ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

বন্যায় বিক্রি বেড়েছে ডিঙি নৌকার

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
বন্যায় বিক্রি বেড়েছে ডিঙি নৌকার
হবিগঞ্জের এক বাজারে ডিঙি নৌকা দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

হবিগঞ্জের হাওরগুলো এখন পানিতে টইটুম্বুর। এই সময়টাতে হাওরপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকার প্রধান সঙ্গী নৌকা। দৈনন্দিন নানা কাজে প্রতিটি পরিবারেই ডিঙি নৌকা এখন অপরিহার্য বাহন।

বর্তমানে ছোট এই ডিঙি নৌকার কয়েকগুণ চাহিদা বাড়িয়েছে সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। ফলে হবিগঞ্জের বাজারগুলোতে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে ডিঙি। এমনকি সিলেটের পাইকাররাও হবিগঞ্জ থেকে নৌকা নিয়ে যাচ্ছেন।

জেলার হাওর অঞ্চলীয় পাঁচ উপজেলা নবীগঞ্জ, বাহুবল, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও লাখাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে নৌকার হাট। একইসঙ্গে নৌকা বানাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দিন কিংবা রাত, সমান তালে নৌকা বানাতে হচ্ছে কারিগরদের।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঠের মানভেদে ২০-২৪ ফুটের প্রতিটি নৌকা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন বাজরে ১০০-১৫০টি ডিঙি নৌকা বিক্রি হচ্ছে। এমন চাহিদা থাকবে আগামী এক মাস। যেখানে ডিঙি নৌকাকে ঘিরে ব্যবসা হবে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বন্যার কারণে নৌকার চাহিদা বাড়ায় হঠাৎ করেই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা নৌকা কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ডিঙি কিনতে যাওয়া ফরিদ মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘বন্যার কারণে ফেঞ্চুগঞ্জের অধিকাংশ জায়গা পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। তাই নৌকার চাহিদা বেড়েছে। দুইদিন আগেও ২০টি নৌকা নিয়ে গেছি। আজ আবার আসছি। তবে বাজারে এখন নৌকা খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে না।’

ইনাতগঞ্জ থেকে নৌকা কিনতে আসা আফজাল মিয়া বলেন, ‘বন্যায় চারপাশ ডুবে গেছে। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। তাই নৌকা কিনতে আসছি। নৌকা ছাড়া কোনো গতি নাই। নৌকার দাম একটু বেশি। বিক্রেতারাও দাম ছাড়ছেন না।’

একই এলাকার আরেক ক্রেতা হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের ভাটির মানুষের বর্ষায় নৌকা খুবই দরকার। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাইতে নৌকার দরকার। গরুর জন্য পেনা (কচুরিপানা) কাটতে হয়। আরও নানা কাজে আমাদের নৌকা লাগে। তাই নৌকা কিনতে আইছি।’

তবে বিক্রেতারা বলছেন, নৌকা তৈরির উপকরণ কাঠ ও লোহার দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি। যে কারণে বিক্রি বাড়লেও লাভের পরিমাণ সীমিত।

নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল এলাকার নৌকা বিক্রেতা ঝন্টু দাস বলেন, ‘বাজারে নৌকা নাই। বন্যার কারণে চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। যে কারণে দাম একটু বেশি। এ ছাড়া আগে কাঠের দাম ছিল ২৫০ টাকা ফুট, এখন এটি ৪০০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি ছিল ৫০০ টাকা, সেটি এখন ৮০০ টাকা। তাহলে নৌকার দামতো কিছু বাড়বেই।’

আরেক বিক্রেতা অরুণ কুমার বলেন, ‘দাম যে খুব বেশি বেড়েছে তা নয়। প্রতিটি নৌকায় ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে। আমরা সীমিত লাভে নৌকাগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি। কারণ সবাই এখন বিপদে আছে, তাদের হাতে টাকা-পয়সা নেই। এটাতো আমাদের বিবেচনা করতে হবে। আবার কাঠ, লোহা, শ্রমিকের মজুরি বাড়ার কারণে আমাদেরও কিছু করার নেই।’

কাজল সরকার/পপি/অমিয়/

শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা
ছবি: খবরের কাগজ

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তার কুশপুতুল দাহ করেছেন স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা হিসেবে মন্তব্য করার প্রতিবাদে শাহরিয়ার আলমের শাস্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, বাবুল হত্যাকাণ্ডের বিচার ও খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়। সমাবেশে বক্তারা এমপি শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহী মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি শাহরিয়ার আলমের কুশপুতুল দাহ করেন।

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনের কোনো উদ্যোগ নেননি শাহরিয়ার আলম। এই দ্বন্দ্বের কারণে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু হয়। কিন্তু এ ঘটনায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুত্র রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শাহরিয়ার আলম। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের লাশ নিয়ে রাজনীতি করছেন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারী শাহরিয়ার আলম।

মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুনির সবুজের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবদুল মোমিন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম প্রমুখ।

 

 

