ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

সাবেক এমপি গোলাপের বিরুদ্ধে জামি দখলের অভিযোগ, ৫ মামলা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
সাবেক এমপি গোলাপের বিরুদ্ধে জামি দখলের অভিযোগ, ৫ মামলা

মাদারীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের নামে জোর করে দখলের পর ব্যক্তি মালিকানা জমিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় পাঁচজন ভুক্তভোগী আদালতে ৫টি মামলা করেছেন। এমপি থাকা অবস্থায় জোর-জবরদস্তির প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মুখ খুলতে সাহস পাননি এলাকার মানুষ। দেরি হলেও আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্তদের।

মামলার আসামিরা হলেন, আবদুস সোবহান গোলাপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সভাপতি, অধ্যক্ষ এবং আনারনেছা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও অধ্যক্ষ। আর উত্তর রমজানপুর মডার্ন একাডেমির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এবং তৈয়ব আলী শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ছিলেন মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কালকিনির উত্তর রমজানপুর নিজ এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও স্বতন্ত্রী প্রার্থী তাহমিনা বেগমের কাছে হেরে যান তিনি। এবার তার নিজ নামে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এক দিনেই আলাদা ৫টি মামলা করেছেন ৫ ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে মাদারীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদুল হক চৌধুরীর আদালতে ভূমি আইনে মামলা করেন সাকিব হাসান, এবিএম সালাউদ্দিন, এবিএম নুরুল আলম, রেহেনা বেগম ও মাসুম বেপারি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সংসদ সদস্য থাকাকালে জোর করে নিজ ও পরিবারের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। জমি লিখে না দেওয়ায় হত্যা ও মামলারও ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পরে রেজিস্ট্রি না করেই নির্মাণ করেন একাধিক ভবন।

ভুক্তভোগী এবিএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘ভূমি দখল প্রতিকার আইন অনুযায়ী আমরা ৫ জন মিলে ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। আমার পৈতৃক সম্পত্তি জোর করে নিয়ে ভবন নির্মাণ করেছে সাবেক এমপি গোলাপ।’

আরেক ভুক্তভোগী মেজর (অব.) মুক্তিযোদ্ধা এবিএম নুরুল আলম বলেন, ‘গোলাপ মিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে তার রাজনৈতিক শক্তির কারণে আমরা কেউ জমির কাছাকাছিও যেতে পারিনি। গোলাপের তাণ্ডপের কারণেই অনেক মানুষ বাড়িঘরেও থাকতে পারেনি। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে তাদের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে থাকেন। গোলাপ মিয়া যে জমিগুলো দখলে নিয়েছেন, এই জমি তিনি বা তার প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো জমি নেই।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী আল আমিন প্রিন্স জানান, মামলার বাদী সবাই কালকিনির উত্তর রমজানপুরের বাসিন্দা। আর একই মৌজায় দখল হওয়া জমির পরিমাণ ৫ একর ৭৪ শতাংশ। ৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পিবিআইকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক এমপি আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ জানান, ‘তাকে হেয় করতেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একাধিক মামলা করেছেন। তিনি অন্যায়ভাবে কারও জমি দখল করে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেননি। তার দাবি, যাদের জমিতে প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেইসব জমি অর্থের বিনিময়ে, নতুবা কেউ স্বেচ্ছায় দান করেছেন। অথবা জমির পরিবর্তে কিছু ব্যক্তিকে অন্য জমি দেওয়া হয়েছে। এর আগেই নিজেদের জমি দাবি করে কেউ আদালতে মামলা করেছে। সেই মামলাও আদালত নিষ্পত্তি করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায় দিয়েছেন। কিন্তু আবারও এই মামলা উদ্দেশ্যমূলক।

চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ছবি : খবরের কাগজ

গত শনিবার থেকে ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

চট্টগ্রামের অনেক এলাকায় দেখা গেছে জলজটের। বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও জলজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষসহ এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরীক্ষা থাকায় চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, মাদারবাড়ী, ইপিজেড, জিইসি মোড়, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ, দুই নং গেট, বাকলিয়া, পূর্ব ষোলশহর, চকবাজার, চাঁদগাওসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে পরীক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়ে।

নগরের রহমান নগর এলাকায় গৃহিনী বিবি আয়শা বলেন, ‘বাচ্চাদের কাপড় শুকাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাড়ির ছাদে কাপড় শুকানো যাচ্ছে সূর্যের আলো নেই বলে। ঘরের মধ্যে ফ্যান ছেড়ে দিয়েও শুকানো যাচ্ছে না। ফলে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘নগরের অলিগলিতে উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সড়ক উঁচু করায় সমতল ভূমি নিচু হয়ে গেছে। ফলে অনেকের ঘরবাড়িতে পানি জমে যাচ্ছে। তবে কিছু এলাকায় পানি জমলেও বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি চলে যাচ্ছে।’

