ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ওই একজনের মৃত্যু ছাড়াও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

ওই সূত্র অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৭৫১ জন। মারা গেছেন ৪৬ জন।

পরিপত্র জারি সরকারি অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৩২ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৩ এএম
সরকারি অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে ৩০ জুন। বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে ১ জুলাই থেকে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও অর্থবছরের শুরুতে সরকারি ব্যয়ে লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। 

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নতুন এক পরিপত্র জারি করেছে। এতে বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয়সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়, সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজন মনে করলে কিংবা অত্যাবশ্যকীয় হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশে ভ্রমণ করা যাবে। তবে ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে।

নতুন অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কয়েকটি খাতে টাকা খরচে মিতব্যয়ী হতে হবে। 

পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন বাজেটের আওতায় সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে খরচ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা হয়। বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ দেওয়ার টাকার সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ খরচ করা যাবে। কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থা এর চেয়ে বেশি খরচ করতে পারবে না। বরাদ্দের বেশি অর্থ খরচ করলে জবাবদিহি করতে হবে। 

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবার ব্যয় সংকোচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। নতুন বাজেটের যাত্রা শুরু হয়েছে সংকটের মধ্যে। ফলে সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। এ জন্য কিছু কিছু খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, নতুন বাজেট স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। 

পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক-অনাবাসিক ও অন্যান্য ভবন তৈরি বন্ধ থাকবে। তবে চলমান নির্মাণকাজ অন্তত ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে থাকলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে খরচ চালানো যাবে।

সব ধরনের যানবাহন কেনায় বরাদ্দ দেওয়া টাকার খরচ বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনা যানবাহন বদলানোর ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিয়ে খরচ করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ দেওয়া টাকার খরচ বন্ধ থাকবে।

ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সব আনুষ্ঠানিকতা মেনে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে খরচ করা যাবে। সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে ব্যয় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

কোথায় ব্যয় করা যাবে: চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে যেভাবে ব্যয় করা যাবে, পরিপত্রে সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। এ ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে ‘জিওবি (বাংলাদেশ সরকার) বাবদ’ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত জিওবির সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।

সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানির পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে এক পরিপত্রে বলা হয়েছিল, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ, কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। যদিও সে বছরের সেপ্টেম্বরে সেই নির্দেশনা শিথিল করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন শুক্রবার

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৬ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৬ এএম
প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন শুক্রবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার এ আগমন উপলক্ষে জেলায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী জানা গেছে, শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ৩টায় গণভবন থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। বিকেল ৫টায় সুধী সমাবেশ শেষে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে ফাতিহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন।

দ্বিতীয় দিন শনিবার বেলা ১১টায় গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করবেন। এরপর বেলা ১২টায় টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে।

দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে শনিবার বিকেল ৪টায় সড়কপথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স এলাকার ধোয়ামোছাসহ শোভাবর্ধনের কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই দিনের সফরকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। 

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবু আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর টুঙ্গিপাড়ায় আগমন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মাঝে আনন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ায় দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে উৎসবমুখর ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা করেছি। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে: আইজিপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ এএম
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে: আইজিপি
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে। শুধু মুক্তিযুদ্ধেই নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণেও পুলিশের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আর্ট গ্যালারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তারই একটি অনন্য প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্থাপন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য বিভিন্ন স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। যে কেউ এ সংগ্রহশালায় স্বাধীনতা যুদ্ধের নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারবেন।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ইমেরিটাস অধ্যাপক হাশেম খান। তিনি বলেন, শুধু ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা, আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান বাহিনীকে রুখে দিয়েছিলেন। মর্টার, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী ভাবতে পারেনি ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে তাদের মোকাবিলা করা হবে।’

আসকের প্রতিবেদন ৬ মাসে মামলা-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ১৪৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
৬ মাসে মামলা-নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ১৪৫ সাংবাদিক
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতির পরিসংখ্যানগত প্রতিবেদনে জানা যায়, বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ১৪৫ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে গত ৬ মাসে অন্তত ২ জন নারীসহ ৮ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু, সীমান্তে হত্যা, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা প্রদানের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রকাশিত আসকের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার সই করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত এই প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।  

গত ৬ মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৪০টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪১ জন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৬ জন। এ সময় কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৪৬ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২০ জন এবং হাজতি ২৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৩ জন হাজতি এবং ১০ জন কয়েদির মৃত্যু হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১০ জন, আহত ১৪ জন। চলতি বছরের ৬ মাসে সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১১ জন নাগরিক। অন্যদিকে মায়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে ১ জন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ১ জন নিহত হন। 