পায়ে লিখে জিপিএ-৫ রাব্বির পাশে খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
পায়ে লিখে জিপিএ-৫ রাব্বির পাশে খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ
ছবি: খবরের কাগজ

পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রাব্বির পাশে দাঁড়িয়েছে দৈনিক খবরের কাগজ-এর পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধুজন।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নে রাব্বির গ্রামের বাড়িতে ‘অদম্য মেধাবী বৃত্তি-২০২৪’-এর আর্থিক সহায়তা তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশনের (সিডব্লিওএফ) আর্থিক সহায়তায় ‘অদম্য মেধাবীদের পাশে আছি’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফ রাব্বিকে এককালীন এ বৃত্তি দিয়েছে। শারীরিক অক্ষমতা, পারিবারিক দৈন্যসহ নানা প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে পড়াশোনায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় রাব্বি এ বৃত্তি পেল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, খবরের কাগজের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান ইফতেখারুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, রাব্বির বাবা বজলুর রহমান, খবরের কাগজের চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার এম কে মনির, স্টাফ ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ হানিফ, স্থানীয় সংবাদকর্মী মুসলেহ উদ্দিনসহ অন্যরা।

এ সময় ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, রাব্বি আমাদের গর্ব। সে অন্যরকম এক প্রতিভাবান ছেলে। ছোটবেলা থেকেই সে খুব পরিশ্রমী। তার কাছে কোনো বাধাই বাধা নয়। দুই হাত না থাকলেও সে পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি চাই রাব্বি অনেক বড় হোক। আর খবরের কাগজ বন্ধুজন-সিডব্লিওএফকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন উদ্যোগের জন্য। এ সময় তিনি খবরের কাগজের বন্ধুজন ও সিডব্লিওএফের সারা দেশে চলা মানবিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

রফিকুল ইসলাম রাব্বির বাবা বজলুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, আপনাদের ছোট ছোট সহযোগিতাগুলো আমার ছেলেকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তার মা ছোটবেলায় তিন কিলোমিটার দূরের স্কুলে নিয়ে যেতেন প্রখর রোদে হেঁটে। আর হেঁটে হেঁটে ছেলেকে পড়াতেন। তার মা আর শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় সে এতদূর এসেছে।

২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় আগ্রহের বশে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটওভার ব্রিজ দেখতে যায় রফিকুল ইসলাম রাব্বি। কিন্তু সেদিন তার শখ পরিণত হয় চিরদুঃখে। ব্রিজে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দুটো হাত কেটে ফেলা হয়। রাব্বিকে সুস্থ করতে তার বাবাকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ করতে হয়েছে। একপ্রকার নিঃস্ব হয়ে পড়েন তিনি। সংসারে দেখা দেয় চরম অভাব। সেই সঙ্গে রাব্বির শারীরিক অক্ষমতা। এত কিছুর পরও ভেঙে পড়েনি অদম্য রাব্বি। চালিয়ে যায় লেখাপড়া। একসময় মুখ দিয়ে লেখার অভ্যাস গড়ে তোলে সে। পিএসসি পরীক্ষায়ও রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। মুখ দিয়ে লিখতে সমস্যা হওয়ায় পরে পায়ে লেখার অভ্যাস করে ছেলেটি। এভাবেই সব বাধা-বিপত্তিকে ডিঙিয়ে রাব্বি এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। রাব্বি এখন অগণিত মানুষের প্রশংসায় ভাসছে। রাব্বি একজন শিক্ষক হতে চায় বলে জানিয়েছে। বর্তমানে নগরের একটি সরকারি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য সে নির্বাচিত হয়েছে।

ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি ও পূর্বশত্রুতার জেরে আসিফ রহমান লিয়ন নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাশকাঠি গ্রামের কাটাখালী বাজারে লিয়নকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। লিয়ন মধ্য চরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের ছেলে এবং খুলনা বিএল কলেজে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের বাবা শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘জমি ও পূর্ববিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ছেলে লিয়ন ও অনিকের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ আলম সিকদারের ছেলে সজিব, হাসান, লিখন, চয়নসহ ১০-১৫ জন। হামলাকারীরা অতর্কিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিয়নের মাথায় ও পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। লিয়নকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা লিয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।’ 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সালেক নামে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। নিহত সালেক ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকের মো. নুর আলমের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, সকালে মো. সালেক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫০ ব্লক থেকে তার নিজস্ব ব্লকে আসার পথে তিন-চারজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে পথেই সালেকের মৃত্যু হয়। 

ওসি বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’ কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের গলনার চর ও বাইনকার চর এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত সোনা মিয়া (৫০) ও ফারুক হোসেন (৪৮) একই উপজেলার কাতলামারি ও দক্ষিণ উদখালি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুইদিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ওই দুই ব্যক্তি। পরে খোজাখুঁজির একপর্যায়ে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে স্বজনরা সোনা মিয়া ও ফারুক মিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেন। 

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

রফিক খন্দকার/ইসরাত চৈতী/