![বেনাপোল ইমিগ্রেশনের এসি অচল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা](uploads/2024/05/02/Benapole-AC-1714641252.jpg)
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রতিদিন যাতায়াত করেন প্রায় সাত-আট হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। দুই দেশের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে ভোগান্তির শিকার হোন পাসপোর্ট যাত্রীরা। পাশাপাশি কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের ভেতরে আগমন এবং বহির্গমনের অধিকাংশ এসি অচল থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে লাগানো এসির একটিও কাজ করে না দীর্ঘদিন ধরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা রীতিমতো ভিসা ফি, ভ্রমণ ফি এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফি দিয়ে ভ্রমণ করছে। সেবা পাচ্ছে না কানাকড়িও। বেশি ভোগান্তিতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা ঘেমে ভিজে যাচ্ছে। যা দেখার কেউ নেই।
যাত্রীদের অভিযোগ, তারা সরকারকে বিভিন্ন ফি দিয়ে ভারতে যান। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছেন বেড়াতে, কেউ চিকিৎসা নিতে, কেউবা যাচ্ছেন ব্যবসার কাজে। আবার কারও গন্তব্য আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। অধিকাংশই পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন। চলমান তীব্র এই গরমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে যাত্রীদের পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সীমাহীন দুর্ভোগের পড়ছেন তারা। বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। ঘেমে অনেকেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
ঝিনাইদহ থেকে আসা জুয়েল রানার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ট্রেনে করে বেনাপোল আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেখানেও ছিল অসহনীয় গরম। তারপর ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিয়ে লাইনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে আসি। এখানেও সীমাহীন গরম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের দেয়ালে এসি লাগানো থাকলেও অধিকাংশই অচল, কাজ করে না। তাহলে এত টাকা খরচ করে আমরা কি সেবাটা পাচ্ছি?’
ঢাকা থেকে আসা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ভারতে যাচ্ছি। বাইরে তীব্র গরম। মনে করেছিলাম অফিসের ভেতরে একটু এসির ঠাণ্ডা পাব। কিন্তু হিতে বিপরীত। এখানে আরও গরম। এসি থাকলেও এগুলো চলে না।’
তিনি মনে করেন কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগ দিয়েছি। চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যোগ দেওয়ার পর থেকে দেখেছি এসিগুলো অধিকাংশই অচল। এসিগুলো অচল থাকায় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এগুলো দেখাশোনা করে থাকেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তারাই ভালো বলতে পারবেন দীর্ঘদিন ধরে এসিগুলো অচল থাকলেও কেন মেরামত করা হচ্ছে না। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জনস্বার্থে এসিগুলো মেরামত করা জরুরি।’
নজরুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/