ঢাকা ১০ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪

বরিশালে বন্ধুজনের বৃক্ষরোপণ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১০:১৬ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১০:১৬ পিএম
বরিশালে বন্ধুজনের বৃক্ষরোপণ
বিএম স্কুল প্রাঙ্গণে খবরের কাগজ বন্ধুজনের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ফলদ বৃক্ষ রোপণ করা হয়। ছবি : খবরের কাগজ

বরিশালে খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন ‘বন্ধুজন’-এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশালের সহায়তায় ব্রজমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বিএম স্কুল) প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ফলদ বৃক্ষ রোপণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় আয়োজিত এ কার্যক্রমে অংশ নেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। 

বিদ্যালয় আঙিনায় গাছ লাগানোর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএম স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আমরা গাছ থেকে পেয়ে থাকি। এ ছাড়া গাছ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই গাছ আমাদের পরম বন্ধু। তাই পরিবেশ সমুন্নত রাখতে আমাদের বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে। 

তিনি খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন বন্ধুজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘খবরের কাগজের বন্ধুজন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করছে যা নিঃসন্দেহে মানবিক এবং পরিবেশবান্ধব। তাদের মানবিক এবং পরিবেশবান্ধব কাজগুলো যেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই প্রত্যাশা করি।’

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, খবরের কাগজের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপদেষ্টা অরূপ তালুকদার, বিএম স্কুলের সহকারী শিক্ষক রমিজ উদ্দিন তালুকদার, খবরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক মঈনুল ইসলাম সবুজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

 

বানভাসিদের সঙ্গে খবরের কাগজের একাত্মতা

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
বানভাসিদের সঙ্গে খবরের কাগজের একাত্মতা
ছবি : খবরের কাগজ

মানুষ মানুষের জন্য- এখন এই মন্ত্রে উজ্জীবিত গোটা দেশের মানুষ। আকস্মিক বন্যায় দিশেহারা আর্তবিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সব মানুষ। যার যা সাধ্য, তা-ই নিয়ে এই সংকট উত্তরণে অবদান রাখছে সবাই। মহতি এ মিছিলে শরিক হয়েছে খবরের কাগজের কর্মী বাহিনী। এক দিনের সমপরিমাণ বেতন বন্যার্তদের সহায়তায় প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খবরের কাগজের কর্মীদের এই অর্থসহায়তা খুব শিগগির খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন বন্ধুজনের মাধ্যমে উপদ্রুত অঞ্চলের বিপন্ন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। 

উল্লেখ্য, সারা দেশে খবরের কাগজের তিন শতাধিক সাংবাদিক-সংবাদকর্মী কর্মরত।

খবরের কাগজ বন্ধুজনের উদ্যোগে সাতকানিয়ায় বৃক্ষরোপণ

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
খবরের কাগজ বন্ধুজনের উদ্যোগে সাতকানিয়ায় বৃক্ষরোপণ
বড়দুয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খবরের কাগজ বন্ধুজনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ছবি : খবরের কাগজ

দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন ‘খবরের কাগজ বন্ধুজন’-এর উদ্যোগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৪ পালিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে খবরের কাগজ চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান ইফতেখারুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় ও সাতকানিয়া উপজেলা বন্ধুজনের আয়োজনে উপজেলার বড়দুয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এ সময় বন্ধুজন চট্টগ্রামের সদস্য মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বড়দুয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমা মজুমদার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল মালেক, জহির আহামদ, সহকারী শিক্ষিকা অর্পনা দত্ত, সিদ্দিকা আফরোজ, মৌসুমী দাশ গুপ্তা ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোমা মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দেশের আয়তন অনুযায়ী যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, সে পরিমাণ নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় বৃক্ষরোপণের মতো একটি উদ্যোগ নেওয়ায় পাঠকদের জনপ্রিয় পত্রিকা খবরের কাগজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল মালেক বলেন, ‘চলতি বছর গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে তীব্র দাবদাহের সৃষ্টি হয়েছিল। তীব্র গরম ও দাবদাহ থেকে বাঁচতে গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের মতো এমন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে খবরের কাগজ পাঠকদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।’

