ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

আমি সিন্ডিকেট মেইনটেইন করতে পারি না: পড়শী

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আমি সিন্ডিকেট মেইনটেইন করতে পারি না: পড়শী

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী সাবরিনা পড়শী। গান ও অভিনয়ে সমানতালে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সম্প্রতি তার গাওয়া ‘এই দুটি চোখে’ শিরোনামে একটি নতুন গান এবং ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এই গান ও অন্যান্য কাজের ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন এ মিজান

গানের সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
আমার গান রিলিজের শুরুতেই আমি একবার দেখি। এরপর সহজে আর দেখি না। এটা আমার অভ্যাস। মাঝে মাঝে ইউটিউবে ঢুকে বারবার দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখা এবং ভিউ গুনি না। এটা আমার ভালো লাগে না। আমি জানি, আমার ভক্ত ও শ্রোতারা আমার সঙ্গে সব সময় আছেন। তাদের ভালোবাসা সব সময়ই পাই। গানের কথা লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ। সুর ও সংগীত করেছেন জুয়েল মোর্শেদ।

এখন ভিউ দিয়েই তো গানের হিট ফ্লপ ধরা হয় তাই না?
আমার কাছে ভিউ কত হলো এটা ম্যাটার করে না। ভিউটা আমার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণও না। দেখা যায়, অনেক কষ্ট করে কাজ করার পরও সেই কাজের তেমন ভিউ হয় না। তখন কাজের আগ্রহ হারিয়ে যায়। তাই আমি ভিউ নিয়ে পড়ে থাকি না। তবে হ্যাঁ, ভিউ বেশি হলে শিল্পীদের কাজের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়, এটা অবশ্যই পজিটিভ।

ভিডিওতে আপনাকে ডাকাত হিসেবে দেখা গেছে। বাস্তব জীবনে আপনার ভেতরে কি ডাকাতের কোনো চরিত্র বাস করে?
আমি যখন শুট করছিলাম, তখন ভাইয়া আমাকে বলছিল ‘তোর তো এখানে অভিনয় করতে হবে না। তুই তো এমনিতেই ডাকাত হাহাহা। বিশেষ করে ভাইয়ার বন্ধুরা আমাকে বারবার ক্ষেপাচ্ছিল। আমি আসলে ডাকাত টাইপের মানুষ নই।

অনেক দিন নাটকে আপনাকে দেখা যাচ্ছে না কারণ কী?
এর মধ্যে নতুন কোনো নাটকে কাজ করিনি। আমার কাছে মনে হয়, দিন শেষে আমি একজন সংগীতশিল্পী। আমি অভিনয় করি আসলে শখ করে। মানুষ আমাকে হয়তো ভুল বুঝতে পারেন। শিল্পী হয়ে কেন আমি নিয়মিত অভিনয় করি। আসলে কিন্তু আমি মনে-প্রাণে গানের মানুষ। গানটাই নিয়মিত করতে চাই। সর্বশেষ দুই-তিন মাস আগে নাটকে কাজ করেছিলাম।

আরজে পড়শীর অনুষ্ঠান কেমন চলছে?
কিছুদিন আগেই ওই অনুষ্ঠানের চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। আমি এখন আর অনুষ্ঠানটি করছি না। চুক্তি শেষ হওয়ার পর ওই স্টেশনের কর্তৃপক্ষ আমাকে নতুন করে চুক্তির কথা বলেছেন, আমি একটু সময় নিচ্ছি।

আপনার ভক্তরা আপনাকে মিস করবেন না?
আমি আসলে ভক্তদের খুব কাছাকাছি থাকি। রেডিওতে শোটি না করলেও নিয়মিত ফেসবুকে লাইভে আসি, ভক্তদের সঙ্গে কানেক্ট থাকার চেষ্টা করি। তাই ভক্তরা আমাকে শুনতেই পারছেন।

সিনেমার গানে আপনাকে একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। প্রস্তাব পান না, নাকি বিশেষ কোনো কারণে গাওয়া হচ্ছে না?
প্রথমত আমি গানের বিষয়ে কিছুটা চুজি। আর এখন তো সবকিছুর সিন্ডিকেট আছে। আমি কোনো সিন্ডিকেট মেইনটেইন করতে পারি না। আমি কাজ ছাড়া কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখি না, কথাও বলি না। আমি নিয়মিত গান করছি। সেটা নাটকে হোক কিংবা অডিওতে। প্লেব্যাক করতেই হবে, এমনটি নয়। নিয়মিত গান করছি। কোনো না কোনোভাবে গানের সঙ্গে জড়িত থাকলেই হলো। আমি আমার মতো করেই আছি। ক্যারিয়ারের ১৪ বছরে অনেক কাজ করেছি। এখন নির্দিষ্ট কোনো কাজের প্রতি অতটা আকাঙ্ক্ষা নেই। আমি বিশ্বাস করি, যারা আমার কাজ পছন্দ করেন, তারা আমাকে ডাকবেন। আর শিল্পীরা সব সময় মানুষকে খুঁজে বের করবে এমন নয়, শিল্পীদেরও মাঝে মাঝে মানুষকে খুঁজে বের করতে হয়।

