ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

অদম্য মেধাবী সিয়াম পেল ‘বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ’ শিক্ষাবৃত্তি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
অদম্য মেধাবী সিয়াম পেল ‘বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ’ শিক্ষাবৃত্তি
খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিউএফ ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি ২০২৪’-এর এককালীন আর্থিক সহায়তা পেল সিয়াম। ছবি : খবরের কাগজ

অদম্য মেধাবী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সিয়াম মিয়ার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন পূরণের সারথি হতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বন্ধুজন’।

চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশন (সিডব্লিউএফ)-এর আর্থিক সহায়তায় ‘অদম্য মেধাবীদের পাশে আছি’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিউএফ ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি ২০২৪’-এর আওতায় সিয়াম মিয়াকে এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে জামালপুরের সরিষাবাড়ী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাকে সহায়তা দেওয়া হয়।

সরিষাবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হরেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।

এ ছাড়া সাংবাদিক এ এস এম জুলফিকুর রহমান, জহুরুল ইসলাম ঠান্ডু, মিজানুর রহমান, এম এ রউফ, মোস্তাক আহমেদ মনির, বাদশা ভূঁইয়া, সরিষাবাড়ী রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সিয়াম মিয়া ও তার মা জোসনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘অদম্য মেধাবী সিয়াম মিয়া প্রমাণ করেছে প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে আর্থিক অনটন, প্রতিবন্ধিতা বা যেকোনো বাধা অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। সিয়াম অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’ তবে সিয়ামের পাশাপাশি তার মতো আরও যারা সুবিধাবঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন রয়েছে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সিয়ামের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করে তাকে আর্থিক সহায়তার জন্য খবরের কাগজ বন্ধুজন ও সিডব্লিউএফের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বক্তারা।

পরে লেখাপড়ায় খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফের সহায়তা হিসেবে অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, সোলায়মান হোসেন হরেকসহ অন্যরা সিয়াম ও তার মায়ের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খবরের কাগজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি আসমাউল আসিফ।

জন্মগতভাবে দুটি হাত নেই উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের উদনাপাড়া গ্রামের দিনমজুর দম্পতি জিন্নাহ মিয়া-জোসনা বেগমের তৃতীয় সন্তান সিয়াম মিয়ার। শৈশবে ভাই, বোন ও বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করতে করতে আগ্রহ জন্মায় লেখাপড়ার প্রতি। শিক্ষকদের সহায়তায় সিয়াম পা দিয়ে লেখা শিখতে থাকে। উপজেলার উদনাপাড়া ব্র্যাক শিশু নিকেতন স্কুল থেকে ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় সিয়াম। ২০২১ সালে অষ্টম শ্রেণিতে জেএসসি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয় সে, এতে করে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ে তার।

আরও পড়ুন : পা দিয়ে লিখে এসএসসিতে উত্তীর্ণ সিয়াম

এবার একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কারও কোনো সহায়তা ছাড়া অংশ নেয় সিয়াম। মনের অদম্য শক্তি, স্বপ্ন পূরণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, দারিদ্রতা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে পা দিয়ে লিখে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয় সিয়াম, মানবিক বিভাগ থেকে অর্জন করে জিপিএ ৩.৮৩।

শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে সিয়াম বলে, ‘জন্ম থেকেই আমার হাত নেই। বাবা-মা আমাকে স্কুলে নিয়ে যেত, শিক্ষকদের সহায়তায় পা দিয়ে লেখা শিখি। পা দিয়ে লিখে আমি এবার এসএসসি পাস করেছি, আমার স্বপ্ন একজন সরকারি বড় কর্মকর্তা হওয়া।’ এই প্রথম খবরের কাগজ থেকে বৃত্তি পেয়ে সে খুব খুশি বলে জানায় সিয়াম।

সিয়ামের মা জোসনা বেগম বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছি। অসহায় সন্তানের হাত না থাকলে একমাত্র মা জানে তার ছেলের কষ্ট। পা দিয়ে লিখে সে এসএসসি পাস করেছে, এখন কলেজে ভর্তি হবে এতে আমি খুবই খুশি, আমার অনেক আনন্দ লাগছে। আমার ছেলে সিয়ামের ইচ্ছা বড় হয়ে সে সরকারি চাকরি করবে।’

