![‘রেলওয়ের জমি যারা দখল করে তারা কি শান্তিতে আছে?’](uploads/2024/02/17/1708164093.Saidpur-Mominur-Ajad.jpg)
‘রেলওয়ের জমি যারা দখল করে আছে তারা জানে এটা অন্যায় কাজ। তারা কি শান্তিতে আছে? এক ধরনের দূর্বৃত্ত আছে যারা এ ধরনের কাজ করতেই থাকে। আমাদের মানুষগুলোকে ভালো হতে হবে। সর্বত্র চুরি হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে এবং চোরকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় জনবল দিন দিন কমে আসছে। দুই হাজার ৮৫৯ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ৮৬০ জন কর্মরত রয়েছেন। রেলওয়ে সেতু কারখানায় অতীতে রেলসেতুর গার্ডার তৈরি হতো। কারখানাটি আবার সচল করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য রেলওয়েতেও স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। অতি শিগগির শূন্যপদ পূরণ করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি রেলওয়ের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে রেলওয়ে অনেক এগিয়েছে। আমাদেরও সেই তালে তাল রেখে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন নতুন রেলপথ স্থাপন ও সেবার মান বৃদ্ধি করে রেলওয়ে যাত্রীবান্ধব করতে হবে।’
পরে কারখানার ২৯টি শপ (উপ-কারখানা) ঘুরে দেখেন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান।
এরপর মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে কারখানায় স্থাপিত অদম্য স্বাধীনতায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই, পশ্চিম) মুহম্মদ কুদরত-ই খুদা, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শ্রমিকলীগ নেতা মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ।
মমিনুর আজাদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/