নতুন গান আবার কবে আসবে?
নতুন আরও একটি গানের কাজ এবং ভিডিও রেডি করা আছে। গানের ভিডিওটি আবার নতুন করে শুট করতে পারি, এ জন্য আপাতত গানটি নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

জাহ্নবী

হাবিবের হ্যাটট্রিক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
হাবিবের হ্যাটট্রিক

জনপ্রিয় সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক হাবিব ওয়াহিদ। তার গাওয়া অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। এই সংগীত পরিচালকের হাত ধরেই অনেক শিল্পী পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। এক সময় সিনেমার গানে নিয়মিত হাবিবের কণ্ঠ পাওয়া গেলেও এখন আর তাকে তেমনভাবে পাওয়া যায় না। সিনেমার চেয়ে সিঙ্গেল গান প্রকাশের ক্ষেত্রেই হাবিব বেশি নিয়মিত এখন।

এবার হাবিবের কণ্ঠে প্রকাশ পেল শাকিব খানের আলোচিত ‘তুফান’ সিনেমার গান। গানের শিরোনাম ‘ফেঁসে যাই’। গতকাল গানটি প্রকাশিত হয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই, চরকি এবং এসভিএফের ইউটিউব চ্যানেল থেকে। এই গানে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছেন শাকিব খান। গানে শাকিব খানের সঙ্গে পারফর্ম  করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গানটি প্রকাশের পর থেকেই প্রশংসা কুড়াচ্ছে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। আরাফাত মহসীনের সুর ও সংগীতে গানের কথা লিখেছেন তন্ময় পারভেজ।

এ ছাড়া আরও নতুন গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন হাবিব। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন তরুণ শিল্পী অন্তরার গাওয়া গান ‘ভাবিনি কখনো’। গানটি লিখেছেন সুহৃদ সুফিয়ান। এ ছাড়া ‘তোমার মন জানে’ শিরোনামে আরও একটি নতুন গান প্রকাশিত হবে এইচডব্লিউ প্রোডাকশনের ব্যানারে। এটি হাবিবের একক গান। এই গানের কথা লিখেছেন মীর শরিফুল করিম শ্রাবণ।

হাবিব ওয়াহিদ জানান, ‘দুটি গান প্রকাশ হয়ে গেল। আরও একটি গান প্রকাশ পাবে। দুই গানের জন্যই শ্রোতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। সিনেমার গানে আলাদা একটা চাহিদা ও উন্মাদনা থাকে দর্শক-শ্রোতাদের। ‘তুফান’ ভীষণ আলোচিত সিনেমা। এই সিনেমায় গান মানেই আলোচিত হবে। গানটি ভালো হয়েছে। আমার বিশ্বাস নতুন গানটিও সবার ভালো লাগবে।’

জাহ্নবী

জন্মদিনে সিনেমার টিজার

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
জন্মদিনে সিনেমার টিজার

ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন করেন না জয়া আহসান। ২০১৬ সালে ১ জুলাই ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় মারা যান দেশি-বিদেশি ২০ জন মানুষ। বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে যায় সেই ঘটনায়। তার পর থেকে দিনটি যেন ব্যক্তিগত শোকের দিন হয়ে উঠেছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়ারও। তবে এ বছর জন্মদিনে ভক্তদের তিনি উপহার দিলেন নতুন সিনেমার টিজার।  

‘ওসিডি’ ছবিতে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। বেশ কিছুদিন আগে ছবির শুটিং শেষ হলেও ছবিটি মুক্তির তারিখ এখনো নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে কয়েকটি উৎসবে দেখানো হয়েছে ছবিটি। বলা চলে, জয়ার জন্মদিনে তার ভক্তদের উপহার হিসেবে ছবিটির একটি ঝলক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল।