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রাথমিকের মাঝপথে সিয়ামের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিদ্যালয় থেকে বেতন মওকুফ করলে আবার পড়ালেখা শুরু করে সিয়াম। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সিয়ামের বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনের জন্য পরিবার, স্বজন, প্রতিবেশী ও শিক্ষকরা অনেক খুশি। তবে কলেজে ভর্তিচ্ছু সিয়ামের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ায় জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন সবাই।

আসমাউল আসিফ/সাদিয়া নাহার/

পায়ে লিখে জিপিএ-৫ রাব্বির পাশে খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
পায়ে লিখে জিপিএ-৫ রাব্বির পাশে খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ
ছবি: খবরের কাগজ

পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রাব্বির পাশে দাঁড়িয়েছে দৈনিক খবরের কাগজ-এর পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধুজন।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নে রাব্বির গ্রামের বাড়িতে ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি-২০২৪’-এর আর্থিক সহায়তা তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশনের (সিডব্লিওএফ) আর্থিক সহায়তায় ‘অদম্য মেধাবীদের পাশে আছি’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ রাব্বিকে এককালীন এ বৃত্তি দিয়েছে। শারীরিক অক্ষমতা, পারিবারিক দৈন্যসহ নানা প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে পড়াশোনায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় রাব্বি এ বৃত্তি পেল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, খবরের কাগজের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান ইফতেখারুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, রাব্বির বাবা বজলুর রহমান, খবরের কাগজের চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার এম কে মনির, স্টাফ ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ হানিফ, স্থানীয় সংবাদকর্মী মুসলেহ উদ্দিনসহ অন্যরা।

এ সময় ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, রাব্বি আমাদের গর্ব। সে অন্যরকম এক প্রতিভাবান ছেলে। ছোটবেলা থেকেই সে খুব পরিশ্রমী। তার কাছে কোনো বাধাই বাধা নয়। দুই হাত না থাকলেও সে পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি চাই রাব্বি অনেক বড় হোক। আর খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন উদ্যোগের জন্য। এ সময় তিনি খবরের কাগজের বন্ধুজন ও সিডব্লিওএফের সারা দেশে চলা মানবিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

রফিকুল ইসলাম রাব্বির বাবা বজলুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, আপনাদের ছোট ছোট সহযোগিতাগুলো আমার ছেলেকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তার মা ছোটবেলায় তিন কিলোমিটার দূরের স্কুলে নিয়ে যেতেন প্রখর রোদে হেঁটে। আর হেঁটে হেঁটে ছেলেকে পড়াতেন। তার মা আর শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় সে এতদূর এসেছে।

২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় আগ্রহের বশে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটওভার ব্রিজ দেখতে যায় রফিকুল ইসলাম রাব্বি। কিন্তু সেদিন তার শখ পরিণত হয় চিরদুঃখে। ব্রিজে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দুটো হাত কেটে ফেলা হয়। রাব্বিকে সুস্থ করতে তার বাবাকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ করতে হয়েছে। একপ্রকার নিঃস্ব হয়ে পড়েন তিনি। সংসারে দেখা দেয় চরম অভাব। সেই সঙ্গে রাব্বির শারীরিক অক্ষমতা। এত কিছুর পরও ভেঙে পড়েনি অদম্য রাব্বি। চালিয়ে যায় লেখাপড়া। একসময় মুখ দিয়ে লেখার অভ্যাস গড়ে তোলে সে। পিএসসি পরীক্ষায়ও রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। মুখ দিয়ে লিখতে সমস্যা হওয়ায় পরে পায়ে লেখার অভ্যাস করে ছেলেটি। এভাবেই সব বাধা-বিপত্তিকে ডিঙিয়ে রাব্বি এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। রাব্বি এখন অগণিত মানুষের প্রশংসায় ভাসছে। রাব্বি একজন শিক্ষক হতে চায় বলে জানিয়েছে। বর্তমানে নগরের একটি সরকারি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য সে নির্বাচিত হয়েছে।

