ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

রওশন অনড়, ঐক্যের তোড়জোড়

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম
আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
রওশন অনড়, ঐক্যের তোড়জোড়

পঞ্চমবারের মতো ভাঙনের আশঙ্কা আরও প্রবল হয়েছে জাতীয় পার্টিতে। গত সোমবার জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর রওশন শিবির থেকে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। 

দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মনোনয়নে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।

রওশন শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মনোনয়ন ঘোষণায় তাকে অবজ্ঞা করে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলে পঞ্চমবারের মতো ভাঙন ডেকে এনেছেন। রওশন এরশাদের অনুসারীরা আলাদাভাবে দল গঠনের আভাস দেওয়ায় জাপায় এখন চরম অস্থিরতা ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জানা যায়, মনোনয়নের ইস্যুতে আবারও আলোচনার টেবিলে বসছেন দুই পক্ষের নেতারা। রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের সমঝোতার পর ঘোষিত মনোনয়ন তালিকায় ফের কাটাছেঁড়া হতে পারে বলে মিলেছে আভাস। সোমবার দলের প্রার্থিতা পাওয়া নেতারা এখন আশঙ্কায়, যদি চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়ে যায় তাদের নাম!

জাতীয় পার্টি মহাসচিব মনোনয়ন ঘোষণার দিনে বলেছেন, তারা ময়মনসিংহ-৪ আসনটি রওশন এরশাদের জন্য ফাঁকা রেখেছেন। সংকটের সূত্রপাত হয় রংপুর-৩ আসনে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রার্থী হওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা এলে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য তার ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ (সাদ)। ছেলে সাদকে মনোনয়ন না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন রওশন এরশাদ। নিজের মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করে তিনি জানিয়ে দেন, এবার তিনি জাপার প্রার্থী হবেন না।

সাদ এরশাদ ইস্যুর সুরাহা হয়ে যাবে বলে আভাস দেন জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। সাদ এরশাদের প্রার্থিতা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘রংপুর-৩ আসনে এখন এমপি সাদ এরশাদ। তবে তার আগে জি এম কাদের কিন্তু এই আসনে এমপি ছিলেন। পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে ওই আসনে ইলেকশন করার অপশন তার আছে। এখন সাদ এরশাদ যদি অন্য কোনো আসনে নির্বাচন করতে চান, তবে তার সুযোগ আছে। সাদ এরশাদ অন্য কোথাও ইলেকশন করতে চাইলে সেটি আমাদের বলুক। আমরা তাকে সহযোগিতা করব।’

পঞ্চম দফায় বড় ভাঙনের মুখে থাকা দলকে বাঁচাতে রওশন এরশাদও ঐক্যের আভাস দেন। গতকাল সকাল থেকে গুলশানে রওশনের বাসভবনে তার অনুসারী নেতাদের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের পরে রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বলেন, ‘তিনি (রওশন এরশাদ) বিভক্ত জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চান না। তিনি বারবার বলছেন, নির্বাচনে যেতে হলে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টিকে যেতে হবে।’

রওশন অনুসারী এক নেতা জানান, নির্বাচনে প্রার্থী হতে রওশন এরশাদের শর্ত ছিল তার অনুসারী ৩০-৩২ জন নেতার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে হবে জি এম কাদেরকে। অনেক দেনাদরবারের পর তা নেমে আসে ১৫ জনে। তবে দল থেকে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত এবং দলে নিষ্ক্রিয় নেতাদের মনোনয়ন দিতে রাজি হননি জি এম কাদের। শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা হওয়ার কথা। 

সোমবার জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু জানান, এবারের নির্বাচনে জাপা ২৮৯টি আসনে প্রার্থী দেবে। ১১টি আসন এখনো ফাঁকা রেখেছে দল। তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল ৩০ নভেম্বর দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। সে হিসেবে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন তালিকা কাটাছেঁড়া করার সুযোগ রয়েছে মাত্র এক দিন। ওই ১১টি আসনের দিকে এখন তাকিয়ে রয়েছেন রওশন অনুসারীরা। 

মুজিবুল হক চুন্নু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দল থেকে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাদের বিষয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।’

সোমবার মনোনয়ন ঘোষণার পর দলের শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী অফিসে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে চলে গেছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল প্রায় শূন্য। গতকাল বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও আনাগোনা ছিল কম। জাপা চেয়ারম্যানের দুজন উপদেষ্টার সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির যে সদস্যরা এসেছিলেন, গতকাল সকালে তাদের সবার একটাই প্রশ্ন ছিল- রওশন এরশাদের বিষয়টি কখন সুরাহা হবে।

তারা আশঙ্কা করছেন, শেষ পর্যন্ত রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় পার্টির ভাঙনের সব আনুষ্ঠানিকতা সেখানেই সম্পন্ন হবে। রওশন এরশাদ সরকার ঘনিষ্ঠ বলে দলের কো-চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের অনেকেই তখন রাজনৈতিক সুবিধা নিতে তার মুখাপেক্ষী থাকেন। দল ভাঙলে এই নেতারা রওশন শিবিরে ভিড়তে দেরি করবেন না বলে মন্তব্য করেন তারা। তখন জি এম কাদের চরম বিপদে পড়বেন।

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এই আশঙ্কার কথা জানেন জাপার শীর্ষ নেতারাও। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই পক্ষই চাচ্ছে দ্রুত রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের দ্বন্দ্বের সুরাহা হোক। 

কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
কোটা ইস্যু রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোট

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহালের ইস্যুতে সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, কোটার বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তারা। 

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সঙ্গে চাকরির কোটা সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র-যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’ 

ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
ব্যক্তি-গোষ্ঠীস্বার্থে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়: জি এম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে সরকার কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য হলো শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টি। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক।’

রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি  বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিন্তু তাকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সরকার কেন কোটা পদ্ধতি বহাল রাখতে চায়- এ প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি করতে অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ অনুপযুক্তরা জানে তারা এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়।’

জয়ন্ত/এমএ/

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেত্রী নিহত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন লিজা মারা গেছেন। লিজার বড় ভাই পলাশ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন লিজার স্বামী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ ইসলাম উজ্জ্বল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, লিজার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু)।

শফিক/এমএ/

শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মোড়ে, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই আন্দোলনে স্পষ্ট সমর্থন দেখা যায় সাধারণ মানুষেরও। তাই দাবি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

মান্না বলেন, প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, রাস্তায় আন্দোলন করে আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় কী-না! অথচ বিশ্বের কতো রাষ্ট্র আর তার সরকার আইনব্যবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আদালতে রিট হয়েছে কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করতে, আদালত তা বাতিল করে শুনানি শুরু করেছে যা বর্তমানে মুলতবি রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলন ও দাবির মুখে জারি করা কোটা বাতিল পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি করতে পারতেন আদালত, অবশ্য দুটিই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাধারণ মানুষের দুর্গতি, অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা ভেবে পরিপত্র বহাল রেখেই শুনানি চলমান রাখা যেত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, পরিপত্র বহাল রেখেই রিটের শুনানি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। না হলে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া শিক্ষার উপর আরও প্রবল নেতিবাচক প্রভাব দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদেরকে।

মান্না আরও বলেন, কোটা পুনর্বহাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানান। এগুলো হল- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শফিক/এমএ/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’