জয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দুই দেশের বিনোদন অঙ্গনের সহকর্মী ও ভক্তরা। ভক্তদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ওসিডি’র ঝলক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘চাঁদের কলঙ্ক কি পরিষ্কার হয়? জীবনের কলঙ্ক? সমাজের কলঙ্ক? উত্তর নিয়ে আসছে ওসিডি…। এবার প্রাণপণে সরাবে জঞ্জাল!’ ওসিডি অর্থ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার। ছবিতে জয়ার চরিত্রের নাম শ্বেতা। সে ওসিডিতে আক্রান্ত। মনস্তাত্ত্বিক এই ছবি নিয়ে সৌকর্য বলেছিলেন, ‘জয়ার কথা মাথায় রেখেই ছবির গল্পটি লিখেছি। আমি তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ।’ এর আগে একই পরিচালকের ‘ভূতপরী’ ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া। ‘ওসিডি’ ছবির চরিত্র প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘পরিচালক যখন আমাকে এ ছবির প্রস্তাব পাঠান, আমি সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিই। সত্যি বলতে, আমি এতে মন খুলে অভিনয় করেছি।’

বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পায় জয়া অভিনীত ছবি ‘পেয়ারার সুবাস’। ভারতের কলকাতায় সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জয়ার সিনেমা ‘ভূতপরী’।

জাহ্নবী

কে জিতবে, ‘ডেডপুল’ নাকি ‘সেবারটুথ’

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
কে জিতবে, ‘ডেডপুল’ নাকি ‘সেবারটুথ’

লড়াইয়ে নামছে মার্ভেল কমিকস দুনিয়ার অন্যতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী উলভারিন এবং সেবারটুথ। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ ছবির এক ঝলক। ভিডিওর সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, দারুণ কিছু হতে যাচ্ছে। দর্শক মহলে এখন প্রশ্ন- কে জিতবে, ‘ডেডপুল’ নাকি ‘সেবারটুথ’।

শেষবার এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে লড়তে দেখা গিয়েছিল ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘এক্স-মেন’ ছবিতে। ‘সেবারটুথ’ নামের হিংস্র খলনায়কের চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন টাইলার মেইন। উলভারিনরূপী হিউ জ্যাকম্যানের সঙ্গে তার লড়াই বেশ উপভোগ করেছিল দর্শক। যদিও পরে আর সেবারটুথ চরিত্রে সেভাবে দেখা যায়নি টাইলারকে। অন্যদিকে ২০০৯ সালে ‘এক্স ম্যান ওরিজিনস্’ ছবিতে সেবারটুথ চরিত্রটি ফিরে আসে, কিন্তু সেই ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন লিয়েভ স্ক্রেইবার। সেই ছবিতেও অবশ্য দারুণ লড়াই জমেছিল।

সম্প্রতি অবমুক্ত হওয়া ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ ছবির নতুন ঝলকে দেখা গেছে, একের পর এক দুষ্টু লোকদের শায়েস্তা করছে উলভারিন। শেষ শত্রুকে মেরে উত্তেজিত উলভারিন বলে ওঠে, ‘আর কেউ আছে।’ এমন সময় দেখা যায় বেরিয়ে আসে সেবারটুথ। উলভারিনের উদ্দেশ্যে বিড়বিড় করে সে বলে, ‘মরার জন্য প্রস্তুত হও।’ সেবারটুথকে দেখেই গর্জন করে এগিয়ে যায় উলভারিন। ওপ্রান্ত থেকে মরণপণ লড়াইয়ের জন্য ছোটা শুরু করে সেবারটুথও। হঠাৎ তাদের থামিয়ে দুজনার মাঝখানে দৌড়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে ডেডপুল! নিজের পরিচিত ছন্দে জানায়, এই লড়াই দেখার জন্য বহু বছর ধরে অপেক্ষা করছেন দর্শক। তাই এই লড়াই হুট করে শুরু করা চলবে না। একটু সময় নিয়ে ব্যাপারটা শুরু করতে হবে। এভাবেই শেষ হয়েছে ঝলক।

জাহ্নবী

বাউল-ফকিরদের নিরাপত্তা, নির্যাতনের বিচার চান শিল্পীরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
বাউল-ফকিরদের নিরাপত্তা, নির্যাতনের বিচার চান শিল্পীরা

