিন ধরে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন, সমঝোতা স্মারক করে এসেছেন, চুক্তি করে এসেছেন যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের ট্রেন যাবে, বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন, এ ট্রেন দিয়ে গোলাবারুদ যাবে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে ভারতের অপর প্রান্তে এবং বাংলাদেশ একটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। বিরোধীদলের কিছু নেতা টকশোতে এসব কথা বলেছেন। অথচ এই সমঝোতা স্মারকে আছে ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন চলবে এবং বাংলাদেশের ট্রেন ভারতের ওপর দিয়ে চলে নেপাল-ভুটানে যাবে। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আমাদের ৫০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আছে। এ সত্য কথা কেউ বলে না। সমঝোতা স্মারকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের গ্রিড লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে আমদানি করে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। যেটা বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করবে। 

সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারতের বুক চিরে শুধু বাংলাদেশের ট্রেনই চলবে না, ভারতের আকাশ চিরে বিদ্যুৎও আসবে বাংলাদেশে। গণমাধ্যম এই হেডলাইন কেনো করলো না- এ সময় প্রশ্ন রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের ট্রেন চলবে এই সমঝোতা স্মারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন এটা সত্যি। কিন্তু এটা অর্ধেকটা সত্য। পুরো সত্য হচ্ছে, ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন চলবে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, দেশে শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতাই নয়, মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। সরকারের কোনো একটা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক বা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু মিথ্যা বলে কেনো বিরোধিতা করতে হবে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে কেনো বিরোধিতা করতে হবে? এতে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, এটা অপরাধ। অথচ বর্তমান সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাংবাদিক সমাজের যেমন নিবিড় সম্পর্ক ছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে একইভাবে এক ধরনের নিবিড় সম্পর্ক সব সময়ই ছিল। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, গণমাধ্যম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিক সমাজ এবং তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সাংবাদিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য তার চিন্তাভাবনা খুবই ইতিবাচক। যে কারণে কল্যাণ ট্রাস্টের মতো এরকম একটি উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এই উদ্যোগ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার এবং তার সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এগুলো নিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে সমালোচনা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের কল্যাণে, গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো খুব বেশি শোনা যায় না। এগুলো নিয়ে বড় আকারে রিপোর্টও আসে না। এগুলো দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জায়গায় বলা দরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের আকার দ্বিগুণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণমাধ্যমবান্ধব বলেই তিনি গণমাধ্যমের বিস্তৃতির শুধু সুযোগ করে দেননি, গণমাধ্যমকে বিস্তৃত হওয়ার জন্য প্রনোদনা দিয়েছেন, পরিবেশ তৈরি করেছেন। গণমাধ্যমে যারা কাজ করছেন তাদের কল্যাণের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এ ইতিবাচক বিষয়গুলো আমরা খুব একটা তুলে ধরতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং এই কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দল মত নির্বিশেষে সত্যিকার অর্থে দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর যে প্রচেষ্টা, সেটিই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। কাজেই যারা আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের বিপক্ষে অপপ্রচার করার চেষ্টা করে, এই তথ্যগুলো তুলে ধরে তাদের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে ৭৮৪ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৫০ টাকা কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সর্বশেষ পুরো বাংলাদেশে ২৯৩ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা অনু্দান দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া এবং ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।

আবদুল্লাহ আল মামুন/এমএ/

সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ডিএনসিসির

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ডিএনসিসির
বাজেট সভায় কথা বলছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৯তম করপোরেশন সভা ও বাজেট সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে ডিএনসিসির। গত চার বছরে রাজস্ব আদায় ৭৬ শতাংশ বেড়েছে।

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিকল্প নেই। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএনসিসির মোট বাজেটের ৫৩ শতাংশ ব্যয় নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি বহন করা হবে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে।’

২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ডিএনসিসি ৬১২ কোটি, ৬৯২ কোটি, ৭৯৪ কোটি ও ১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল। গত চার বছরে ডিএনসিসির রাজস্ব আদায় প্রায় ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ২০ সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ২০ সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন আগামীকাল সোমবার (৭ জুলাই)। এই সফর উপলক্ষে রবিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা আসতে পারে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। সেখানে তাদের সঙ্গে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলও থাকবে। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, “একই দিন অর্থাৎ বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চী‌নের প্রেসি‌ডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। এ ছাড়া সরকারপ্রধান বেইজিং সফ‌রের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ চীনা ভাষায় অনূদিত বইটির মোড়ক উন্মোচন কর‌বেন।”

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল সংযোগ প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।’ 

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের যৌথ নদী। তিস্তা নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ভারত একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তারা একটি কারিগরি দল পাঠাবে বলে আমাদের জানিয়েছে। বাংলাদেশে এসে ওই কারিগরি দল যৌথভাবে সমীক্ষা করে, কী করা উচিত, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। তিস্তা যাদের সঙ্গে যৌথ নদী, সেই ভারতের প্রস্তাব আমাদের বিবেচনা করতে হবে। চীনও এ ক্ষেত্রে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি ভালো। সফরের সময়, চীন যদি বিষয়টি আলোচনায় আনে, তাহলে আলোচনা হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিংয়ে অবতরণ করবেন। ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বৈঠক করবেন। আগামী ১১ জুলাই দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। 

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে সহায়তা চাওয়া হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবগুলো সমঝোতা স্মারক হবে। চুক্তি নয়। চীন অবকাঠামো নির্মাণে কাজ করছে।’

বাজেট সহায়তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নানা দেশ নানা প্রস্তাব দেয়। প্রয়োজনের নিরিখে, শর্ত পূরণ হলে সেসব সহায়তা বাংলাদেশ নেয়। চীনের সব প্রস্তাব আমরা নিই না। অফিশিয়াল কোনো প্রস্তাব বাংলাদেশ দেয়নি।’ 

মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন নিয়ে আলোচনা হবে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এবারও গুরুত্বের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের বন্দর উন্নয়ন নিয়ে কথা হবে। অতীতের সব চুক্তি নিয়েও আলোচনা হবে।’ 

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নন ট্যারিফ ব্যারিয়ার তুলে নিতে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হবে।

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা
ছবি : সংগৃহীত

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদী হাউজিংসহ ১০ স্থাপনাকে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

রবিবার (৭ জুলাই) এলিফ্যান্ট রোড, মতিঝিল, আরামবাগ, নটর ডেম কলেজ এলাকার আশপাশ, জিগাতলা, বেচারাম দেউরী, আলী হোসেন রোড, মৌলভীবাজার, চকবাজার ও সংলগ্ন এলাকা, ঝিলপাড়, মাদ্রাসা রোড, ব্রাহ্মণ চিরন, গোলাপবাগ, ধলপুর, মান্ডার সমর উদ্দিন রোড, মুগদা, স্মৃতিধারা আবাসিক এলাকার ৮ ও ১০ নম্বর রোড এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বেসরকারি আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদী হাউজিং নির্মিত একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ ১০টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িকে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন।