![গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি](uploads/2024/02/04/1707042582.Evally.jpg)
নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর ১৫০ গ্রাহকের মোট ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই টাকা ফেরত দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ই-কমার্স বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। ই-কমার্স এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইভ্যালি গ্রাহকের টাকা ফেরত দিচ্ছে। এটা ইতিবাচকভাবে নেওয়া দরকার, প্রচার করা দরকার। তবে পণ্যের অর্ডার দেওয়ার জন্য অথেনটিক (নির্ভরযোগ্য) প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেলে ই-কমার্স নিয়ে কাজ শুরু হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। আমাদের কাছে শুধু ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রায় সাত হাজার অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগ নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। ২৫০ জনের অভিযোগ নিম্পত্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫০ জনকে আজ টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। ইভ্যালির সিইও রাসেলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাকীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ২৭ মাস জেলে থাকার পর তাকে ব্যবসা করার শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে। তিনি মুক্তি পেয়েছেন। রাসেলকে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হলে তার পরিকল্পনা ভোক্তা অধিদপ্তরে জমা দেন। তা আমলে নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে তিনি গ্রাহকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন। এটা কম হলেও শুরু হচ্ছে। এটা ইতিবাচক দিক। কারণ তাকে ২৭ বছর জেলে রাখলে এক টাকাও ফেরত আসবে না।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘ইভ্যালিতে কেউ পণ্য নিলেও আগের মতো অবস্থা নেই। অর্ডারের পর পণ্য পাওয়ার পরেই মূল্যপরিশোধ করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ই-কমার্স ব্যবসার জন্য একটা গাইড লাইন করে দেওয়া হয়েছে। এটা বন্ধ করা যাবে না। এতে বিপদ ডেকে আনবে। অনেকে ফেসবুকে ই-কমার্স ব্যবসা করছে। সেগুলো ফেক কিনা জানা দরকার। ভোক্তারা সচেতন না হলে প্রতারণা হবে। তাই ভোক্তাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ন বীর।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তর গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য করেছে। এতে ইভ্যালিরই লাভ হয়েছে। তবে ইভ্যালি উৎফুল্ল না। কারণ সবার টাকা ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না। মাত্র ১৫০ জনের ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে ব্যবসা করে লাভের অংশটাই গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসার নীতি খুব পরিষ্কার। সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী পণ্য পাওয়ার পর টাকা দিতে হবে। আমরা নিজে কোনো টাকা নিই না। পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পর ই-কুরিয়ার অর্থ গ্রহণ করে থাকে। যতো দেনা আছে সব পরিশোধ করা হবে। তবে সব টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া যাবে না। বেঁধে রাখলেও তা সম্ভব না। যারা অভিযোগ করবেন তাদের সব টাকা কিভাবে ফেরত দেওয়া হবে তার পথ চাওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে।’
জাহাঙ্গীর/পপি/অমিয়/