বাংলাদেশে বাউল-ফকিরদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও তাদের সুরক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করার দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিবাদলিপি দিয়েছেন ৫৬ জন সংস্কৃতিকর্মী। এ দলে আছেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন শাখার মানুষও অংশীজন। গত ২৬ জুন সকালে কুষ্টিয়ায় লালন অনুসারী চায়না বেগমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে দুর্বৃত্তরা। এমনকি সেখানে পেলে তাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে ৫৬ জন সংস্কৃতিকর্মী বলেছেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আমরা লক্ষ করি যে বাউল, ফকির, সাধকদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া, তাদের ঘরবাড়ি ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা, তাদের ভিটা থেকে বিতাড়িত করা, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ নানান রকমের আগ্রাসন ঘটে। যা মধ্যযুগে, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনামলেও ছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মানবতাবাদী এই মানুষদের ওপর নির্যাতনের বা আগ্রাসনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।’ এই সংস্কৃতিকর্মীরা মনে করেন, এসবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত এবং তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক।

প্রতিবাদলিপিতে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। সেসবের মধ্যে রয়েছে বাউল, ফকির, বয়াতি ও লালন অনুসারীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, তাদের ওপর যে কোনো আক্রমণ বা নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা, তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দিয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান, সাধারণ জনগণের মধ্যে বাউল, ফকির, বয়াতি ও লালন অনুসারীদের সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

প্রতিবাদলিপিতে সই করেছেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, গীতিকবি ও সুরস্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদ, চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, শবনম ফেরদৌসী, সামির আহমেদ, রবিউল আলম রবি, আরিফুর রহমান, শঙ্খ দাশগুপ্ত, গবেষক গৌতম কে শুভ, উদ্যোক্তা ও সংগীত পৃষ্ঠপোষক জাভেদ হক, অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক, শিক্ষক মানস চৌধুরী, উন্মেষ রায়, চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি, আবৃত্তিশিল্পী শারমিন লাকী, শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, রাকিবুল হাসান, রাজিব মাহমুদ, রেজাউল করিম লিমন, সাদিয়া সিরাজ সাবা, শফিক তুহিন, শর্মি হোসেন, শাহরিয়ার শাওন, অটমনাল মুন, আহমেদ হাসান সানি, আরমীন মূসা, কিশোর দাশ, কনক আদিত্য, আরজিন, জয় শাহরিয়ার, কবি শিমুল সালাহউদ্দিন, রুদ্র হক, ইয়ন, জুয়েল কলিন্দ, আলতাফ শাহনেওয়াজ। ব্যান্ড তারকাদের মধ্যে রয়েছেন ফারিয়া উলফাত সৈয়দ (তুলকালাম), বাপ্পা মজুমদার (দলছুট), মাকসুদুল হক (মাকসুদ ও ঢাকা), মীর মাসুম (সোলস), রাহুল আনন্দ (জলের গান), সিনা হাসান (বাংলা ফাইভ), শেখ মনিরুল আলম টিপু (ওয়ারফেজ), জর্জ লিংকন ডি কস্টা (আর্টসেল),  জিয়াউর রহমান (শিরোনামহীন) প্রমুখ।

জাহ্নবী

চড়ের কথা স্বীকার করলেন ববি মামলা নিয়ে ভিন্ন অভিযোগ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
মামলা নিয়ে ভিন্ন অভিযোগ

কয়দিন ধরেই চলচ্চিত্রপাড়ায় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল হ্যান্ডেলেও। ববির বিরুদ্ধে চুরি, প্রতারণা, হত্যাচেষ্টা মামলা এবং ববির পাল্টা মামলা ও পরিচালক রাশিদ পলাশকে পেটানোর ঘটনার এখন যেন টক অব দ্য টাউন। 

ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভিন্ন অভিযোগ করলেন ববি। গতকাল রাজধানী মগবাজারের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে ববি বলেন, ‘সৎভাবে জীবনযাবন অব্যাহত রেখে আর্থিক সচ্ছলতার আশায় আমি গুলশান-২-এর ১১৩ নম্বর রোডের ওয়াইএন সেন্টারের একটি রেস্তোরাঁ কিনি। এর অপারেশন পার্টনার মির্জা বাশার। আগের রেস্তোরাঁয় মালিক আমানের সঙ্গে আমার রেস্তোরাঁয় আসবাবপত্র নিয়ে মোট ৫৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। একই সময়ে রেস্তোরাঁ ভবনের মালিকের স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিন ও ছেলে জাওয়াদ আল মামুনের সঙ্গেও আলোচনা করি। তখন শাহিনা ও জাওয়াদ রেস্তোরাঁ নেওয়ার ব্যাপারে আমাকে উৎসাহিত করেন এবং চলমান রেস্তোরাঁ হস্তান্তর করলে তারা পরবর্তী সময়ে আমাদের নামে নতুন চুক্তিপত্র করে দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর আমরা আমানকে ১৫ লাখ টাকা দিই এবং আমাদের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুটি চেকও দেওয়া হয়।’

