ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল গাইবান্ধায় ৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
গাইবান্ধায় ৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ
টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার চার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার থেকে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের স্কুলগুলো। জেলায় বন্যাকবলিত গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটার উপজেলার মোট ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত করা হচ্ছে।
 
গাইবান্ধা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ছুটি শেষে গতকাল বুধবার বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। চার উপজেলার চরাঞ্চলে কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। বিদ্যালয় খোলার পর বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী আসলেও অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আসতে পারেনি। টানা চার দিনের বৃষ্টি আর বন্যার পানি বেড়েই চলছে। জেলার ৭০টি বিদ্যালয় বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১৭টি, ফুলছড়িতে ২১টি, সাঘাটা ২১টি ও সুন্দরগঞ্জ ১১টি।
 
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়িতে কয়েকটি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ভরতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পানি হয়েছে। শ্রেণিকক্ষেও পানি। যাতায়াতের রাস্তার পানির নিচে পড়ে আছে। রাস্তাগুলোতে প্রায় ২ থেকে ৩ ফুট পানি রয়েছে। রাস্তা পানি নিচে থাকায় চলাচল করতে পারছে না লোকজন। ফুলছড়ি উপজেলার চর পেপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর একই অবস্থা। এসব এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম অভাব দেখা দিয়েছে।
 
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া তারাপুর, হরিপুর, সাঘাটা উপজেলার ফজলুপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের অনেক নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
 
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সূত্র জানায়, বন্যাকবলিত চারটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৮২০টি পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। জেলায় ১৮১ স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জি আর (প্রাকৃতিক দুযোর্গ) চারশ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
 
চর পেপুলিয়া গ্রামের আবদুল্লাহ (৪৫) বলেন, গতকাল থেকে নদীর পানি খুব বাড়ছে। রাতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। রান্না করতে পারছি না। খুবই কষ্টে আছি। বাড়ির পাশে স্কুলটিতে পানি ঢুকেছে। বন্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে পারছে না। 
 
গুপ্তমনি চরের জলিল মিয়া (৫০) বলেন, বন্যার পানি বেড়েই চলছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। বন্যার কারণে অনেক ভোগান্তির মধ্যে আছি। চালডাল সবই আছে,শুধু রান্না করতে পারছি না।  
 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, জেলার চার উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল থেকে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে ৭০টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৫টি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যালয়ে আগের মতো পাঠদান চালু করা হবে। 
 
গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। 
 
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বৃদ্ধি ও কমে। 
 
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার সম্ভাবনা নেই। তিনি মুঠোফোনে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।
 
রফিক খন্দকার/এমএ/

কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনার ঘটে। 

এই দুইজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ কাটা হচ্ছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় পাশের বিদ্যুতের তারে ক্রেনটি লেগে গিয়ে ক্রেনের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

জুয়েল রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে দীর্ঘ ৩৩ দিন পর যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তিনটি সার্ভিস ট্রলার নিরাপদে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী সার্ভিস ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের নাফ নদী দিয়ে নিরাপদে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছেছি। যদি গোলারচরটি খনন করা হয় তাহলে সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং সহজে পণ্যবাহী ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রীসহ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। আমরা নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‘আগে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যে নৌরুট ছিল সেটি যদি খনন করা হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তখন আমাদের মায়ানমারের জলসীমানা আর ব্যবহার করতে হবে না। সেন্টমার্টিনে চাকরিরত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাওয়া আসা করতে অসুবিধা হবে না। তবে তাদের চাকরির আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।’

মায়ানমারে নিজেদের মধ্যে চলামান সংঘাতের কারণে গত ৫ জুন থেকে এ নৌরুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচর বন্ধ ছিল।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় বালুভর্তি এক ট্রাক থেকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বালুভর্তি ট্রাকে ভারতীয় চোরাই চিনি পরিবহনের খবর পেয়ে, সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। পরে দুপুর সোয়া দুইটার দিকে গোয়াইনঘাটে একটি ট্রাক ধরা পড়ে। বালু যেভাবে পরিবহন করা হয়, ঠিক সেভাবেই ট্রাকটিতে বালু ছিল। বেলচা দিয়ে কিছু বালু সরালে চিনির বস্তা দেখা যায়। পরে ট্রাকের চালককে আটক করা হয়। তার নাম জাকির হোসেন (৩৪)। বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়ায়।

পরে পুলিশ শ্রমিক দিয়ে বালু সরিয়ে ৩০০ বস্তা ভারতীয় তৈরি চিনি জব্দ করে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চিনি রয়েছে। এ হিসেবে ১৫ হাজার কেজি চিনির বর্তমান বাজার দর প্রায় ১৮ লাখ টাকা। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিলেটের সীমান্ত উপজেলাগুলোতে একাধিক পাথর ও বালুমহাল রয়েছে। এসব মহাল থেকে বালু-পাথর পরিবহনে নিয়োজিত রয়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। পাথরমহাল বন্ধ থাকার পরও ট্রাক দিয়ে পাথর পরিবহনের বিষয়টি খোঁজ নিতে গিয়ে একের পর বেরিয়ে আসে পাথরচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা। এরপর পাথরবাহী ট্রাকে আর কোনো চিনি পাওয়া যায়নি। তবে বালুচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা এই প্রথম দেখা গেছে।

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি চোরাচালানের সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা করে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট ব্যুরো/পপি/অমিয়/

চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে শতাধিক মানুষ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে শতাধিক মানুষ
ছবি : খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চাষি সম্মেলনে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদেরকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামে একটি ফিস ফিড কোম্পানির চাষি সম্মেলন ছিল। সম্মেলনে অংশ নেওয়া চাষিদের চৌরাস্তা মোড়ের ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউজের বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। এই বিরিয়ানি খেয়ে পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা শুরু হয় তাদের। সন্ধ্যার পর থেকে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে থাকেন।

জালালাবাদ ইউপি সদস্য আফতাবুজ্জামান জানান, নবাব বিরিয়ানি হাউজ থেকে আনা বিরিয়ানি চাষিদের খেতে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক ফোন আসতে থাকে।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) হয়েছে। সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/জোবাইদা/অমিয়/

নওগাঁয় পুকুরে ডুবে যমজ ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
নওগাঁয় পুকুরে ডুবে যমজ ভাইয়ের মৃত্যু
ছবি : খবরের কাগজ

নওগাঁর ধামইরহাটে পুকুরে ডুবে যমজ দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের পশ্চিম চকভবানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর নাম লক্ষণ ও রাম। তাদের বয়স তিন বছর। তারা চকভবানী গ্রামের সুজিত ওরাও এর ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম বলেন, সকালের খেয়ে দুই ভাই বাড়ির পাশে খেলতে থাকে। খেলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে বাড়ির সামনে পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজির করে পুকুরে লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়েই শিশুরা পানিতে ডুবে মারা গেছে।

শফিক ছোটন/জোবাইদা/অমিয়/