ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নতুন প্রজন্মের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতেই জিয়া পাঠাগার: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
নতুন প্রজন্মের জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতেই জিয়া পাঠাগার: মির্জা ফখরুল
পাঠাগার উদ্বোধন শেষে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মানুষদের জানানো এবং নতুন প্রজন্মের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতেই জিয়া পাঠাগার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুর ১টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার সেওতা এলাকায় পাঠাগার উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যত বেশি বই পড়বেন, তত বেশি সঠিক বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করতে পড়ার বিকল্প নেই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে পাঠাগারের দিকে আকৃষ্ট করতে পারলে রাজনীতি সমৃদ্ধ হবে।’
 
এ সময় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দীপ্তি, জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডা. জিয়াউর রহমানসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 
আসাদ জামান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

জাতীয় ঐক্যে যোগদানের ঘোষণা কর্ণেল অলির

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
জাতীয় ঐক্যে যোগদানের ঘোষণা কর্ণেল অলির
এলডিপি'র প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ (বীর বিক্রম)। ফাইল ছবি

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিএনপির পক্ষ থেকে যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে, সেই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল থাকার ঘোষণা প্রদান করছি। সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দলগুলোর ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। দুর্নীতিবাজ ও জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা করার এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ কায়েম করার পদক্ষেপ নিতে হবে। 

শনিবার (২৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।

কর্ণেল অলি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিয়েছিল, সেটিকে সশস্ত্র সহিংসতার মাধ্যমে দমন করতে গিয়ে অবৈধ সরকার দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের উপর অমানবিক অত্যাচার এবং গভীর রাতে অসহায় ছেলে-মেয়েদেরকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে হল থেকে বের করে দিয়ে রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কয়েক হাজার আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার এবং ছাত্রলীগ কীভাবে দায় এড়াবে? 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইন, নিয়ম নীতি হল শুধু সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু বর্তমানে সরকার ও তাদের দলকে কোন নিয়ম-নীতি বা আইন মানতে হয় না। তারা যাকে ইচ্ছা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে, যাকে ইচ্ছা দোষারোপ করে, কারণ তারা পথভ্রষ্ট এবং সরকারের সেবাদাস। ঘটনা ঘটায় সরকার, আর দোষারোপ করা হয় বিরোধী দলগুলোকে। সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, ধামাচাপা দিয়ে কখনো সমস্যার সমাধান হবে না।

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, বিগত সময়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ড, হেফাজত হত্যাকাণ্ড এবং কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে গোলাগুলি জনগন কখনোই ক্ষমা করবে না। সময় লাগতে পারে, তবে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। ঘটনাগুলোকে যতই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় নতুন নতুন নাটক করা হোক, এতে কিছু আসে যায় না। প্রকৃত ঘটনা দেশের জনগণ দেখেছে এবং সমগ্র পৃথিবীর মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। সুতরাং বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নাই।

সরকারের উদ্দেশে অলি আহমেদ বলেন, মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করুন। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যুক্তিসঙ্গত, তাদেরকে হয়রানি বন্ধ করুন। ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করুন, ইন্টারনেট চালু করুন। ছাত্র-ছাত্রীদের বা দেশের মানুষদের সমস্যার সমাধান আপনারা দিতে পারবেন না। জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় দ্রুত পদত্যাগ করে জনগণকে মুক্তি দিন।

শফিক/এমএ/

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেক না কেটে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
কেক না কেটে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের জাঁকজমক অনুষ্ঠান করেনি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেক না কেটে সারা দেশে মিলাদ-দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (২৭ জুলাই) গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ৩১ বছরে পদার্পণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু খবরের কাগজকে বলেন, সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার কারনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের কেক কাটা হয়নি। বরং দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় সারা দেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১/১১-এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কতৃর্ক শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর সংগঠনের নেতাকর্মীরা নেত্রীর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন। ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জীবন দেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা। আহত হন অনেক নেতাকর্মী। করোনার সময়ে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, লাশ সৎকার, অসহায় কৃষকের ধান কেটে গোলায় তুলে দেওয়াসহ গত ৩০ বছরে সবধরনের দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মানুষের পাশে ছিল।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সকাল ১১টায় কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে দোয়া মাহফিলের ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ ছাড়াও সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ওয়ার্ড, ইউনিয়নে এবং সংগঠনের বৈদেশিক শাখাগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বিপুলসংখ্যক আহত নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