সভাপতির বক্তব্যে বন্ধুজন চট্টগ্রামের সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দৈনিক খবরের কাগজ খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পাঠকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পাঠক সংগঠন বন্ধুজনের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান পাঠকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ পর্যায়ে তারা বন্ধুজনের উদ্যোগে সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এমন একটি কর্মসূচির আয়োজন করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

বন্ধুজনের উদ্যোগে শিশুর হাতে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
বন্ধুজনের উদ্যোগে শিশুর হাতে বৃক্ষরোপণ
ছবি: মামুন হোসেন

সাত বছর বয়সী তাসলিমা। এর আগে কোনো দিন সে গাছ লাগায়নি। প্রথমবারের মতো খবরের কাগজের পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বন্ধুজন’ সিলেট-এর উদ্যোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) একটি আমলকীগাছের চারা রোপণ করেছে সে। তাই তাসলিমা অনেক উচ্ছ্বাসিত। তাসলিমা বলে, ‘এর আগে কোনো দিন গাছ লাগাইনি। আজকেই প্রথম গাছ লাগালাম। তাই খুব ভালো লাগছে।’

তাসলিমার সমবয়সী সাদিয়া। সেও প্রথম গাছ লাগিয়েছে। সাদিয়া বলে, ‘আজ প্রথম গাছ লাগিয়ে মাটি আর পানি দিয়েছি গাছের গোঁড়ায়। আমার অনেক ভাল লেগেছে। আমি বাসায় গিয়েও গাছ লাগাব।’ ৯ বছরের শিশু আরিফ লাগিয়েছে একটি ফলের গাছ। 

তাসলিমা, সাদিয়া, আরিফের মতো আরও সাতজন শিশু এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারা সবাই শাবিপ্রবির অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’-এর সদস্য। এরা সবাই সুবিধাবঞ্চিত শিশু। মূলত তারাই ছিল ‘বন্ধুজন’ সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের আমন্ত্রিত অতিথি।

‘বন্ধুজন’ সিলেটের এ উদ্যোগে সহায়তা দিয়েছে সিলেট বন বিভাগ। মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সূচনায় শিশুদের অগ্রভাগে রেখে অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়। যেখানে এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। 

‘বন্ধুজন’ সিলেট-এর উদ্যোগে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ১০০টি ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা রোপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের সড়কের সামনের খালি জায়গায় গাছের চারা রোপণ করা হয়। 

শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তানবির আহমেদ বলেন, ‘বৈষয়িক তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, এই তাপমাত্রা কমাতে গাছের বিকল্প নেই। তাই বন্ধুজনের এই উদ্যোগ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তারা আমাদের ক্যাম্পাসের গাছের চারা লাগানোর মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করেছে, তাই এই সংগঠনের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। বন্ধুজনের মত অন্যান্য সংগঠনও যদি এভাবে বৃক্ষরোপণ শুরু করে তাহলে অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমরা রক্ষা পাব।’ 

বন্ধুজনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বৃক্ষরোপন তরুণ উদ্যোক্তা শাহ সিকান্দার আহমদ শাকির বলেন, ‘আমাদের দেশের পরিবেশ দিনদিন বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। তার প্রধান কারণ আমরা পরিবেশের প্রতি যত্নশীল না। যে গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় আমরাই তা কেটে ফেলি। গাছ কাটার কারণে পশু-পাখি লোকালয়ে চলে আসে খাবার ও আশ্রয়ের জন্য। আজকের শিশুরা আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের দিয়ে বন্ধুজন এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে, সেটা অবশ্যই খুব ভাল উদ্যোগ। আজকে শিশুরা যে গাছ লাগালো, বড় হয়ে সেই শিশুরা কখনো গাছের প্রতি অবিচার করবে না।’ 

বৃক্ষরোপনে একাত্ম হতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কবি মিসবাহ জামিল, আবু সুফিয়ান রাজিব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’-এর সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল হক ইরাম, খবরের কাগজের সিলেট ব্যুরোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাকিলা ববি, ফটো সাংবাদিক মামুন হোসেন, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি ইশফাক আলী, কনটেন্ট ক্রিয়েটর লিটন চৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

