ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে শিল্পকলা প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে শিল্পকলা প্রতিযোগিতা
ছবি : খবরের কাগজ

সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, অভিনয় ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা দেশে শিল্পকলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এ বছর ১০টি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হলো- রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত, গণজাগরণের গান, লোকসংগীত, সাধারণ নৃত্য/সৃজনশীল নৃত্য, লোক নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য, একক আবৃত্তি (কবিতা/ছড়া), একক অভিনয় ও চিত্রাঙ্কন। 

বুধবার (৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

তারা জানান, এ বছরের শিল্পকলা প্রতিযোগিতায় বয়সভিত্তিক বিভাগগুলো হলো- ‘ক’ বিভাগ প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি অথবা সর্বোচ্চ ১১ বছর, ‘খ’ বিভাগ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি অথবা সর্বোচ্চ ১৭ বছর। ‘গ’ বিভাগ একাদশ শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর অথবা সর্বোচ্চ ২৫ বছর। একজন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ ৩টি বিষয়ে ঢাকা মহানগর বা তার নিজ জেলা থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে সব জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অয়োজিত হবে। আগামী ৭ জুন ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ৮ জুন দক্ষিণের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সব জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক জেলার প্রতিযোগী নিজ জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন করবে।

সব জেলা ও মহানগর পর্যায়ে নির্বাচিত প্রথম স্থান অধিকারীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘সারা দেশে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই আয়োজন। আমরা চাই শিশুরা ছোট থেকেই সাংস্কৃতিক আবহের মধ্যে সেই সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বেড়ে ওঠুক।’ 

তিনি জানান, এই প্রতিযোগিতা সফল করতে ইতিমধ্যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক পাচ্ছেন ৩৯০ জন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক পাচ্ছেন ৩৯০ জন

পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এবার ৩৯০ জন পাচ্ছেন ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক। 

শুক্রবার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক প্রদান অনুষ্ঠান।

এ অনুষ্ঠানে নাট্যালেখ্য: বাংলার মুখ, শিশুদের সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হবে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকটি মঞ্চায়িত হবে। নাটকটি নির্দেশনায় রয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। 

এছাড়া লোক নাট্যদলের আয়োজনে ৬ জুলাই সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দেওয়া হবে ‘লোক নাট্যদল পদক ২০২১-২২’। 

২৬২টি শিশু-কিশোর, আদিবাসী ও অবহেলিত শিশু-কিশোর ও যুবনাট্য সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন বিগত ৩৩ বছর ধরে নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। 

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৮৫টি আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ, ১৫টি জাতীয় শিশু-কিশোর নাট্যোৎসবের আয়োজন, অন্যতম সর্ববৃহৎ ১০ম জাতীয় উৎসবে সর্বোচ্চ ১৩০টি দলের অংশগ্রহণ (একটি আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজন ও ৬টি যুব, অবহেলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিশুনাট্য উৎসব আয়োজন), বিভাগীয় পর্যায়ে ২৭টি শিশু-কিশোর নাট্যোৎসব আয়োজন, ছয় শতাধিক শিশুনাট্য কর্মশালা পরিচালনা, ৭০টি স্কুলে স্কুল থিয়েটার কার্যক্রম, শিশুদের জন্য বড়দের নাটক, যুবনাট্য আন্দোলন (যুবদের নাট্যদল গঠন, কর্মশালা ও উৎসব আয়োজন), আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকদের পরিচালনায় শিশুনাট্য কর্মশালা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা (থিয়েটার ইন এডুকেশন), মঞ্চকুঁড়ি, মঞ্চমুকুল, মঞ্চসেনা ও শিশুনাট্য পদক প্রদান।

জয়ন্ত সাহা/ইসরাত চৈতী/

আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক
আনোয়ারা সৈয়দ হক

শিশু অধিকারবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আনন ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত ‘আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ পেতে যাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

আগামী ৬ সেপ্টেম্বর আনন ফাউন্ডেশনের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে আনোয়ারা সৈয়দ হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

আনন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, পুরস্কারের মূল্যমান হিসাবে আনোয়ারা সৈয়দ হক নগদ ১ লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র পাবেন। ‘শিশুর বিকাশে অবিচল আমরা’ এই স্লোগানটিকে সামনে রেখে আনন ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে শিশুর বিকাশে ভূমিকা রেখে চলেছে।

গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনির পাশাপাশি আনোয়ারা সৈয়দ হক শিশুদের জন্যও নিয়মিত লিখছেন। তার শিশুসাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো ছানার নানাবাড়ি, বাবার সাথে ছানা, ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ, পথের মানুষ ছানা, একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা দাদাভাই, মন্টির বাবা, বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত কিশোর গল্প, শ্রেষ্ঠ কিশোর গল্প, কিশোর উপন্যাসসমগ্র (৪ খণ্ড), নির্বাচিত কিশোর গল্প প্রভৃতি।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৬ সালে কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ইউরো শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’
অসীম সাহা

বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন কবি অসীম সাহা। ব্যক্তি মানুষের আর্তি থেকে সমষ্টি মানুষের আর্তনাদ, শোষণমুক্ত জগৎ গড়ার অঙ্গীকার ভাস্বর হয়েছে তার কবিতার ছত্রে ছত্রে। 

প্রয়াত কবি অসীম সাহা স্মরণে বাংলা একাডেমির স্মরণ সভায় কবি অসীম সাহার সহযাত্রী কবিরা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। বিষণ্নচিত্তে তারা স্মরণ করেন অসীম সাহার কাব্যজীবনের নানা অধ্যায়। ব্যক্তিমানুষকে ছাপিয়ে অসীম সাহা কীভাবে কবি হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন, সেই গল্পও শোনান তাদের কেউ কেউ। 

সোমবার (১ জুলাই) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে স্মরণসভার শুরুতে অসীম সাহা স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

আয়োজনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অসীম সাহা ছিলেন খাপ না খাওয়া মানুষ। তিনি নিজ বিশ্বাস ও অনুভবের কথা কবিতায় তো বটেই, ব্যক্তিগত উচ্চারণ ও আচরণেও সরাসরি প্রকাশ করতেন। এ ছিল তার সারল্য ও দৃঢ়তারই লক্ষণ। তিনি বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন। স্বচ্ছন্দ বিচরণ করেছেন সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।’

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘কবি অসীম সাহা ছিলেন বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্ব। তিনি কবিতায় যেমন আমাদের মুগ্ধ করেছেন, তেমনি তার অনন্য জীবনসাধনায়ও সবাইকে আকৃষ্ট করেছেন। তার সৃষ্টিকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ 

সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি দিলারা হাফিজ, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি আসাদ মান্নান, কবি ইউসুফ রেজা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, প্রকাশক খান মাহবুব, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ। অসীম সাহার কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী ও মাসুম আজিজুল বাশার। 

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

নিতান্ত সাদামাটা আয়োজনে উদযাপিত হলো দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন।

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বাসায় তাকে শ্রদ্ধা-শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন তার ছাত্র, অনুরাগী এবং বামধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। 

তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন  অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তার ব্যক্তিগত সহকারী মযহারুল ইসলাম বাবলা জানান, রবিবার (গতকাল) বিকেলে বাম নেতারা ধানমন্ডির বাসভবনে আসেন। স্যারের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তারা। দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক হালহকিকত নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বাম নেতাদের সঙ্গে।

রবিবার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানাতে যান সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ ছাড়া বাসদ ও বাসদ-মার্কসবাদীর বেশ কজন নেতাও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

বাবলা জানান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ২৯ জুন শনিবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুভেচ্ছা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে তিনি ‘ফিরে দেখা’ নামে একটি আত্মজৈবনিক বক্তব্য দেবেন। 

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের বাড়ৈখালিতে। শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায় বাবার চাকরি সূত্রে। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল, নটর ডেম কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন তিনি। যুক্তরাজ্যের লিডস ও লেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে উচ্চতর গবেষণাও করেছেন। 

পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ সালে। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে সমান সক্রিয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রবন্ধ, অনুবাদ, কলাম ও কথাসাহিত্য মিলিয়ে তার রচিত বই প্রায় ১১০টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় তিনি ‘মাসিক পরিক্রমা’ (১৯৬০-৬২), ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’ (১৯৭২), ‘ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র’ (১৯৮৪) সম্পাদনা করেছেন। ‘নতুন দিগন্ত’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা করছেন এখনো। ১৯৯৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সাহিত্যকর্মে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলা একাডেমি স্বর্ণপদক’, ‘বিচারপতি ইব্রাহিম পুরস্কার’, ‘অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার’, ‘বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পুরস্কার’সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি পেয়েছেন।

আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের সাতরঙ্গ দুপুরের কাব্য

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ০১:১০ এএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ০১:১০ এএম
আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের সাতরঙ্গ দুপুরের কাব্য
ছবি: সংগৃহীত

আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের একক আবৃত্তি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের নাটক সরণির বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তন ছিল দর্শক-শ্রোতায় পরিপূর্ণ। 

মাসুদুজ্জামান একে একে ২৭টি কবিতা আবৃত্তি করলেন দর্শকপূর্ণ মিলনায়তনে। মঞ্চসজ্জা, আলোক সম্পাত, শব্দ প্রক্ষেপণ ও আবহ সংগীত এ কবিতাসন্ধ্যাকে প্রাণময় করে তোলে। একেকটি কবিতা মাসুদুজ্জামানের আবৃত্তির মধ্য দিয়ে দর্শক-শ্রোতার মনকে উদ্বেলিত করেছে। দিয়েছে মুগ্ধতার পরশ। 

আবৃত্তিকার মাসুদুজ্জামান স্রোত আবৃত্তি সংসদের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য। দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে তিনি আবৃত্তিচর্চায় যুক্ত আছেন এই সংগঠনে।

সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ দেশের গুণী আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিকজনরা এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।