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খবরের কাগজকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫১ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত বুধ ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরকে ৩ নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে তীরবর্তী এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। আরও কয়েকদিন সূর্যের দেখা নাও যেতে পারে।’

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা থেকে ৩ বোমা উদ্ধার, পালিয়েছে জঙ্গিরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা থেকে ৩ বোমা উদ্ধার, পালিয়েছে জঙ্গিরা
নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলকায় জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে শক্তিশালী তিনটি বোমা উদ্ধার করেছে ডিএমপির অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)৷ এ জঙ্গি আস্তানাটি আনসার আল ইসলামের সদস্যের বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

এটিইউ জানিয়েছে, অভিযানে কাউকে আটক করা না গেলেও তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে হামলার পরিকল্পনায় কারা ছিলেন চারতলা সে বাড়িতে। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটা থেকে উপজেলার বরপা এলাকার প্রবাসী জাকির হোসেনের চারতলা ভবনটি ঘিরে রাখে ডিএমপির অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। এরপরই পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান শুরু হয়ে চলে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। এসময় ভবনের তিন তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় শক্তিশালী তিনটি বোমা। সাড়ে তিন ঘন্টাব্যাপী চলা এ অভিযানে একে একে  বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয় বোমাগুলো।

অভিযান শেষে ডিএমপির অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এর পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানায়, বিস্ফারিত বোমাগুলো আইইডি বা আইডি বোমা। আর এই বাড়িতে বোমা তৈরি করা হতো। এগুলো অন্য কোথাও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে বাড়িতে রাখা হয়েছিলো। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পরিকল্পনা করেছিলেন হামলার। এছাড়া দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয় বলে জানান এটিইউ পুলিশ সুপার।

ঘটনার বর্ণনায় পুলিশের এটিইউ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন বলেন, গত ৫ জুন নরসিংদীতে এক অভিযানে একটি রাইফেলসহ একজন জঙ্গি গ্রেপ্তার হন৷ পরে ৯ জুন নেত্রকোনায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়৷ এটি আনসার আল ইসলামের একটি প্রশিক্ষণ শিবির ছিল৷ সেখানে নতুন জঙ্গি সদস্যদের বিস্ফোরক তৈরি ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো৷ এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলে৷ গত সোমবার কক্সবাজার থেকে এক নারী জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার হন৷ তিনি নেত্রকোনার ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় আরেকটি জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত হয়৷

তিনি বলেন, চারতলা ভবনে মোট ২০টি কক্ষ রয়েছে৷ একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ ছিল৷ এটি গত দুদিন যাবৎ তালাবদ্ধ৷ আনসার আল ইসলামের দুজন পুরুষ সদস্য সার্বক্ষণিক এ ফ্ল্যাটে থাকতেন৷ তাদের মধ্যে একজন নেত্রকোনার জঙ্গি আস্তানাটিতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন৷ কয়েকদিন আগে ওই পুরুষদের একজনের স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীও ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন৷ নারীর সঙ্গে দুইজন শিশু সন্তানও ছিল৷ তবে তাদের কাউকে ফ্ল্যাটে পাওয়া যায়নি৷ তারা আগেই পালিয়ে গেছেন৷

বাড়িটিতে বোমা তৈরি হতো জিানিয়ে তিনি বলেন, ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তিগত কাজ হতো, অন্য কক্ষে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরির কাজ হতো৷ ফ্ল্যাটে তিনটি আইইডিসহ এসব তৈরির সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে৷ এখান থেকে তিনটি আইইডির একটি ফ্ল্যাটের ভেতর এবং বাকি দু’টি উচ্চমাত্রা ও বহনে ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় বাইরে এনে খালি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়৷ এছাড়া মোড়কে মোড়ানো দু’টি চাপাতি ও কিছু ছুরি পাওয়া গেছে৷

এটিইউ এর পুলিশ সুপার আরো জানায়, বিগত সময় নেত্রকোনা ও  কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি সদস্যের দেয়া তথ্য মতে রূপগঞ্জের এই বাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়। তবে। বাড়িতে থাকা আনসার আল ইসলামের সদস্যরা আগে পালিয়েছে। তদন্তে তাদের নাম বেড়িয়ে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নিতে মামলা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

দিনভর অভিযানে থাকা রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, অভিযান ঢাকার করা হলেও থানা পুলিশের একটি দল তদন্ত থাকবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর এটিইউ সহযোগিতায় যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

বিল্লাল হোসাইন/এমএ/

হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা ডলফিন ও মা-মাছ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
হালদায় আবারও ভেসে উঠল মরা ডলফিন ও মা-মাছ
ছবি : খবরের কাগজ

