![ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে : সাইফুল হক](uploads/2024/02/05/1707148128.Saiful_Haque.jpg)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষণ প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তারা জানে দেশে কোনো বিচার নেই, আইন নেই। অপরাধ করলেও তাদের কোনো শাস্তি হবে না। একজন নারী যে সম্ভ্রম, ইজ্জত নিয়ে বেঁচে থাকবেন সেটিও এখন নেই।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে ‘ডামি নির্বাচনের সরকার থেকে দেশ বাঁচাও, দ্রব্যমূল্যের আগুন থেকে মানুষকে রক্ষা করো’ শীর্ষক এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীরনগর ঘটনা দেশব্যাপী নৈরাজ্য বহিঃপ্রকাশ মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, ‘আজকে ছাত্রলীগ, বিভিন্ন লীগের লোকেরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সারা দেশে নৈরাজ্য করে বেড়াচ্ছে। নারী নির্যাতন-নিপীড়ন, ধর্ষণ তাদের নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। তারা মনে করছে, দেশে আইন নেই, ফলে এখানে যা খুশি তা করা যাবে। অপরাধ করলেও তাদের কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।’
ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ কলেজগুলোতে ছাত্রলীগের দখলদারত্বের অবসান ঘটাতে হবে। না হলে এই ধরনের নৈরাজ্য পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংসদ লুটেরা ব্যবসায়ীদের ক্লাবে এবং আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী লীগে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন হয়েছে, তাতে ২০০-এর ওপরে চিহ্নিত ব্যবসায়ীকে এমপি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এর প্রকৃত হিসাব হবে আড়াই শর ওপরে। এর মানে হচ্ছে, এই পার্লামেন্ট পুরোপুরি একটা ব্যবসায়ী, লুটেরা, মাফিয়া, ব্যাংক খেলাপিদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। সেই কারণেই আওয়ামী লীগ এখন ব্যবসায়ী লীগে পরিণত হয়েছে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘আজকে বাজারের যে পরিস্থিতি, মানুষ বাজারে বলেন, মনে হয় না দেশে কোনো সরকার আছে। বাজারের অসৎ, মুনাফাখোর, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আজকে কেবল জনগণকে জিম্মি করে নাই। তারা আজকে পুরোপুরিভাবে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে খেয়ে ফেলেছে। তারা মনে করছে, সরকারি দলের কিছু করার নাই তাদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আমি বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু যে আওয়ামী লীগ তৈরি করেছেন, বহু আগেই সেই আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, বিজয়নগর ও সেগুনবাগিচা হয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।