বছরের প্রথম ৬ মাসে ২৭টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০টি বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর, ৫টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ২১টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১টি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। 

এ সময়ে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ মাসে যৌন হয়রানিকেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন নারী-পুরুষ, যাদের মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ১১৩ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ। এর মধ্যে বখাটেরা লাঞ্ছিত করেছে ১০১ জন নারীকে, বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত হয়েছেন ৩৬ জন। যৌন হয়রানির কারণে ১ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের দ্বারা ৪ জন পুরুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। 

ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ২৫০ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪ জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন। এ ছাড়া ৫৮ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৬৯ জন নারী। এর মধ্যে ৮৪ জন নারীকে তার স্বামী হত্যা করেছেন।  পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা হয়েছেন ৯৪ জন নারী। 

এ সময়ে যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৩৩ জন নারী। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন নারী। এ সময়কালে মোট ১০ জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।  

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ৬ মাসে হত্যার শিকার হয়েছে ২৩৯ শিশু এবং ৩ জন শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ৫০ শিশু, বিভিন্ন সময়ে মোট ৭৭ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া গত ৬ মাসে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন মোট ৩২ জন। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করে আসক। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

তিথি/এমএ/

৮ জেলায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ পিএম
৮ জেলায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি
ছবি : খবরের কাগজ

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে সিলেট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও ফেনীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন এসব জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বানভাসি মানুষের সংখ্যা। পাশাপাশি আশ্রয়, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে দুর্গত এলাকার মানুষ।

আমাদের সিলেট ব্যুরো ও প্রতিনিধিরা জানান-

সিলেট ব্যুরো: সিলেটে ধীরগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি। তবে বিভিন্ন উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীবেষ্টিত উপজেলাগুলোর নতুন এলাকা বেশি প্লাবিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ছয় স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সময় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

সিলেট জেলা প্রশাসন জানায়, ১ হাজার ১৬০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৩ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত রয়েছে। জেলায় ৬৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৮ হাজার ৯৫১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি 

কুড়িগ্রামে বেড়েই চলছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি। এর ফলে বৃহসপতিবার উলিপুর, সদর, নাগেশ্বরী উপজেলার বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবারের মানুষ। এ নিয়ে জেলায় বন্যায় আক্রান্ত রয়েছে ১৫ হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালাডোবার মানুষ। বন্যাকবলিতদের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের মাঝে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আরও দুই থেকে তিন দিন ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বানভাসিদের মধ্যে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। 

ফেনীতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। দুই উপজেলার এখনো অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। এদিকে বসতবাড়ি থেকে পানি নামলেও তলিয়ে আছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট। অন্যদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য।

গতকাল বুধবার রাতে সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। এর আগে গত সোমবার রাতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর আটটি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজীর ২৮ গ্রাম প্লাবিত হয়।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। পানি কমলে ভাঙনস্থলের মেরামতকাজ শুরু হবে।

গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

গাইবান্ধায় জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নদী-তীরবর্তী কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখঘাট পয়েন্ট, ঘাঘটের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্ট, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ও তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। 

সিরাজগঞ্জে ৪০টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ

সিরাজগঞ্জে যমুনা করতোয়া, হুরাসাগরসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এদিকে যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে কাজীপুর, জেলা সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে বন্যা-আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া পানির তীব্র স্রোতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ও কৈজুরী দুটি ইউনিয়নে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে নদীতীরের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন যমুনা নদীর পানি বাড়বে। এতে করে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

টাঙ্গাইলে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের নিচু এলাকা

টাঙ্গাইলের সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তার মধ্যে ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে নদী-তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিচু এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে কয়েকটি উপজেলায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

নেত্রকোনার শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন

১০ দিন পর পুনরায় বন্যার ঝুঁকিতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা, সদর ও খালিয়াজুরী উপজেলার মানুষ। এর ফলে এসব উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। কোথাও কোথাও সড়ক তলিয়ে গিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান জানান, প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে। 

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ জানান, শুকনো খাবার, ওষুধ বরাদ্দ করা হয়েছে। ৮৫টি মেডিকেল টিম দুর্গত এলাকায় কাজ করছে।

জামালপুরে পানিবন্দি ১০ হাজার 

জামালপুরে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরামসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বন্যার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগও বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। এ ছাড়া একই উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কে একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেসে যাওয়ায় খোলাবাড়ি ও গাইবান্ধা জেলার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।