![ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা](uploads/2024/06/27/ngonjkk-1719506688.jpg)
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরের বালু ব্যবসা দখলে নিতে সুরুজ মিয়া নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার কাশীপুরের ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকার এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সুরুজ মিয়া (৭০) ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি। আহতরা হলেন, সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ মুন্না (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০); তাদের সহযোগী রাসেল মিয়া (৩২) ও শাকিল আহাম্মেদ (৩০)।
স্থানীয়রা জানায়, সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্না ওই এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসা করেন। সেই ব্যবসা দখলে নিতে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকায় কেউ নতুন ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে ইট বালু না নিলে বাড়ি নির্মাণ করতে দেয় না সালু ও হিরা। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল দুই পক্ষের। সেই বিরোধের জেরে গতকাল দুপুরে সুরুজ মিয়া তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গেলে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। এ সময় তাদের হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। খবর পেয়ে সুরুজ মিয়ার ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আহত অবস্থায় উদ্ধা করে সুরুজ মিয়াকে ঢামেকে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদেরও এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজু আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল যায় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম। এ সময় তিনি বলেন, ‘এলাকার ইট, বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ চলছিল। আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যায় জড়িত সালু স্থানীয় সন্ত্রাসী। তাকেসহ অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’