শাকিলা ববি/এমএ/

 

চট্টগ্রামে খবরের কাগজ বন্ধুজনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
চট্টগ্রামে খবরের কাগজ বন্ধুজনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
চট্টগ্রামে খবরের কাগজ বন্ধুজনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ করছেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। ছবি : খবরের কাগজ

দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বন্ধুজন’ এর উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম নগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে মহানগরের অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়ছার, চসিকের কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তালেব বেলাল, সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম হক্কানী, খবরের কাগজের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ইফতেখারুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার আবদুস সাত্তার, এম কে মনির, স্টাফ ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ হানিফ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু এবং বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি খবরের কাগজ বন্ধুজন আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন। এতে আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষিকার পাশাপাশি বিদ্যালয়টির ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘গাছ আমাদের আলো, বাতাস, ফল ও ছায়া দেয়। এ ছাড়াও গাছ পাহাড় ধস ঠেকায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। গাছের উপকার বলে শেষ করতে পারব না। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। তাই পরিবেশ সমুন্নত রাখতে আমাদের বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে। তোমরা সবাই একটি করে হলেও গাছ রোপণ করবে। নিজের জমি না থাকলে অন্যের জমিতে হলেও রোপণ করবে। কোনো জমি না থাকলে বাড়ির ছাদে গাছ লাগাবে তোমরা।’ 

অনুষ্ঠানে মেয়র আরও বলেন, “আমি খবরের কাগজের বন্ধুজন সংগঠনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সংগঠনটি সারা দেশে যে এই কর্মসূচি পালন করছে সেগুলো নিঃসন্দেহে মানবিক এবং পরিবেশবান্ধব। আমি সাধুবাদ জানাই এমন মহতী উদ্যোগকে। সেই সঙ্গে ‘খবরের কাগজ’ চট্টগ্রাম পরিবারকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে খবরের কাগজের চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান এসএম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘খবরের কাগজ বন্ধুজনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম থেকেই বৃক্ষরোপণের সূচনা করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন ফলদ, বনজ এবং ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রামের নগরপিতা এ সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমাদেরকে ধন্য করেছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ ও অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজকে খবরের কাগজের পক্ষ থেকে আমরা বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।’ 

অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তালেব বেলাল বলেন, ‘মানুষ আর গাছ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ও নির্ভরশীল। গাছ ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারবে না। কারণ মানুষের বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গাছ সরবরাহ করে। আবার গাছের প্রয়োজনীয় কার্বন ডাই অক্সাইড মানুষ গাছকে দেয়।’ 

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) এসএম কায়ছার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ঘরে ঘরে গাছের চারা রোপণ করতে হবে। গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন প্রকারের ঔষধি গাছ আমাদের বাড়ির আঙিনায় রোপণ করতে হবে। আগামী ২০ জুলাই জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হবে। এতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’ 

চসিকের কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, ‘এখন ছাদবাগানও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরে যাদের বাড়ির কোনো আঙিনা নেই, তারা বাড়ির ছাদে ফলদ এবং ঔষধি গাছ লাগাতে পারে। আমাদের পরিবেশকে গাছ লাগিয়ে রক্ষা করতে হবে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ এবং ঔষধি চারা গাছ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।’ 

অদম্য মেধাবী মিনারজিমকে খবরের কাগজ-সিডব্লিওএফের বৃত্তি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০২:২৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
অদম্য মেধাবী মিনারজিমকে খবরের কাগজ-সিডব্লিওএফের বৃত্তি
ফুলবাড়ী প্রেস ক্লাব সভাকক্ষে অদম্য মেধাবী মিনারজিম ও তার বাবা-মায়ের হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেওয়া হয়। ছবি: খবরের কাগজ

‘ছেলের ভর্তির টাকার জন্য আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সেই টাকা ব্যবস্থা করে দিলেন। এ উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই টাকা আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকার সমান।’ 