অদম্য মেধাবী ঐতির পাশে বন্ধুজন ও সিডব্লিওএফ

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
অদম্য মেধাবী ঐতির পাশে বন্ধুজন ও সিডব্লিওএফ
অদম্য মেধাবী ঐতির হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন

যদি লক্ষ্য অটুট থাকে তাহলে কোনো বাধা থামাতে পারে না কাউকে। এমনই দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে ঐতি রায়। সব প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে আলোকিত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে ঐতি। চোখের আলো নেই, তবে মনের আলোয় জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার স্বপ্নে এগিয়ে চলা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে।

মায়ের শ্রুতিলিখন ও পঠনের সহায়তায় পড়ালেখা এবং একই এলাকার অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় পরীক্ষায় অংশ নেয় ঐতি। বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার হলদিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৪.৩৯ পেয়ে ‘এ’ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে সে।

অদম্য মেধাবী এই ঐতির পাশে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বন্ধুজন’। বন্ধুজনের ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি’ কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশন (সিডব্লিওএফ)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কক্ষে অদম্য মেধাবী ঐতির হাতে বন্ধুজন ও সিডব্লিওএফের আর্থিক সহায়তা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খবরের কাগজের বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি রিফাত আল মাহামুদ, জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, ঐতির মা শংকরী রায় ও বাবা অনুপম রায়।

ঐতির বাবা অনুপম রায় বলেন, ‘আর্থিক সহযোগিতা করায় খবরের কাগজ বন্ধুজনকে ধন্যবাদ জানাই। আমার মেয়ে জন্ম থেকে দৃষ্টিহীন। সে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করবে ভাবতে পারিনি। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি খুবই আগ্রহ ছিল তার। আমরা তাকে যত্ন করে স্কুলে ভর্তি করে পড়াশোনা করাই।’ ঐতি মোংলা কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে বলে জানান তার বাবা।

তিনি জানান, একমাত্র মেয়েকে তার মা প্রথমে শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে বাড়িতে পড়ালেখা শেখান। এভাবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় তার মেয়ে। পরীক্ষা হলে ঐতি মুখস্থ বলত আর একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বিজয়া হালদার তা পরীক্ষার খাতায় লিখত। এভাবে সে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

ঐতির মা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে ঐতির পড়াশোনার আগ্রহ দেখে তাকে স্কুলে নিয়ে যেতাম। এখন সে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভালোভাবে পাস করেছে। আমরা ভীষণ খুশি। স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন ও দৈনিক খবরের কাগজকে। আমার মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন বলে।’

আরও পড়ুন : দৃষ্টিহীনতা বাধা হতে পারেনি অদম্য মেধাবী ঐতির

জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন খবরের কাগজ বন্ধুজন-এর এমন উদ্যোগকে ম্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘খবরের কাগজ বন্ধুজন দৃষ্টিহীন অদম্য মেধাবী ঐতিকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে। এতে একদিকে ঐতির আর্থিক সহযোগিতা হলো, অন্যদিকে তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহও বাড়ল।’ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ঐতিকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

খবরের কাগজ বন্ধুজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঐতি রায় বলে, ‘খবরের কাগজ বন্ধুজন আমাকে যে আর্থিক সহযোগিতা করেছে, তা আমার ইচ্ছাকে আরও বাড়িয়ে দিল। এই সহযোগিতা আমার স্বপ্ন পূরণের প্রেরণা।’

ঐতি আরও বলে, ‘জন্ম থেকে আমি দৃষ্টিহীন। কিন্তু পড়ালেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছে থেকেই এসএসসি পাস করেছি। পড়াশোনার কাজে মা আমাকে সহযোগিতা না করলে আজ এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। মা পাশে বসে রিডিং পড়ত, আমি সেটা মুখস্থ করতাম। এভাবেই লেখাপড়া চালিয়ে এসেছি।’ পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরি এবং আবৃত্তির শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন তার।

রিফাত/সালমান/

 

বন্ধুজন ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি’ কর্মসূচিতে অংশীদার হলো সিডব্লিওএফ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
বন্ধুজন ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি’ কর্মসূচিতে অংশীদার হলো সিডব্লিওএফ
খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামালকে নিজের লেখা বই তুলে দিচ্ছেন শাহ ইসরাত আজমেরী