ববি আরও বলেন, ‘০গত এপ্রিল মাসে আমান আমাদের কাছে রেস্তোরাঁ হস্তান্তর করেন। আমরা এপ্রিল থেকে রেস্তোরাঁয় ভাড়া প্রতি মাসে আড়াই লাখ ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করছি। ভবনের মালিক আমাদের নামে ভাড়া জমা নিয়ে রসিদও দেন। রেস্তোরাঁয় ওঠার পর আমরা ডেকোরেশনের কাজ শুরু করি, যাতে প্রায় ১ মাস লেগে যায়। এতে খরচ হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা। শুরুতে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে সেটি চালু করি। ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ আল মামুনকে চুক্তিপত্র, ফায়ার সেফটি ও বাণিজ্যিক অনুমতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার অনুরোধ করি।’

ববি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে এসব কাগজপত্র চেয়েছি, তখন থেকে রেস্তোরাঁর আগের মালিক আমান, শাহিনা, জাওয়াদ, ভবনের দায়িত্বে থাকা জয়, সাকিবসহ অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা আমাদের হয়রানি শুরু করেন। প্রথমে আমান পরিশোধ করা ১৫ লাখ টাকার কথা অস্বীকার করেন। যদিও ওই টাকা তিনি নগদ নিয়েই চাবি হস্তান্তর করেছিলেন। অন্যদিকে শাহিনা ও জাওয়াদের নির্দেশে ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জয়, সাকিব, হারুন ও তাদের সহযোগীরা বারবার আমার রেস্তোরাঁয় বিদ্যুৎ বন্ধ করে হয়রানি শুরু করেন। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ওয়ান গ্রুপ থেকে বারবার সন্ত্রাসীরা রেস্তোরাঁয় এসে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গুলশানের মতো জায়গায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখে আমি ভীত হয়ে পড়ি। পরে আমরা জানতে পারি, শাহিনা ইয়াসমিন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী এবং এই ভবনের মালিক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন নিজেই। এমন পরিস্থিতিতে বিপদের আশঙ্কা দেখে ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে করণীয় কী সে পরামর্শ করতে আমরা সিটি করপোরেশনে যাই এবং জানতে পারি, ওই বিল্ডিংয়ের কোনোরকম বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমতি নেই। এ জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার পর এই বিল্ডিংটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে শাহিনা ইয়াসমিন তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে ফেলার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিল্ডিং খোলেন।’

সংবাদ সম্মেলনে ববি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা বুঝতে পারি, আমান, শাহিনা ও জাওয়াদ মিলে আমাদের সঙ্গে এক ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন। অবৈধ রেস্তোরাঁ বাঁচাতে না পারার ভয়ে বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার ফাঁদ পাতেন তারা। অনুমতি না থাকলেও মাত্র তিন মাসের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন এবং ভাড়াও নিচ্ছেন। তাদের ধারণা ছিল, আমরা বৈধ কাগজপত্র চাইব না। সিলগালা ভবনটিতে এখনো আগের মতো সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। সর্বশেষ গত ২২ জুন রাত ১১টায় আমরা রেস্তোরাঁ বন্ধ করে বেরিয়ে যাই। পরদিন সকালে কর্মচারীরা রেস্তোরাঁয় গেলে নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্যরা তাদের ঢুকতে বাধা দেন। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মির্জা বাশার সেখানে গেলে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা করে। বাশারকে একা পেয়ে চরম মারধর ও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি আমি তৎক্ষণাৎ থানায় জানাই। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আমরা রেস্তোরাঁয় ঢুকতে গিয়ে দেখতে পাই, সেখানে নতুন তালা লাগানো হয়েছে।’

ববি আরও বলেন, ‘আমরা গুলশান থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে মির্জা বাশারকে আগে চিকিৎসা করিয়ে তারপর মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক পরে আমরা মামলা করতে গিয়ে জানতে পারি যে, আগেই তারা মামলার অভিযোগ জমা দিয়েছে, যেখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে। অথচ ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না।’ ববি বলেন, ‘আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।’

নির্মাতা রাশিদ পলাশকে পেটানোর কথা জানতে চাইলে প্রথমে কয়েকবার বিষয়টি এড়িয়ে যান এই নায়িকা। পরবর্তী সময় প্রশ্নের মুখে রাশিদ পলাশকে পেটানোর কথা স্বীকার করেন ববি।

জাহ্নবী