আবেগে আপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন দিনমজুরি করে এসএসসিতে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থী মিনারজিমের মা হালিমা বেগম।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে ফুলবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাকক্ষে মিনারজিম ও তার বাবা-মায়ের হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেওয়া হলে কথাগুলো বলেন তিনি। এ সময় চোখে পানি আসে তার।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন। সহযোগিতা করবেন।’

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্বধনিরাম গ্রামের প্রতিবন্ধী মনিরুজ্জামান ও হালিমা বেগমের ছেলে অদম্য মেধাবী মিনারজিম বড়ভিটা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এ প্লাস পেয়েছে এবার।

প্রতিবন্ধী বাবা কাজ করতে না পারায় দিনমজুরি করতেন মিনারজিম। পাশাপাশি শিক্ষকদের সহযোগিতায় পড়ালেখা চালিয়ে যায়। তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক খবরের কাগজ। 

এরপর দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন বন্ধুজন ও সিডব্লিওএফের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার তাকে ৫ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।

এ সময় দৈনিক খবরের কাগজের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি গোলাম মওলা সিরাজ, ফুলবাড়ী প্রেস ক্লাব সভাপতি এমদাদুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি শাহিনুর রহমান শাহীন, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি অনীল চন্দ্র রায়, মানবজমিনের প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, ফুলবাড়ী মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইউনুছ আলী আনন্দ, সাংবাদিক এ এইচ এম বাবুল, মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য সংবাদকর্মী, সুধীজন ছাড়াও অদম্য মেধাবী মিনারজিমের বাবা মনিরুজ্জামান, মা হালিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

খবরের কাগজের প্রতিনিধি গোলাম মওলা সিরাজ বলেন, ‘দৈনিক খবরের কাগজ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের পাশাপাশি দায়বদ্ধতা থেকে সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অল্প সময়ে পাঠকের মন জয় করা দৈনিকটি সিডব্লিওএফের সহযোগিতায় এবারে সারা দেশের বেশ কিছু অদম্য মেধাবীকে এককালীন বৃত্তি দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা মিনারজিমের হাতেও দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন বন্ধুজন ও সিডব্লিওএফের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা তুলে দিতে পারলাম। আশা করি খবরের কাগজ এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।’

টাকা পেয়ে মিনারজিম বলেন, ‘আমার পড়ালেখার পেছনে আমার মাকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতা আমাকে আরও উৎসাহ দেবে। আরও ভালো ফল করতে উৎসাহ দেবে প্রেরণা জোগাবে।’

পড়ালেখা করে প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পাশাপাশি দৈনিক খবরের কাগজের কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় মিনারজিম। 

ফুলবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক মিলন বলেন, দৈনিক খবরের কাগজের এ মহান উদ্যোগে আমাদের এলাকার মেধাবী মিনাজিমকে রাখার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও এ উদ্যোগ রাখে আমরা সে প্রত্যাশা করি। 

সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেন, মিনারজিম আমাদের এলাকার ছেলে। তার সংসারের কথা বা পড়ালেখার পেছনে কষ্টের কথা জানি। বিষয়টি যে খবরের কাগজও বুঝতে পেরেছে, এজন্য পত্রিকার প্রতিনিধিসহ কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা থাকবে।

মা হালিমা জানান, একমাত্র ছেলে মিনারজিমকে ইসলামী শিক্ষার ইচ্ছে ছিল তাদের। ছোটবেলা থেকে কোরআন শিক্ষা দেয়। পাশাপাশি পাঠ্যশিক্ষাও চালিয়ে যায়। ২০২১ সালে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিস তালিমুল কোরআন মডেল বালক ও বালিকা মাদরাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হয়। পরে বড়ভিটা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দেয় সে।

কিন্তু পড়ালেখাটা সহজ ছিল না মিনারজিমের। দিনমজুরি করে পড়তে হয় তাকে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে খাদ্যের সন্ধান করেন মা। আত্মীয়-স্বজন, বিদ্যালয়ের প্রধানসহ শিক্ষকদের সহযোগিতায় মোট ১১৫৩ নম্বর পায় মিনারজিম।

গোলাম মওলা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/