![চতুর পাইলট](uploads/2024/06/25/rtr-1719320578.jpg)
টেক্সাস থেকে বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে রওনা হওয়া এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট চার্টার বিমানটি সিয়াটলের কাছাকাছি এসে ঘন কুয়াশার মধ্যে পড়ে গেল। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঠিক এই সময় তার ইঞ্জিনেও সমস্যা দেখা দিল। পাইলট উপায় না দেখে আশপাশে ল্যান্ড করার উপযোগী জায়গার খোঁজ করতে লাগলেন। কিন্তু রেডিওসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতিও একে একে সাড়া দিতে অস্বীকার করার ফলে বিমানের অবস্থান জানা যাচ্ছিল না।
এভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর পাইলট টের পেলেন যে বিমানের জ্বালানিও কমে আসছে। তাই তিনি বিমানটিকে যথাসম্ভব নিচে নামিয়ে আনলেন এবং খালি চোখের ওপর ভরসা করে ল্যান্ড করার মতো জায়গা খুঁজতে লাগলেন। এমন সময় কুয়াশা একটু কমে আসার কারণে সে একটু দূরেই একটা উঁচু ভবন দেখতে পেলেন। সেই ভবনের ২০ তলার জানালা দিয়ে এক ভদ্রলোককে নিবিষ্ট মনে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে দেখা যাচ্ছিল। পাইলট খুবই আশান্বিত হয়ে বিমানটিকে বিল্ডিংয়ের সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করে লোকটাকে জিজ্ঞেস করল, এই যে ভাই, বলতে পারেন আমি এখন ঠিক কোথায় আছি? উত্তর ভদ্রলোক বললেন, আপনি এই মুহূর্তে একটা ছোট চার্টার বিমানের ভেতরে আছেন।
ভদ্রলোকের এই উত্তর শুনে যাত্রীরা যারপরনাই হতাশ হলেও পাইলট আনন্দে প্রায় লাফিয়ে উঠলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিকে বিল্ডিং থেকে ঠিক ১০০ মিটার সামনে এনে ২৭৫ ডিগ্রি ঘুরিয়ে নিলেন। তারপর সোজা ৫.৩ কিলোমিটার গিয়ে চোখ বন্ধ করে বিমানটিকে নিখুঁতভাবে ল্যান্ড করালেন। আর ঠিক সেই মুহূর্তে বিমানের জ্বালানি সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেল।
বিস্মিত যাত্রীরা পাইলটকে ঘিরে ধরল এবং জিজ্ঞেস করল যে তিনি কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন।
পাইলট উত্তর দিলেন, খুবই সহজ। আমি যখন ওই ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম যে আমি কোথায়, তখন সে যে উত্তরটা দিল সেটা ছিল ১০০ পার্সেন্ট সঠিক কিন্তু সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। কাজেই আমি বুঝে গেলাম যে এটা হচ্ছে মাইক্রোসফট সাপোর্ট সেন্টার অফিস। আর সিয়াটল এয়ারপোর্ট এমএস সাপোর্ট সেন্টার থেকে কত দূরে সেটা তো আমার জানা ছিলই।
কলি