![মুরাদের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ](uploads/2024/02/29/1709207021.vnnkk.jpg)
ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিতের শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপীড়নের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, কেউই একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এধরনের আচরণ আশা করে না। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একজন বাদী লালবাগ থানায় আসেন। তারা অভিযোগ করেন যে তারা গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সপ্তম শ্রেণিতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে গত বছরের মার্চে এবং আগস্টে।
এর আগে ভিক্টিম ও তাদের সন্তানদের বক্তব্য শোনেন কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই শিক্ষক গত ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে কাউকে না বলার অনুরোধ করেন। এই ঘটনায় স্কুলে মানববন্ধন হয়। থানায় মামালা হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন রাতে আমরা আসামিকে গ্রেফতার করি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, অভিযুক্তের এন্ড্রয়েড ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে কিছু অডিও ভিডিও ক্লিপ পাওয়া যায়। ভিক্টিম আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিকে তদন্ত শেষ করে বিচারের আওতায় আনা হবে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
অভিযোগ এক বছর আগের এখন সেটা কিভাবে প্রমাণ করা সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে মইদ বলেন, ফৌজদারী অপরাধ কখনও তামাদি হয় না, ৫০ বছর হলেও তা কোচিং সংক্রান্ত বিরোধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কোচিং সংক্রান্ত বিরোধের কারণে হলে সেটাও আওতায় আনা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমাণের জন্য মেডিকেল প্রতিবেদন জরুরি নয়। অভিযোগ প্রমাণের জন্য আরও অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে।
আমরা প্রতিটি নাগরিকের অধিকারের বিষয়ে সংবেদনশীল। সকল কার্যক্রম যথাযত আওতায় আনা হবে।
তদন্ত যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অপরাধ কতদিন, কত জায়গায়, কতবার হয়েছে সবই তদন্তের আওতায় আনা হবে।