![শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে অনেক সমস্যার সমাধান ইউজিসি চেয়ারম্যান](uploads/2024/06/27/UGC-1719504406.jpg)
নাগরিকদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী। সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা কখনো কেনা যায় না। এটা মানুষের মৌলিক অধিকার ও সেবাপ্রাপ্তির বিষয়। জাপানে পড়তে গিয়ে দেখেছি, সেখানে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছানোর পর থেকে ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারের আর কোনো বিষয় নিয়ে ভাবতে হয় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই সব ধরনের সেবা প্রদান করে। একইভাবে অভিভাবকরা সন্তানকে স্কুলে দেওয়ার পর তার লেখাপড়া নিয়ে আর চিন্তা করতে হয় না। নাগরিকদের জন্য এ দুটি সেবা নিশ্চিত করতে পারলে অন্য অনেক সমস্যার স্বয়ংক্রিয় সমাধান হয়ে যায়। এসময় তিনি উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন।’
প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার পর শুদ্ধাচারসহ নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারপরও নীতি-নৈতিকতায় খুব বেশি ইতিবাচক উন্নয়ন ঘটছে না। এর কারণ হচ্ছে চাকরিতে প্রবেশের আগে একজন মানুষ যে উপায়ে, পরিবেশে ও শিক্ষায় বেড়ে উঠছে কর্মক্ষেত্রেও তার প্রতিফলনই ঘটছে। আমরা কেউই ভুলের উর্ধ্বে নই। তবে সবার চেষ্টা থাকতে হবে, কত কম ভুলের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করা যায়।’
কর্মশালায় কমিশনের এপিএ ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক এর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, নোয়াখালী সায়েন্স এন্ড কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ ড. আফতাব উদ্দিন, নোবিপ্রবির এপিএ আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এপিএ ফোকাল পয়েন্ট মো. নাসির উদ্দিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।