![এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ঢাবিসহ ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা](uploads/2024/06/27/4454-1719499401.jpg)
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে টানা তিন দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি শেষে এবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকরা। এ ছাড়া দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নিজ ক্যাম্পাসে এক দিনের পূর্ণবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন। আগামী রবিবারের ওই কর্মসূচিতে চলমান পরীক্ষা ও জরুরি সভা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বানে তিন দিনের কর্মসূচির সমাপনী দিনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সমাপনী দিনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘এখনো আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। তাই আমরা ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। এতেও দাবি না মানা হলে আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। সেদিন থেকে কোনো ক্লাস চলবে না, পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতে থাকবে। এ ছাড়া দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই কর্মসূচি পালন করবেন।’
শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০ জুন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। যদিও ওই সময়জুড়ে পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। এদিকে ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্লাস, পরীক্ষা, দাপ্তরিক কাজসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে।
জবিতে কর্মবিরতি পালন
জবি প্রতিনিধি: সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার ও প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা। এই সময়ে শিক্ষকরা কোনো ধরনের ক্লাস নেয়নি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।