ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

যবিপ্রবির ১৩ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
যবিপ্রবির ১৩ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণ এবং একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের দায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের ছাত্রত্ব না থাকায় দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যবিপ্রবির জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রশিদ অর্ণব জানান, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনের পর তা নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উপস্থাপন করার পর, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটরে চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণের ঘটনায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যবিপ্রবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও আবু বক্কারকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া গত ৪ জুন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, আশিকুজ্জামান লিমন ও আমিনুল ইসলাম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রায়হান রহমান রাব্বীকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

তবে এদের মধ্যে ফাহিম ফয়সাল লাবিব, সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামান লিমনের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। ফলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া, বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শাবিপ্রবির পাঠদান সশরীরে না অনলাইনে, সিদ্ধান্ত রবিবার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
শাবিপ্রবির পাঠদান সশরীরে না অনলাইনে, সিদ্ধান্ত রবিবার

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে আগামী রবিবার (৩০ জুন)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা আগামী রবিবার (৩০ জুন) থেকেই পুনরায় ক্লাস শুরু করতে চাইলেও শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে সেটা হচ্ছে না। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে এবং সে ব্যাপারে শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলছি এবং সব সময় যোগাযোগ রাখছি। ৩০ জুন শিক্ষকদের একটি কর্মসূচি পালনের পর লাগাতার কর্মসূচির বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী রবিবার শিক্ষকদের সঙ্গে একটি সভা রয়েছে। এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকার ঘোষিত প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির বিষয়টিরও একটি সিদ্ধান্ত আসবে। ওই দিন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একযোগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের কথা রয়েছে। এ অবস্থায় ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটায় সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছেন স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি ও উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা একটানা বন্ধের ধাক্কা এ বছরের মে-জুলাইয়ে পড়তে পারে বলে সেশনজটের শঙ্কায় ভুগছেন তারা। 

স্নাতকের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময়ই পাওয়া যায়নি এবং একসময় চাকরির বয়সই শেষ হয়ে যাবে। তাই আমরা চাই সামগ্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

গত ২৬ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ও ঈদের ছুটি ছিল। ১৭ জুন থেকে সিলেট বিভাগে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিলে ২১ জুন অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম ও ২৩-৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়। বিভাগীয় প্রধানরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে নতুন করে সময়সূচি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।

ইসফাক আলী/সাদিয়া নাহার/

শিক্ষকদের পর এবার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে জবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:২২ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
শিক্ষকদের পর এবার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে জবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আওতামুক্ত রাখার দাবিতে শিক্ষকদের পর কর্মবিরতিতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের এবং সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবু সাঈদ। এ বিষয়ে দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

উভয় বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়, অভিন্ন নীতিমালা বাতিল ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আওতামুক্ত রাখার দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন ও সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন আগামী ৩০ জুন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা ঘোষণা করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি ও সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে জবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আওতামুক্ত রাখতে হবে। এ দাবিতে ৩০ জুন আমরা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা পালন করব। আমাদের দাবি মানা না হলে লাগাতার কর্মসূচি চলবে।’

সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরাও ৩০ জুন থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

মুজাহিদ বিল্লাহ/জোবাইদা/

শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে অনেক সমস্যার সমাধান ইউজিসি চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে অনেক সমস্যার সমাধান ইউজিসি চেয়ারম্যান
ছবি : সংগৃহীত

নাগরিকদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী। সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা কখনো কেনা যায় না। এটা মানুষের মৌলিক অধিকার ও সেবাপ্রাপ্তির বিষয়। জাপানে পড়তে গিয়ে দেখেছি, সেখানে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছানোর পর থেকে ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারের আর কোনো বিষয় নিয়ে ভাবতে হয় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই সব ধরনের সেবা প্রদান করে। একইভাবে অভিভাবকরা সন্তানকে স্কুলে দেওয়ার পর তার  লেখাপড়া নিয়ে আর চিন্তা করতে হয় না। নাগরিকদের জন্য এ দুটি সেবা নিশ্চিত করতে পারলে অন্য অনেক সমস্যার স্বয়ংক্রিয় সমাধান হয়ে যায়। এসময় তিনি উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন।’

প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার পর শুদ্ধাচারসহ নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারপরও নীতি-নৈতিকতায় খুব বেশি ইতিবাচক উন্নয়ন ঘটছে না। এর কারণ হচ্ছে চাকরিতে প্রবেশের আগে একজন মানুষ যে উপায়ে, পরিবেশে ও শিক্ষায়  বেড়ে উঠছে কর্মক্ষেত্রেও তার প্রতিফলনই ঘটছে। আমরা কেউই ভুলের উর্ধ্বে নই। তবে সবার চেষ্টা থাকতে হবে, কত কম ভুলের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করা যায়।’

কর্মশালায় কমিশনের এপিএ ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক এর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, নোয়াখালী সায়েন্স এন্ড কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ  ড. আফতাব উদ্দিন, নোবিপ্রবির এপিএ আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন ও কুমিল্লা  বিশ্ববিদ্যালয় এপিএ ফোকাল পয়েন্ট মো. নাসির উদ্দিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ঢাবিসহ ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ঢাবিসহ ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
ছবি: খবরের কাগজ

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে টানা তিন দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি শেষে এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকরা। এ ছাড়া দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নিজ ক্যাম্পাসে এক দিনের পূর্ণবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন। আগামী রবিবারের ওই কর্মসূচিতে চলমান পরীক্ষা ও জরুরি সভা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বানে তিন দিনের কর্মসূচির সমাপনী দিনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সমাপনী দিনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘এখনো আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। তাই আমরা ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। এতেও দাবি না মানা হলে আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। সেদিন থেকে কোনো ক্লাস চলবে না, পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতে থাকবে। এ ছাড়া দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই কর্মসূচি পালন করবেন।’

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০ জুন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। যদিও ওই সময়জুড়ে পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। এদিকে ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্লাস, পরীক্ষা, দাপ্তরিক কাজসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে।

জবিতে কর্মবিরতি পালন

জবি প্রতিনিধি: সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার ও প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা। এই সময়ে শিক্ষকরা কোনো ধরনের ক্লাস নেয়নি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

ঢাবির ৯৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
ঢাবির ৯৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
ছবি : খবরের কাগজ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। 

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি সিনেট চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

এবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১ হাজার ১৩১ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হয় ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা চাহিদার তুলনায় ৩২৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা কম। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। তারপরও বাজেটে ঘাটতি থাকবে ৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা-পেনশন বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৬৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ। এ শিক্ষাবর্ষে গবেষণায় বরাদ্দ বেড়েছে, যার পরিমাণ ২০ কোটি ৫ লাখ। যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ১২ শতাংশ।

গবেষণায় বরাদ্দের আকার বাড়লেও শিক্ষক প্রতি গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয় মাত্র ১ লাখ টাকা। কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দীন বলেন, ‘২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের গবেষণা বাবদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর হতে ৫ কোটি টাকা বেশি।