জিয়াউদ্দিন রাজু/অমিয়/

দেশবিরোধীদের রুখে দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
দেশবিরোধীদের রুখে দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ২০০৯, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৮, ২০২৩ সালে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সব উন্নয়নকে টেনে ধরার জন্য একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে। তারা আমাদের চেতনা, অস্তিত্ব, রাষ্ট্রযন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্সকৃতির ওপর আঘাত হেনেছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দিনাজপুরে সম্প্রতি দুষ্কৃতকারীদের ভাঙচুর করা জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করব। সাধারণ মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক। দুষ্কৃতিকারীরা শুধু দিনাজপুরে নয়, সমগ্র বাংলাদেশে আঘাত করেছে। এ আঘাত বাংলাদেশের ওপর আঘাত। ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ক্ষতবিক্ষত করেছে। দল ভাঙার জন্য বিভেদ সৃষ্টি, দলকে দুর্বল করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এর পরও ইস্পাতকঠিন ঐক্য নিয়ে আওয়ামী লীগ দাঁড়িয়ে আছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তারা হামলা করেছে। একটি সেটেল ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে - এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

পরে প্রতিমন্ত্রী সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ সভায় উপস্থিত হন।

অমিয়/

জয়ের নেতৃত্বে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
জয়ের নেতৃত্বে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তি-নির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্র ও সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির মহাসংগ্রামের মধ্যে সম্ভাবনার সোপানে অগ্নিগর্ভ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মাতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সব প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনো মোহ তাকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকল মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন। তার লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় নিয়মিত বিকাশমান প্রযুক্তির সহায়তায় সম্ভাবনার নবতর দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, কোটি তরুণের হৃদয়ে নব প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়ে স্বপ্নজয়ের বীজ বপন করেছেন।’

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে তিনি ২৫০ তরুণ বিশ্ব নেতার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন।

কাদের বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব মানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় অভিষিক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলা কারিগরি কলেজ ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ইনকিউরেশন সেন্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে।

কাদের বলেন, দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর।

তিনি আরও বলেন, ই-গভর্নেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তিন শতাধিক ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা পাচ্ছে জনগণ। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, মর্যাদা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার তার ব্যতিক্রম।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সকল সদস্য মেধাবী ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের যোগ্য করে তোলার পরও তারা দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ, দেশপ্রেম এবং তাদের সাধারণ জীবন-যাপনের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা সবাই দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের চিন্তা করেন এবং তা বাস্তবায়নে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পদক্ষেপে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৫টি উদ্যোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের জন্য এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) পুরস্কার-২০২১ লাভ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের নিকট তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সূত্র: বাসস

ইসরাত চৈতী/অমিয়/

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর: কাদের

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর: কাদের
ফাইল ফটো

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিরোধী এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য! উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য! জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর।’

তিনি বলেন, ‘এই ঐক্যের ডাক এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।’
 
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছে। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ও সংযম নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি। এদের সশস্ত্র ক্যাডারদের মোকাবেলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নিরস্ত্র নেতা-কর্মীরা সতর্কাবস্থায় ছিল।’

কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।’

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মিশনে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসে জড়ো হয়েছিল। এই সন্ত্রাসীরা বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংষযজ্ঞ চালিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। হত্যা-গুপ্তহত্যা ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা আবার ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।’

হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল গণগ্রেপ্তার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

কোনো গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরাপরাধ কেউ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করব। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

সাদিয়া নাহার/অমিয়/