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীতে এবার মৃত মা-মাছ ও ডলফিন ভেসে উঠেছে। গতকাল সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নদীর রাউজান অংশের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকার স্থানীয়রা মাছ দুটি পানিতে ভাসতে দেখেন। এর মধ্য দিয়ে গত কয়েক দিনে হালদায় ছয়টি মা-মাছ ও দুটি ডলফিন মরে ভেসে উঠল। 

আজিমের ঘাটে ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, রাতে ৭০ থেকে ৮০ কেজি ওজনের একটি ডলফিন ও ৭ থেকে ৮ কেজি ওজনের একটি মা-মাছ ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু মাছগুলো কেউ উদ্ধার করেননি।

হালদা ডিম সংগ্রহকারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোশাঙ্গীর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘একটি চক্র হালদার শাখা খাল হালদা কূপে বিষ প্রয়োগ করছে। যার কারণে হালদায় মা-মাছ ও ডলফিন মারা যাচ্ছে। আগে চিংড়ির জন্য বিষ প্রয়োগ করত। এখন বড় মাছের জন্য বিষ দিচ্ছে। চক্রটিকে ধরার জন্য আমরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাত গভীর হলে এই কাজ করে- তাই ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া গত কোরবানি ঈদে ট্যানারির বর্জ্য ও বিষ হালদায় এসে পড়েছে। সেখান থেকেও মা-মাছ এবং ডলফিন মৃত্যুর কারণ হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা হালদার দূষণের উৎসের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছি। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে হালদায় ডলফিন ও মা-মাছের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণ মারা যাচ্ছে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বের হবে।’ 

এদিকে হালদার দূষণ কী কারণে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পরিবেশ ও মৎস্য বিভাগ পাঁচ সদস্যের আলদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। 

নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের ছুরিকাঘাতে যুবক আহত
আহত মো. আব্দুর রহিম

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বখাটের ছুরিকাঘাতে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর রহিম।

অভিযুক্ত মো. আবিদ (২০) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুদি দোকানি ইউসুফ সওদাগরের ছেলে। তবে আবিদ ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করে। স্থানীয়রা আহত আব্দুর রহিমকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।

আহত আব্দুর রহিমের ভাই মহিন জানান, মুদি দোকানি ইউসুফ সওদাগরের ছেলে আবিদ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে একই এলাকার এক নারীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি আব্দুর রহিম আবিদের মা-বাবাকে জানানোর জন্য তাদের বাসায় গেলে আবিদ ও তার মা ক্ষুব্ধ হয়। পরে আবিদ আব্দুর রহিমের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আবিদ তার পকেট থেকে ছুরি বের করে আব্দুর রহিমের বুকে আঘাত করে। এ সময় আব্দুর রহিম ঠেকাতে গেলে ছুরিটি তার বাম হাতের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

অভিযুক্ত আবিদের বাবা মো. ইউসুফ সওদাগর বলেন, ‘প্রথমে আমার ছেলেকে তারা ৪-৫ জন মিলে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। পরে আমার ছেলে আত্মরক্ষার্থে ছুরিকাঘাত করেছে এটা সত্য। এটা আমরা সামাজিকভাবে সমাধান করব।’

শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় মেরে ব্যবসায়ীকে মারল হাতি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় মেরে ব্যবসায়ীকে মারল হাতি
হাতির আক্রমণে নিহত মাসুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে হাতির আক্রমণে মাসুদুর রহমান (৪৫) নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরের নগুয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে নিজ মালিকানাধীন ঔষধের দোকানে তিনি হাতির আক্রমণের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আবারও তাকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

নিহত মো. মাসুদুর রহমান ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ব্যবসা সূত্রে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নগুয়া এতিমখানা এলাকায় বসবাস করছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের নগুয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এআর ফার্মা নামক ফার্মেসিতে মো. মাসুদুর রহমান বসে ছিলেন। এ সময় একটি হাতি তার ফার্মেসিতে চাঁদার জন্য শুঁড় এগিয়ে দিলে মো. মাসুদুর রহমান ১০ টাকা দেন। টাকা পেয়ে হাতিটি সামনে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর চাঁদা নিয়ে অন্য এক দোকানির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় শোরগোল শুনে মো. মাসুদুর রহমান ফার্মেসি থেকে বের হলে হাতিটি শুঁড় দিয়ে তাকে তুলে এনে ফার্মেসির সামনে আছাড় মারে। এতে পাকা সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান মো. মাসুদুর রহমান।

এ ঘটনায় হাতিসহ মাহুত রিয়াজকে আটক করেছে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) গোলাম মোস্তফা।

তাসলিমা আক্তার মিতু/এমএ/