বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়েছিলেন। তবে পালানোর পরপরই তাদের আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়ার পর আটকরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ফরিদ শেখ (৩০)।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কারাগারের ডেপুটি জেলার ফারুক হোসেন।
এ ঘটনার পর বুধবার (২৬ জুন) সকালে জেলখানা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
পরে পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে এই চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকে বাইরে বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম শহরে তল্লাশি করে ভোর ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে আটকদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হলে কারা কর্তৃপক্ষ চারজনকে শনাক্ত করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করত। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
অমিয়/