বন্ধুজন-এর উদ্যোগে ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি’ কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা দিয়ে অংশীদার হয়েছেন চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশন (সিডব্লিওএফ)-এর চেয়ারম্যান শাহ ইসরাত আজমেরী।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সিডব্লিওএফ চেয়ারম্যান অনুদানের অর্থ বন্ধুজন উপদেষ্টা ও খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামালের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় খবরের কাগজ সম্পাদক ও সিডব্লিওএফ চেয়ারম্যান একে অপরকে নিজেদের লেখা বই উপহার দেন।

এ বছর বন্ধুজনের উদ্যোগে এসএসসি (২০২৪) পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ ৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে কলেজে ভর্তি বাবদ আর্থিক সহায়তা দিতে বৃত্তি দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। বৃত্তি প্রদান কর্মসূচিতে অনুদান দিয়ে সঙ্গে রয়েছেন শাহ ইসরাত আজমেরী। 

এ সময় বন্ধুজন সাধারণ সম্পাদক আতিয়া সুলতানা ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মনিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ ইসরাত আজমেরী, বন্ধুজনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়া সুলতানা এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মনিরুল আলম (বাঁ থেকে)

‘বন্ধুজন’ খবরের কাগজ পত্রিকার পাঠকদের নিয়ে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠন। এর প্রধান উদ্দেশ্য সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। এসব কর্মসূচিতে স্পন্সর, উপদেষ্টা, শুভ্যানুধায়ী ও সাধারণ সদস্য হিসেবে থেকে সামাজিক উন্নয়নে ভালো কাজ করা বা পৃষ্ঠপোষকতা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

মনির/সালমান/

‘বন্ধুজন’-এর ২৫০-৩৫০ সদস্যের তালিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ১০:২৫ এএম
‘বন্ধুজন’-এর ২৫০-৩৫০ সদস্যের তালিকা প্রকাশ
খবরের কাগজ বন্ধুজন

দেশের জনপ্রিয় দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন ‘বন্ধুজন’-এর নতুন সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্ধুজনের সদস্য নম্বর পেয়েছেন ৩৫০ জন। আজ থাকছে বন্ধুজন নম্বর ২৫০ থেকে ৩৫০ সদস্যের পরিচয়। পর্যায়ক্রমে বাকি সদস্যদের তালিকা দেওয়া হবে।  

বন্ধুজন নম্বরপ্রাপ্তরা তাদের বন্ধুজন নম্বর জানিয়ে আমাদের খবরের কাগজের জেলা/ আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধুজনের আঞ্চলিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন। 

আঞ্চলিক কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন। কমিটি গঠনের পর বন্ধুজনের সারা দেশের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। ঢাকা অঞ্চলের সদস্যরা কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে যুক্ত থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। যারা ফরম পূরণ করেছে পর্যায়ক্রমে তাদের সদস্য নম্বর দেওয়া হবে। 

বন্ধুজন একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাই যারা সরাসরি রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তাদের বন্ধুজন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করতে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে।

এর আগে, প্রথম ৫০ সদস্যের তালিকা দেওয়া হয়েছিল।

‘বন্ধুজন’-এর ০৫১ থেকে ২৫০ সদস্যের তালিকা

‘বন্ধুজন’-এর ফেসবুক পেজে আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন

সালমান/

‘বন্ধুজন’-এর সদস্য হলেন যারা

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ২২ মে ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
‘বন্ধুজন’-এর সদস্য হলেন যারা
খবরের কাগজ বন্ধুজন

দেশের জনপ্রিয় দৈনিক খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন ‘বন্ধুজন’-এর নতুন সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ থাকছে বন্ধুজন নম্বর ০৫১ থেকে ২৫০ জনের পরিচয়। পর্যায়ক্রমে বাকি সদস্যদের তালিকা দেওয়া হবে। 

এর আগে, প্রথম ৫০ সদস্যের তালিকা দেওয়া হয়েছিল।

‘বন্ধুজন’-এর ফেসবুক পেজে আপডেট জানতে এখানে ক্লিক করুন

সালমান/